ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘ইয়র্কার মেশিন’ আলীর ক্রিকেটপ্রেম

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৯, ৭ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ইয়র্কার মেশিন’ আলীর ক্রিকেটপ্রেম

ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতারকে দেখে আলী খানের ক্রিকেটের প্রেমে পড়া। দিনে-দুপুরে ভাইদের সঙ্গে বাড়ির ছাদে চলে তার ক্রিকেট মহড়া। সন্ধ্যা নামতেই কৃত্রিম আলোয় ঘরের উঠোনে আবারো ক্রিকেট।

ক্রিকেটেই নাওয়া-খাওয়া!

তবে বড় পর্যায়ে ক্রিকেট খেলার সমর্থন নেই বাবা-মার। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে লাগবে পড়াশোনা। তাই পাড়ার ক্রিকেট খেলেই সন্তুষ্ট থাকতে হতো ‘ইয়র্কার মেশিন’ খেতাব পাওয়া আলী খানকে।

কিন্তু যার আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন তাকে কি আটকে রাখা যায়? পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিতেই দরজা খুলে যায় স্বপ্ন পূরণের। কাজের পাশাপাশি সাপ্তাহিক ছুটিতে চলে ক্লাব ক্রিকেট। দ্রুতগতির ডানহাতি বোলার ধীরে ধীরে নজর কাড়তে শুরু করেন স্থানীয়দের। এরপর আইসিসি আমেরিকাসের ট্রায়ালে আলী খান হাঁকান সিক্সার!

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি এবং বর্তমানে বাংলাদেশের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের নজরে পড়ে কপাল খুলে যায়। এরপর সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে যাওয়া। প্রতিভাবান এই ক্রিকেটার সুযোগ করে নেন আইসিসি আমেরিকাস দলে। সুযোগ আসে আরো বড় পর্যায়ে খেলার।



ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক কানাডা গ্লোবাল লিগে তাক লাগিয়ে দেন সবাইকে। শৈশবের নায়ক ওয়াকার ইউনিসের দলে সুযোগ পেয়ে আট ম্যাচে নেন ১০ উইকেট, আইসিসি সহযোগী দেশের কোনো বোলারের যা ছিল সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) নিজের প্রথম বলে পেয়েছিলেন কুমার সাঙ্গাকারার উইকেট। ২০১৮ সিপিএলে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে চার ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে দলের শিরোপা জয়ে রাখেন অবদান।

বল হাতে সুনাম কুড়ানোয় এবারের বিপিএলে আলী খানকে উড়িয়ে এনেছে খুলনা টাইটান্স। রোববার রংপুরের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন। শুরুর দুই ওভারে ১৪০ এর আশেপাশে বল করেছেন। শেষদিকে রান খরচ করলেও বল হাতে কারিশমা দেখিয়েছেন।

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্রিকেটারের সঙ্গে সোমবার কথা বলেছেন রাইজিংবিডি’র ক্রীড়া প্রতিবেদক ইয়াসিন হাসান। একান্ত আলাপ চারিতায় উঠে এসেছে আলী খানের ক্রিকেট প্রেমের গল্পসহ নানা আজানা তথ্য।

রাইজিংবিডি: গুড মর্নিং, রাতের ঘুম ভালো হয়েছে?
আলী খান: হয়েছে। তবে রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচটি জিততে পারলে আরো ভালো হতো।

রাইজিংবিডি: যদিও ম্যাচটি হেরেছেন, আপনার বোলিং নিয়ে তো সন্তুষ্ট?
আলী খান: কিছুটা। তবে ম্যাচ জয় গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ফলের জন্য খেলছেন। আপনার পক্ষে যদি ফল না আসে তাহলে সকল ভালো কাজ আড়াল হয়ে যায়।



রাইজিংবিডি
: সপ্তাহ খানেকও হয়নি বাংলাদেশে এসেছেন যতটুকু সময় কাটিয়েছেন কেমন লাগছে?
আলী খান: বাংলাদেশে প্রথমবার এসেছি। দারুণ দেশ। অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভালো অনুশীলন হয়েছে আমাদের। গতকালই প্রথম ম্যাচ খেলেছি। এখন পর্যন্ত খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ এবং কর্মকর্তাদের থেকে যে সমর্থন পাচ্ছি, তাতে খুবই ভালো লাগছে। খুলনা টাইটান্সকে ধন্যবাদ আমাকে এ পরিবারে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

রাইজিংবিডি: প্রথমবার যখন জানলেন খুলনা টাইটান্স আপনাকে দলে নিয়েছে ওই সময়টায় কেমন অনুভূতি হয়েছিল?
আলী খান: এই সুযোগটি আমার জন্য অনেক কিছু। এখনো মনে আছে আমি খুবই খুশি এবং রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম। বিপিএল আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে এর আগে কখনো খেলিনি। বিপিএল টেলিভিশনে দেখেছি। তাই টুর্নামেন্টটি আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি দলের হয়ে ভালো কিছু করতে পারব।

রাইজিংবিডি: সিপিএল এবং কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আপনার বোলিং উন্নতিতে কতটুকু ভূমিকা রাখছে?
আলী খান: অনেক ভূমিকা রাখছে। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টির পর উন্নতিটা বেশি চোখে পড়ছে। ওখানে ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে কাজ করেছি। এরপর সিপিএলে টিকেআর (ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের) এর হয়ে খেলেছি। ওখানেও শেখার মধ্যেই ছিলাম। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রত্যেকের ক্রিকেট-জ্ঞান বোঝার চেষ্টা করেছি। সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। সময়ের সাথে সাথে আমি আরো অভিজ্ঞতা অর্জন করছি।

রাইজিংবিডি: এখানে মাহেলা জয়াবর্ধনের (খুলনার কোচ) সঙ্গে কাজ করছেন উনার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন হচ্ছে?
আলী খান: অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। ক্রিকেটে তিনি কিংবদন্তি। তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। তার কাছ থেকে এ সময়ের মধ্যেই অনেক জ্ঞান অর্জন করেছি। আশা করছি পুরো টুর্নামেন্টে যেটুকু সময় তার কাছ থেকে পাব, সেগুলোকে পুরোপুরি ব্যবহার করব। এখন উনি একটা কথাই বলেছেন, আমাকে ছন্দে থাকতে, নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে।

রাইজিংবিডি: কোনো লক্ষ্য স্থির করে বিপিএলে এসেছেন?
আলী খান: আমি যত বেশি উইকেট নিতে পারব আমাদের দলের জন্য তত ভালো হবে। দলকে জেতাতে চাই। এটাই একমাত্র চাওয়া।



রাইজিংবিডি
: ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে আপনার অনুপ্রেরণা কী ছিল?
আলী খান: আমি পাকিস্তানে বড় হয়েছি। ওখানে এটাই প্রধান খেলা। আমি ছোটকাল থেকেই ক্রিকেট খেলা দেখতাম। ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতারের বড় ভক্ত আমি। ব্রেট লিকেও বেশ পছন্দ। তাদেরকে দেখেই বড় হয়েছি। ছোটকালে তাদের খেলা দেখে বড় হতে হতে ক্রিকেটের প্রেমে পড়া।

রাইজিংবিডি: শৈশবের ক্রিকেট কেমন ছিল?
আলী খান: বাড়ির ছাদে ভাইদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছি। চাচাতো ভাইয়েরাও আমাদের সঙ্গে খেলত। রাত হলে বাড়িতে ক্রিকেট খেলতাম। জানালার গ্লাস ভাঙতাম, রাস্তার বাতি ভাঙতাম। দারুণ ছিল সেই দিনগুলো।

রাইজিংবিডি: পাকিস্তান ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে কবে গেলেন এর পেছনে কারণ কী ছিল?
আলী খান: আমাদের পুরো পরিবার ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসে। নয় বছর হলো আমরা এখানেই থাকছি। পারিবারিক কারণেই আমরা শিফট করেছি।

রাইজিংবিডি: যুক্তরাষ্ট্রে কীভাবে ক্রিকেট খেলা শুরু করলেন?
আলী খান: যুক্তরাষ্টে প্রথমে স্থানীয় ক্লাব ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি। এরপর ইউএসএ সুপার কাপে খেলেছি। যুক্তরাষ্ট্রে এটা সবচেয়ে বড় টুর্নামন্ট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা এখানে এসে খেলে থাকেন। ওখানে আমার পারফরম্যান্স প্রথম আত্মপ্রকাশ পায়। স্থানীয় ক্রিকেটে আমাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরপর ২০১৫ সালে আইসিসি ও আমেরিকার যৌথ উদ্যোগে দল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। আমি ট্রায়ালে অংশ নিই এবং ৯০ জনের ট্রায়াল থেকে সেরা ১৪-তে আমি টিকে যাই।

রাইজিংবিডি: কোর্টনি ওয়ালশের মন গলাতে পেরেছিলেন আপনি?
আলী খান: উনি ওই সময়ে ওখানে নির্বাচকের ভূমিকায় ছিলেন। আমাকে সেরা একাদশে সুযোগ করে দিতে উনার ভূমিকা ছিল। ট্রায়ালে আমি আমার শতভাগ উজার করে দিয়েছিলাম। উনারা আমাকে দেখবেন, ভালো করলে নেবেন, এমন ভাবনা আর বিশ্বাস ছিল মনে।

রাইজিংবিডি: যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট খেলা কতটুকু কঠিন?
আলী খান: আমি যখন প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে আসি, প্রথমে একটা মোবাইল ফোনের কোম্পানিতে কাজ শুরু করি। আমি ধরে নিয়েছিলাম আমার জীবনে ক্রিকেটার হয়ে ওঠা হবে না। আর আমি কখনো শুনিওনি যে, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ক্রিকেট দল আছে বা ওরা ক্রিকেট খেলে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে ক্রিকেট খেলা অতটা সহজ না। যদি আপনি পুরো সময় কাজ করে থাকেন তাহলে আপনি অনুশীলনের কোনো সুযোগ পাবেন না। আপনাকে শুধুমাত্র সাপ্তাহিক ছুটিতেই খেলতে হবে। আমার শুরুটা ওভাবেই হয়েছিল।



রাইজিংবিডি
: কিন্তু এখন তো ক্রিকেট আপনার জীবন গড়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিত্ব পেয়েছেন
আলী খান: হ্যাঁ, এটা সত্যি ক্রিকেট আমাকে এখন অনেক কিছু দিয়েছে। আমাকে দেখে অনেক তরুণ ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। সেজন্য আমার ভেতর থেকে ভালো করার তাড়না জন্মাচ্ছে। আমি ভালো খেললে হয়তো আরো অনেকে অনুপ্রাণিত হবে।

রাইজিংবিডি: সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগ ডিভিশন -তে উঠেছে প্রথবারের মতো আপনাদের ক্রিকেটে এত বড় অর্জন
আলী খান: হ্যাঁ, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। এর আগে কখনোই এত বড় সাফল্য পাওয়া যায়নি। আমরা ওয়ানডে স্ট্যাটাস থেকে মাত্র এক কদম পিছিয়ে আছি। আমাদের দ্বিতীয় ডিভিশনের খেলা কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে। আমরা যদি ওই টুর্নামেন্টে সেরা চারে থাকতে পারি, তাহলে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেয়ে যাব।

রাইজিংবিডি: যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটের গ্রহণযোগ্যতা কেমন
আলী খান: এখনো ক্রিকেট ওভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। আমরা সিঁড়ি বেয়ে ধাপে ধাপে ওপরে উঠছি। আমরা এখন ডিভিশন ২-এ আছি। ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেলে আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য থাকবে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। একবার যদি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারি, তাহলে অনেককেই আমরা পাশে পাব। 

রাইজিংবিডি: আগামী পাঁচ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটকে আপনি কোথায় দেখতে চান?
আলী খান: আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা বিশ্বকাপ খেলব।

রাইজিংবিডি: ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেতে কত সময় লাগতে পারে?
আলী খান: আমরা শুধুমাত্র একটা টুর্নামেন্ট থেকে পিছিয়ে আছি। ডিভিশন ২-এর টুর্নামেন্ট আগামী এপ্রিলে হবে। ছয় দলের মধ্যে সেরা চারে থাকতে পারলে আমরা ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাব। কয়েক মাসের মধ্যে সুখবর পাবেন।

রাইজিংবিডি: সিপিএলে কুমার সাঙ্গাকারাকে প্রথম বলে আউট করেছিলেন
আলী খান: আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এখনো পর্যন্ত সেরা অর্জন এটা। সাঙ্গাকারা ক্রিকেটের কিংবদন্তি। যে কোনো বোলারের অরাধ্য উইকেট। আমি সিপিএলের প্রথম বলে তার উইকেট পাব ভাবিনি। বেশ খুশি হয়েছিলাম সেদিন।



রাইজিংবিডি
: বোলিংয়ে আপনার মূল শক্তির জায়গা কোনটি?
আলী খান: গতি এবং ইয়র্কার।

রাইজিংবিডি: ইয়র্কার মেশিন নামটি কীভাবে পেয়েছেন?
আলী খান: পাকিস্তানে আমি টেপ বলে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। ওখানে প্রায়ই ইয়র্কার বল করতাম। সেখান থেকে আমাকে সবাই ইয়র্কার মেশিন বলে ডাকত। আমাকে আমার নামের থেকে ইয়র্কার মেশিন নামে অনেকে চিনত। টেপ বলের পর ক্রিকেট বলেও আমি ইয়র্কার মারা শুরু করি। এখানেও আমি সফল। এটা আমার বোলিংয়ের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা।

রাইজিংবিডি : আপনার আইডল ক্রিকেটার?
আলী খান: শোয়েব আখতার আমার সব সময়ের পছন্দের। ইয়র্কারে উনি ছিলেন দুর্দান্ত। গতি ছিল চরম। আমি তাকে অনুসরণ করতাম। ছোটবেলায় তার মতো বোলিংয়ের চেষ্টা করতাম।

রাইজিংবিডি: নিজেকে যদি তিন শব্দে বর্ণনা করতে বলা হয় তাহলে কী বলবেন?
আলী খান: ফাস্ট, ফিউরিয়াস, ইয়র্কার কিং।



রাইজিংবিড: চার শব্দ হয়ে গেল
আলী খান: এখন আর কিছু খুঁজে পাচ্ছি না।

রাইজিংবিডি: ক্রিকেটে আপনার স্বপ্ন...
আলী খান: এ মুহূর্তে স্বপ্ন বলতে…আপিএল খেলতে চাই। আমার বিশ্বাস আমি যদি কঠোর পরিশ্রম করি এবং নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারি যে কোনো দিন আইপিএল সুযোগ পাব।

রাইজিংবিডি: সবশেষে পরিবার নিয়ে জানতে চাইবো..
আলী খান: তারা এখন আমাকে অনেক সাপোর্ট করছে। আমার পাশে আছে। আমি ভালো করতে চাই। চাই পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ জানুয়ারি ২০১৯/ইয়াসিন/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়