রাইফার মৃত্যু : তদন্ত শুরু করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কমিটি
সচিবালয় প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় শিশু রাফিদা খান রাইফার মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। এই বিশেষ কমিটি আজ থেকে তাদের তদন্ত কাজ শুরু করবে।
মন্ত্রণালয় সূ্ত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, চার সদস্যের এই কমিটির আহ্ববায়ক হলেন-স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সাইফুল্লাহিল আজম। এ ছাড়া কমিটিতে বিএমডিসির একজন প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি এবং চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত কাজ শুরু করবেন। মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, তদন্তকালীন সময়ে তদন্ত কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাইফার বাবা সাংবাদিক রুবেল খান, ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী খান, ডা. বিধান রায় চৌধুরী, ডা. দেবাশীষ সেন গুপ্ত এবং ডা. শুভ্র দেবকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
দৈনিক সমকালের চট্টগ্রাম ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুবেল খানের আড়াই বছর বয়সী মেয়ে রাইফা গলায় ব্যথা নিয়ে গত ২৮ জুন বিকেলে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ২৯ জুন রাতে তার মৃত্যু হয়। ‘ভুল চিকিৎসায়’ তার মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করে বিক্ষোভ করেন সাংবাদিকরা। পরে ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি এ ঘটনার তদন্ত করে।
সিভিল সার্জনের নেতৃত্বাধীন কমিটির প্রতিবেদনে কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা এবং গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
সিভিল সার্জনের কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রাইফা যখন তীব্র খিঁচুনিতে আক্রান্ত হয় তখন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের অনভিজ্ঞতা ও আন্তরিকতার অভাব পরিলক্ষিত হয় এবং ওই সময়ে থাকা সংশ্লিষ্ট নার্সদের আন্তরিকতার অভাব না থাকলেও এ রকম জটিল পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মত দক্ষতা বা জ্ঞান কোনোটাই তাদের ছিল না।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. বিধান রায় চৌধুরী শিশুটিকে যথেষ্ট সময় ও মনোযোগ সহকারে পরীক্ষা করে দেখেননি। ডা. দেবাশীষ সেন গুপ্ত ও ডা. শুভ্র দেব শিশুটির রোগ জটিলতার বিপদকালীন সময়ে আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা প্রদান করেননি বলে শিশুর পিতা-মাতা যে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, যাহা এই তিন চিকিৎসকের বেলায় সত্য বলে প্রতীয়মান হয়।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ জানুয়ারি ২০১৯/হাসান/ইভা
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন