ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ফারমার্স ব্যাংক কেলেঙ্কারি : তিনজন কারাগারে

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৪, ১৮ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফারমার্স ব্যাংক কেলেঙ্কারি : তিনজন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে চার দিনের রিমান্ড শেষে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম। আবেদনে বলা হয়, আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যে তথ্য দিয়েছেন তা পর্যালোচনা চলছে। প্রয়োজনে আবার তাদের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে।

অপরদিকে আসামিপক্ষে কাজী নজিবুল্লাহ হিরু জামিন প্রার্থনা করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকটির ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ।

গত ১০ এপ্রিল ওই তিন আসামির চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই দিনে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

১০ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বাধীন একটি দল।

এর আগে রাজধানীর গুলশান থানায় ওই অভিযোগে ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে দুদক।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- মাহবুবুল হক চিশতীর স্ত্রী রুজী চিশতী এবং  ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখার প্রাক্তন ব্যবস্থাপক ও বর্তমান সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখার মোট ২৫টি হিসাবে বেশিরভাগ অর্থ নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। হিসাবগুলোতে গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিং এর মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং নিজেদের নামে ক্রয়কৃত ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিল্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করেছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ এপ্রিল ২০১৮/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়