ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আবাসন শিল্পে নতুন বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ১৩ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আবাসন শিল্পে নতুন বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : আবাসন সমস্যা সমাধান কল্পে সরকারি কর্মচারীদের জন্য গৃহনির্মাণ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি  করায়, এই শিল্পে নতুন বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।

সোমবার রাজধানীর সুন্দরবন হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন। একই সাথে সকল সেক্টরে সিঙ্গেল ডিজিট সুদের ঋণ চালু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রথম) লিয়াকত আলী ভূইয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট-২ মো. আহকাম উল্লাহ, ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী, পরিচালক মোঃ আল আমিন, মো. আবু বকর সিদ্দিক, প্রকৌশলী মহিউদ্দিন সিকদার এবং জহির আহমেদসহ অন্যান্য নেতারা  উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে আবাসন শিল্পের নানা অবদানের কথা তুলে ধরা হয়। পরিপত্রের কারণে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে কম সুদে ঋণ পাওয়ার আশায় ফ্ল্যাট ক্রয়ের আগ্রহ বেড়েছে বলেও জানানো হয়। সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর হলে আবাসন খাতে স্থবিরতা কিছুটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে মনে করে রিহ্যাব। খুব দ্রুত এই পরিপত্র কার্যকর হবে এমন প্রত্যাশাও করেন রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, সবার জন্য বাসস্থান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ঘোষণার বাস্তব প্রতিফলন এই পরিপত্র। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে সাহসী এবং গতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

সেকেন্ডারি মার্কেট বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, সেকেন্ডারি মার্কেট বিষয়ে আমরা খুবই আশাবাদী। খুব দ্রুতই এ বিষয়ে সরকারের সম্মতি পাওয়া যাবে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবী ৫ শতাংশ সুদে গৃহঋণ পাবেন। পরিপত্রের আওতায় জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড ভেদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ এবং সর্বনিম্ন ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ নেওয়া যাবে। এ ঋণের মোট সুদহার ১০ শতাংশ। যার মধ্যে ৫ শতাংশ দিবে সরকার। আর বাকি ৫ শতাংশ ঋণ গ্রহীতা পরিশোধ করবে। ২০ বছর মেয়াদে এ ঋণ পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। পরিপত্র জারির আগে একজন সরকারি কর্মচারী সর্বোচ্চ ঋণ পেতেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। নতুন পরিপত্র অনুযায়ী সরকারের প্রায় ১২ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী গৃহনির্মাণে এ ঋণ সুবিধা পাবেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ আগস্ট ২০১৮/নাসির/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়