ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

অ্যান্টার্কটিকায় রহস্যজনক আয়তাকার হিমবাহ!

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ২৫ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অ্যান্টার্কটিকায় রহস্যজনক আয়তাকার হিমবাহ!

আহমেদ শরীফ : অ্যান্টার্কটিকায় আরো একটি বিশাল আয়তাকার বরফখণ্ডের সন্ধান পেয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। বরফ ঢাকা মহাদেশটির পূর্ব উপকূলে লারসেন সি আইস শেলফের কাছে এই বরফখণ্ড দেখা গেছে। এর আগে একই জায়গায় আরো একটি আয়তাকার বিশাল বরফখণ্ডের সন্ধান পায় নাসা। গবেষক জেরেমি হারব্যাক এই বিশাল আয়তাকার হিমবাহের সন্ধান পেয়েছেন।

গত বছরের জুলাইয়ে অ্যান্টার্কটিকার লারসেন সি আইস শেলফ থেকে  বিশাল এক হিমবাহ ভেঙে পড়ে। বিশ্ব উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে অ্যান্টার্কটিকার বড় এই হিমবাহ ভেঙে পড়া ও দ্রুত বরফ গলে সমুদ্রের পানি বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখছেন বিজ্ঞানীরা। এর মাঝে বিশাল আয়তাকার বরফখণ্ডের সন্ধান পেয়েছে নাসা, যা সেখানে ভিনগ্রহ প্রাণীর অস্তিত্ব নিয়ে ভাবাচ্ছে অনেক বিশেষজ্ঞকে।

গত বছরের জুলাই মাসে লারসেন সি আইস শেলফ থেকে ‘এ সিক্সটি এইট’ নামের যে বিশাল বরফখণ্ডটি ভেঙে পড়ে তার আকার ছিল ৫ হাজার ৮০০ বর্গ কিলোমিটার, যা আমেরিকার দেলওয়্যার প্রদেশের চেয়েও বড়। বিশাল এই হিমবাহ ৬২০ ফুট পুরু, যার মাত্র ১০০ ফুট সমুদ্রের পানির ওপর দেখা যায়, বাকি অংশ পানির নিচে আছে। বরফখণ্ডের ভেঙে পড়ার ইতিহাসে ‘এ সিক্সটি এইট’ ষষ্ঠতম বৃহৎ। মূলত ‘এ সিক্সটি এইট’ বরফখণ্ডের ছবি তুলতেই অ্যান্টার্কটিকার ওই এলাকায় যান গবেষক হারব্যাক ও তার দল। কিন্তু সেখানে আয়তাকার ওই হিমবাহের সন্ধান পেয়ে আশ্চর্য হন তিনি।

চিলি থেকে ৫ সপ্তাহের জন্য নাসার এই গবেষক দল হিমবাহ নিয়ে গবেষণা করতে ফের অ্যান্টার্কটিকা গেছেন। সি আইস শেলফের কাছে নতুন আরেকটি আয়তকার বরফখণ্ডের দেখা পেয়েছেন। অক্টোবরের ১০ তারিখ শুরু হওয়া তাদের এই গবেষণা চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। অ্যান্টার্কটিকার লারসেন এ, বি, সি শেলফ এলাকায় হিমবাহের আকার কিভাবে পরিবর্তন হচ্ছে, তা নিয়ে গবেষণা করবেন এই গবেষকরা।

নাসার আরেক বিজ্ঞানী কেলি ব্রান্ট জানিয়েছেন, টেবিউলার বা আয়তাকার হিমবাহ আকারে প্রায় ১ মাইল চওড়া হবে। সেখানে পিজ্জার আকারের একটি হিমবাহ আছে, যা ‘পিজ্জা বার্গ’ নামে পরিচিত। বিশ্ব উষ্ণতা বাড়ার কারণে অ্যান্টার্কটিকায় কিভাবে দ্রুত বরফ গলে যাচ্ছে, তা দীর্ঘদিন ধরেই পর্যবেক্ষণ করছেন বিজ্ঞানীরা। বিশাল ‘এ সিক্সটি এইট’ বরফখণ্ডটি ভেঙে পড়ার কারণে এখানে ১ লাখ ২০ হাজার বছর ধরে লুকিয়ে থাকা সমুদ্র তলদেশের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানে রহস্যজনক ইকোসিস্টেম থাকতে পারে, নতুন প্রজাতির প্রাণী থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। এ নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা।



তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ অক্টোবর ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়