ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নতুন আইনে ভ্যাটের হার হবে ১৫, ৭.৫ ও ৫ শতাংশ

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নতুন আইনে ভ্যাটের হার হবে ১৫, ৭.৫ ও ৫ শতাংশ

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন,নতুন ভ্যাট আইনে ভ্যাটের তিনটি হার হতে পারে। একক হার ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ, ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৫ শতাংশ হতে পারে।

সোমবার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারীদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।  জাতীয় পর্যায়ে ৯টি প্রতিষ্ঠান ও বৃহত্তর ঢাকার ২১টি প্রতিষ্ঠানকে অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হয়। তিন ক্যাটাগরিতে রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের হাতেও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় অনুষ্ঠানে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১-২২ সালে দেশে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হবে। এখন ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ আছে, ১০ শতাংশ আছে, ৭.৫ শতাংশ আছে, ৫ শতাংশও আছে। একটা বোধ হয় ৪ শতাংশ আছে। এখানেও আমরা ১৫ শতাংশ রেটে থাকব না। ১৫ শতাংশের পরিবর্তে তিনটি রেট করতে পারি—১৫ রাখেন, ৭.৫ রাখেন, ৫ রাখেন।’

‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ শীর্ষক নতুন ভ্যাট আইন ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে এই আইন কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘ট্যারিফ রেট কোথাও রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। যে পণ্যের দাম যেটা আছে, সেটাই থাকবে। সেই দাম সবসময় বিবেচিত হবে। যেখানে দেখবেন দাম খুব বেশি, সেখানে জিরো ট্যাক্স দিলেই হলো। রেন, আমাদের উচিত হবে এই ট্যারিফ রেটকে আস্তে আস্তে সম্পূর্ণরূপে বিদায় করে দেওয়া। আস্তে আস্তে বলছি এই কারণে, ট্যারিফ রেট এতো বিস্তৃত যে এটা হঠাৎ করে উঠিয়ে দিলে দেশের মঙ্গল হবে না। দেশের মঙ্গল হোক, দেশের স্বার্থে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এটিকে বিদায় করে দেওয়া উচিত।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘এনবিআরে অনেক সংস্কার হয়েছে। তবে ভাবতে হবে, আরো কিছু করার আছে কি না। সত্যি বলতে কী, কর অনুপাত দেখে আমরা লজ্জিত হই। নেপালের চেয়েও কম কেন আমাদের কর হার? আমাদের জিজ্ঞাসা করার সময় এসেছে। মানুষ কর দিতে চায়। কিন্তু পরিবেশ-পরিস্থিতি ও সিস্টেমের জন্য ভয় পায়। আমি মনে করি ভয়টা দূর করা প্রয়োজন। ইউনিয়ন পর্যায়ে খানা কর নিয়ে ভাবা যেতে পারে, এনবিআর বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।’

দুদক চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘দুদক কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগী নয়, সহযোগী। আমরা সবাইকে সহযোগিতা করতে চাই।’

অন্যদিকে সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দুদক ও এনবিআর এক হয়ে কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। উন্নত দেশে কর অনুপাত ২০ থেকে ৩০ ভাগ পর্যন্ত হয়ে থাকে। আমরাও উন্নত দেশের দিকে যাচ্ছি। ক্রমান্বয়ে সেই পর্যায়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের সামর্থ্য বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা আয়-রোজগার করেন। সবাই কর ও ভ্যাট দেবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘হয়রানিমুক্তভাবে আমরা আয়কর ও ভ্যাট দিতে চাই। আস্থার মাধ্যমে কর দিতে চাই। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চাই। চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত ভালো হয় না। এর উদাহরণ ভ্যাট আইন। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রী তখন দুই বছরের জন্য আইনটি স্থগিত করেছিলেন। তাই আমরা সব ক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চাই।’




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ ডিসেম্বর ২০১৮/এম এ রহমান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ