ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘ওয়ালটনের গ্রহণযোগ্যতা আরো বৃদ্ধি পাবে’

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৭, ১২ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ওয়ালটনের গ্রহণযোগ্যতা আরো বৃদ্ধি পাবে’

ছবি : শাহীন ভূইয়া

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে সেরা করাদাতার স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনসহ ১৪১ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা সনদ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এ নিয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো সেরা করদাতার তালিকায় নাম লেখালো ওয়ালটন। এবারও ফার্ম ক্যাটাগরিতে ওয়ালটন মাইক্রোটেক করপোরেশন ও ওয়ালটন প্লাজা সেরা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা সনদ গ্রহণ করে ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (পলিসি, এইচআরএম অ্যান্ড অ্যাডমিন) এস এম জাহিদ হাসান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরকার যত ধরনের কর কিংবা ভ্যাট আরোপ করেছে, ওয়ালটন তা নিয়মিত দিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন পরপর তিনবার সেরা করদাতা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের স্বীকৃতি করদাতাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। এর ফলে মানুষ কর দিতে আরো উৎসাহিত হবে। দেশ এগিয়ে যাবে।’

টানা তিনবার ফার্ম ক্যাটাগরিতে ওয়ালটন সেরা হওয়ায় এ প্রতিষ্ঠানের প্রতি কি মানুষের প্রত্যাশা বেড়ে গেল? এমন প্রশ্নের জবাবে এস এম জাহিদ হাসান বলেন, ‘ওয়ালটন সব সময় স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যবসা করে থাকে। আমাদের এ অর্জনে সচেতন ক্রেতাদের মধ্যে ওয়ালটনের গ্রহণযোগ্যতা আরো বৃদ্ধি পাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ওয়ালটন শুধু আয়কর প্রদান করেই সেরা প্রতিষ্ঠান হয় না, ভ্যাট প্রদানের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ক্যাটগরিতে সেরা ভ্যাটদাতা হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, ওয়ালটন শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডে দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা প্রদান করেছে।’

এর আগে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে সেরা করদাতার স্বীকৃতি হিসেবে একই ক্যাটাগরিতে ওয়ালটন মাইক্রোটেক করপোরেশন ও ওয়ালটন প্লাজা ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা সনদ পেয়েছে।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান, মো. ইয়াকুব আলী ও মো. কাইয়ুম হাসান।

এবারে ফার্ম ক্যাটাগরিতে ওয়ালটনের পাশাপাশি মেসার্স এসএন করপোরেশন ও মেসার্স এএসবিএস ট্যাক্স কার্ড পেয়েছে।

সরকার ঘোষিত ‘জাতীয় ট্যাক্স কার্ড নীতিমালা-২০১০ (সংশোধিত)’ এর বিধান অনুযায়ী, ব্যক্তি শ্রেণিতে ৭৬ জন, কোম্পানি শ্রেণিতে ৫৪ ও অন্যান্য শ্রেণিতে ১১ করদাতাসহ ট্যাক্স কার্ডের জন্য মনোনীত করা হয় মোট ১৪১ জনকে।

ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ নাগরিক ক্যাটাগরিতে পাঁচজন, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পাঁচজন, প্রতিবন্ধী তিনজন, নারী পাঁচজন, তরুণ পাঁচজন, ব্যবসায়ী পাঁচজন, বেতনভোগী পাঁচজন, ডাক্তার পাঁচজন, সাংবাদিক পাঁচজন, আইনজীবী পাঁচজন , প্রকৌশলী তিনজন, স্থপতি তিনজন, অ্যাকাউন্ট্যান্ট তিনজন, নতুন করদাতা সাতজন, খেলোয়াড় তিনজন, অভিনেতা-অভিনেত্রী তিনজন, গায়ক-গায়িকা তিনজন এবং অন্যান্য ক্যাটাগরিতে তিনজনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। বাকি ট্যাক্স কার্ড কোম্পানি ও অন্যান্য ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত করা হয়।

কোম্পানিগুলোকে ট্যাক্স কার্ড দেওয়া হয় ১৪টি ক্যাটাগরিতে। এগুলো হচ্ছে- ব্যাংকিং, অব্যাংকিং আর্থিক, টেলিযোগাযোগ, প্রকৌশল, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, জ্বালানি, পাটশিল্প, স্পিনিং ও টেক্সটাইল, ওষুধ ও রসায়ন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, আবাসন, তৈরি পোশাক, চামড়াশিল্প ও অন্যান্য।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যান্য করদাতা পর্যায়ে ৪টি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয় আরো ১১টি ট্যাক্স কার্ড। ক্যাটাগরিগুলো হচ্ছে- ফার্ম, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ব্যক্তিসংঘ ও অন্যান্য।

যোগ্য করদাতা হিসেবে সবাইকে চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা সনদ দেবে সরকার। নীতিমালা অনুযায়ী, ট্যাক্স কার্ডধারীদের সরকার বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ জানাবে। যেকোনো ভ্রমণে সড়ক, বিমান বা জলপথে টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে তারা অগ্রাধিকার পাবেন।

স্ত্রী-স্বামী, নির্ভরশীল পুত্র-কন্যা নিজেদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কেবিন–সুবিধাও পাবেন তারা। এছাড়া, বিমানবন্দরে সিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার এবং তারকা হোটেলসহ সব আবাসিক হোটেলে বুকিং পাওয়ার ক্ষেত্রে তারা অগ্রাধিকার পাবেন। ট্যাক্স কার্ড দেওয়ার পর থেকে এর মেয়াদ থাকবে এক বছর।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ নভেম্বর ২০১৮/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়