ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কর্ণফুলী টানেল : নদীর তলদেশে খনন শুরু ২৪ ফেব্রুয়ারি

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কর্ণফুলী টানেল : নদীর তলদেশে খনন শুরু ২৪ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মিত হচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে। এই টানেলের মূল কাজ নদীর তলদেশে খননকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে খননকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

নদীর তলদেশ খননের মূল খননযন্ত্র ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। মূল খননকাজ ব্যতীত টানেলের দুই তীরের আনুষাঙ্গিক প্রায় ৩০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

চট্টগ্রামের নেভাল একাডেমি থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নদীর অপর পাড়ে আনোয়ারা উপজেলা পর্যন্ত সোয়া তিন কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটি নির্মিত হচ্ছে। টানেলের ভেতর দিয়ে থাকবে চার লেনের মহাসড়ক।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, টানেলের মূল খননকাজের উদ্বোধন উপলক্ষে পরিপূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দেওয়ায় সেতু সচিব ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন।



প্রকল্প পরিচালক জানান, ৮ হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের আর্থিক সহায়তায় এই টানেলটি নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার এবং চীন সরকার ৭০৫ দশমিক ৮০ মিলিয়ন ডলার। টানেল নির্মাণে চীন থেকে ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে এসেছে বিশালাকৃতির টিবিএম মেশিন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)। ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে প্রকল্পের কাজ শুরুর সময় গণনা ধরে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কর্ণফুলীর তলদেশে মাটি খুঁড়ে টিউব ঢোকানোর জন্য চীন থেকে আনা ৯৪ মিটার দীর্ঘ ও ২২ হাজার টন ওজনের বোরিং মেশিন দিয়ে নদীর তলদেশে মূল খননকাজ শুরু হবে। এই খননের মাধ্যমে নদীর তলদেশে মোট দুটি টিউব নির্মাণ ও স্থাপন করা হবে। এর একটি দিয়ে গাড়ি শহরপ্রান্ত থেকে প্রবেশ করে আনোয়ারা উপজেলার দিকে যাবে, আরেকটি টিউব দিয়ে অপর পাড় তথা আনোয়ারা প্রান্ত থেকে শহর প্রান্তের দিকে আসবে।

টানেলের প্রতিটি টিউব চওড়ায় হবে ৩৫ ফুট এবং উচ্চতায় প্রায় ১৬ ফুট। বঙ্গবন্ধুর নামে এই টানেলটির নামকরণের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।




রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/রেজাউল/সাইফুল/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়