ওয়ালটনের আইপিও রোড শো আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে আসছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। খুব শিগগিরই বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) যাচ্ছে ওয়ালটন। যার প্রথম ধাপে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস ২০১৫ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি আয়োজন করেছে রোড শো।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটনের করপোরেট অফিসে উক্ত রোড শো অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানির পরিচিতি, আর্থিক অবস্থা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং আইপিও সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে।

বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি পণ্যের উৎপাদনে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে ওয়ালটন তথা দেশের উন্নয়নের অংশীদার করার উদ্দেশ্যে ওয়ালটন পুঁজিবাজারে আসছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে ওয়ালটনকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আরো ব্যাপকভাবে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৮) হিসাব অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (EPS) হয়েছে ১০ টাকা ৫৯ পয়সা এবং নিট পরিসম্পদ (NAV) মূল্য ২০৮ টাকা। পুঞ্জিভূত মুনাফার (Retained Earnings) পরিমাণ ২,৭৯৮.১৩ কোটি টাকা এবং শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (NOCF) এর পরিমাণ ১৭.২০ টাকা।

শেয়ার বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে ওয়ালটন। উত্তোলিত এ অর্থ ওয়ালটনের কারখানার সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন, গবেষণা ও মান উন্নয়ন, ব্যাংক লোনের আংশিক দায় পরিশোধ এবং আইপিও খরচ সংকুলান খাতে ব্যয় করা হবে।

ট্রিপল এ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডকে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে এবং প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডকে রেজিস্ট্রার টু দ্য ইস্যু হিসেবে কাজ করছে।

কোম্পানি সেক্রেটারি মো. ইয়াকুব আলী এফসিএ বলেন, শুরু থেকেই ওয়ালটন অপেক্ষাকৃত কম দামে বিশ্বমানের পণ্য বাজারে সরবরাহ করার ব্যাপারে সচেষ্ট ছিল। যার ফলে সাশ্রয়ী মূল্যে আকর্ষণীয় ডিজাইনের উচ্চ গুণগতমানের ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য ক্রেতাদের হাতের নাগালে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া, ওয়ালটন তার পণ্যকে বহুজাতিক রূপ দেওয়ার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আবহাওয়ার উপযোগী করে তৈরি করছে। পণ্য উৎপাদন ক্ষেত্রে ওয়ালটন ব্যবহার করছে বিশ্বের সর্বাধুনিক এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি। যার ফলে ওয়ালটন দেশে বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে সফল দৃষ্টান্ত। গ্রাহকপ্রিয়তায় ওয়ালটন দেশের এক নম্বর ব্র্যান্ড এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্রেডিট রেটিং এর সর্বোচ্চ মানদণ্ড ট্রিপল এ (AAA) রেটেড কোম্পানি।

আগ্রহী ও উপযুক্ত বিনিয়োগকারীদের রোড শো-তে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও সঞ্চয়, খেলাধুলার প্রসার ও বিকাশ এবং সবুজ প্রযুক্তি (গ্রিন টেকনোলজি) ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষাসহ জিডিপি বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখছে ওয়ালটন।

ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং সিএফও আবুল বাসার হাওলাদার বলেন, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি পণ্যের পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। এটি একটি বিশ্বস্ত ও মর্যাদাপূর্ণ ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বিশ্ব পরিমণ্ডলে ওয়ালটন গ্লোবাল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সেই সাথে ওয়ালটন অংশ নিচ্ছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সব প্রতিযোগিতা এবং শীর্ষ বাণিজ্য মেলাগুলোতে। ওয়ালটনের এই অগ্রগতিতে সামিল হবে সাধারণ জনগণ, এ উদ্দেশ্যেই পুঁজিবাজারে আসা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ জানুয়ারি ২০১৯/অগাস্টিন সুজন/সাইফ