ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পুঁজিবাজার এখন আর ফটকাবাজার নয় : মুহিত

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০১, ১০ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পুঁজিবাজার এখন আর ফটকাবাজার নয় : মুহিত

বিশেষ প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দেশের পুঁজিবাজারে আর কেউ ফটকাবাজি করতে পারবে না। এ খাতে ব্যাপক সংস্কার হয়েছে, এটা অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) বাৎসরিক মুনাফার অংশ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় আইসিবির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মজিব উদ্দিন আহমদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী সানাউল হক ৫১ কোটি ২৫ লাখ ৭৮ হাজার ৩০৪ টাকার নগদ লভ্যাংশের চেক অর্থমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার আহমেদ, মানিক চন্দ্র দে, সালমা নাসরিন, যুগ্ম সচিব মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারটা অনেক দিন থেকেই ফটকাবাজারের মতো কাজ করেছে। আমাদের আগের সরকারের আমলেও পুঁজিবাজারে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এবার ক্ষমতায় আসার পরও শেয়ারবাজারে প্রচুর সমস্যা দেখা দেয়। এরপর সেটাকে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, গত ৬ বছর বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। ছয়টি বছরই তারা শেয়ারবাজারকে সংস্কারের কাজে লিপ্ত থাকে। বর্তমান কমিশনের চেষ্টায় পুঁজিবাজার এখন ঠিক হয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন শেয়ারবাজারকে বর্তমানে এমন এক অবস্থানে নিয়ে এসেছে, যেটাকে এখন আর ফটকাবাজার বলা যাবে না। বাজারে উত্থান-পতন হয়, এটা স্বাভাবিক। তবে এখন আর বড় ধরনের উত্থান-পতনের কোনো সুযোগ নেই। এখন নিয়ম অনুযায়ী সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন ম্যানেজমেন্টে পরিবর্তন আনা হবে।

ফারমার্স ব্যাংক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ফারমার্স ব্যাংক যত দুষ্টুই হোক না কেন এটার পতন হতে দেব না। ফারমার্স ব্যাংক নিয়ে জাতীয় সংসদে অনেক সংসদ সদস্য অ্যাডভান্স বক্তব্য রেখেছেন। অনেকেই বলেছেন, এ সরকারের আমলে একটা ব্যর্থ ব্যাংকের পতন। তবে এটা আমাদের সময়ে হতে দেব না। যত দুষ্টু ব্যাংক হোক, সেটাকে আমরা ঠিক করতে চাই। এটাকে ঠিক করার পরামর্শ আইসিবি থেকেই এসেছিল। তারা এ ক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতা করেছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংক যে সংশয় প্রকাশ করেছে, তা তারা প্রতিবছরই করে। এ বছর আমার দৃষ্টিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে কমপক্ষে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। আগামী তিন মাস পর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ এপ্রিল ২০১৮/হাসনাত/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়