ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

৯ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৩০ হাজার কোটি টাকা

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৫, ১৬ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৯ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৩০ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রার চেয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি থাকবে।

যদিও সংশোধিত বাজেটে এ  লক্ষ্যমাত্রা কমানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বৃহৎ করদাতা ইউনিটে (এলটিইউ) রাজস্ব হালখাতা ও বৈশাখী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।  এলটিইউ কমিশনার অপূর্ব কান্তি দাসের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা ৪০ শতাংশ বেশি ধরা হয়েছিল। এটি অর্জন করা সম্ভব হবে না। এজন্য চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রা পূর্বের চেয়ে ২৫-৩০ হাজার কোটি টাকা কমতে পারে।

চলতি বছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৪৫ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। ৯ মাসে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৩১১ কোটি টাকা। সে হিসেবে বাকি ৩ মাসে বিশাল অর্থ সংগ্রহ করতে হবে এনবিআরকে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব হালখাতায় ৪০৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার বকেয়া আয়কর আদায় হয়েছে। ভ্যাটের হিসাবটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে এটি প্রায় ৩০০ কোটি টাকা হতে পারে। আর কাস্টমসে তা ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) আয়কর শাখা হালখাতায় ৬৫ কোটি টাকার বকেয়া কর আদায় করেছে বলে জানান তিনি।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ভ্যাট আদায় এখনও প্রত্যাশার তুলনায় কম আছে। করের আওতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। উৎসে করের মনিটরিং আরো বেশি বাড়াতে হবে।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, এনবিআরে আইটির যতো প্রয়োগ হবে, রাজস্ব সংগ্রহ ততো বাড়বে। দেশে স্বচ্ছতা বাড়বে, দুর্নীতি কমবে। এনবিআরের নীতি আরো সহজ করা দরকার। করবান্ধব করা দরকার। শেয়ারবাজারকে আরো চাঙ্গা করা দরকার।

তিনি বলেন, মাত্র ৩৫ লাখ লোক আয়কর নিবন্ধিত। ১৬ কোটি মানুষের দেশে এটা অন্তত ১ কোটি হওয়া উচিৎ। মাত্র ১৫ লাখ লোক আয়কর দেয়, এটা বাড়ানো দরকার।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রায় ৩০ লাখ বাস ট্রাক রয়েছে। করের আওতা বাড়াতে বাস-ট্রাকের মালিক-ড্রাইভার করের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে গ্রামের দোকানগুলোকেও করের আওতায় আনতে হবে।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ এপ্রিল ২০১৮/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়