ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ অর্জনে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ অর্জনে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ অর্জনে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (পলিসি, এইচআরএম অ্যান্ড অ্যাডমিন) এস এম জাহিদ হাসান।

সোমবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন গ্রুপের কর্পোরেট অফিসে ‘উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন কলাকৌশল’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধনকালে এই কথা বলেন তিনি।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এবং ওয়ালটন গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে দুদিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞ এস এম জাহিদ হাসান আরো বলেন, কৃষি, শিল্প, সেবাসহ সব খাত ও উপখাতে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার পাশাপাশি সহযোদ্ধা হিসেবে এর কর্মীদেরও দক্ষতা ও আন্তরিকতার বিকল্প নেই। পাশাপাশি যে কোনো উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের জন্য এবং জাতীয় অর্থনীতিতে উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব অপরিসীম। এটি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নয়নের গতিকে তরান্বিত করে। উৎপাদনশীলতা এটি দেশের টেকসই উন্নয়ন তথা জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের অন্যতম চাবিকাঠি।



তিনি বলেন, মানুষ হচ্ছে অপার সম্ভাবনার একটি আশ্চর্যজনক ডিভাইস। সৃষ্টির সব ধরনের উপকরণ নিয়ে মানুষ কাজ করতে পারে, নিত্যনতুন ‍সৃষ্টি করতে পারে। তবে এ জন্য প্রতিনিয়ত শেখার এবং জ্ঞানার্জনের বিকল্প নেই।

এস এম জাহিদ হাসান আরো বলেন, আমরা নিজেরাই অনেক ক্ষেত্রে অজ্ঞ থাকি নিজেদের সক্ষমতা সর্ম্পকে। তাই নিজেকে জানা সর্বাগ্রে প্রয়োজন। এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচী আত্মউপলদ্ধি এবং আত্মউন্নয়নে সহায়তা করে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের আগামীদিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ওয়ালটন সবসময় কর্মীবান্ধব। পাশাপাশি ওয়ালটন দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিবেশের সুরক্ষার কথা আগে চিন্তা করে, জাতীয় দায়বদ্ধতার বিষয়টি মাথায় রাখে, দেশের সকল স্তরের মানুষের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস পণ্যের চাহিদা পূরণে সাধ এবং সাধ্যের কথা বিবেচনা করে।

তিনি আরো বলেন, ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্র্যান্ড হতে রোডম্যাপ তৈরি করেছে ওয়ালটন। এই লক্ষ্য অর্জনে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি কর্ম-পরিকল্পনা। এক্ষেত্রেও দক্ষ কর্মীর বিকল্প নেই। তাই প্রতিনিয়ত শেখা, প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার প্রতি জোর দেওয়া প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন গ্রুপের ডেপুটি ডিরেক্টর মো. রওশন আলী বুলবুল বলেন, ব্যক্তিগত কিংবা পেশাগত সবক্ষেত্রেই সফলতা অর্জন করতে হলে প্রতিনিয়ত শেখার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেটি প্রয়োগ করতে হবে।



তিনি বলেন, একজন কর্মীর মানসিকতা এমন হওয়া উচিত যে, শিখছেন ভুলছেন, আবার শিখছেন। তাহলেই কেবল আপনার জানাটা মজবুত হবে, আপনার দক্ষতা বাড়বে। ওয়ালটন গ্রুপে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন অব্যাহত থাকবে।

দুদিন ব্যাপী এবং প্রশিক্ষন কর্মসূচীতে শিল্প মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন কলাকৌশল’ শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর লক্ষ্য উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য কারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ, গবেষণা, কারিগরী সহায়তা ও উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে দ্রব্য/সেবার উৎপাদন বৃদ্ধি, গুণগত পদ্ধতির উন্নয়ন এবং দক্ষ জনবল তৈরি। এনপিও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীতা বাড়াতে নিয়মিত এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর সমন্বয় করে ওয়ালটন গ্রুপের প্রশিক্ষণ ও ‍উন্নয়ন বিভাগ এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের এনপিও । এতে ওয়ালটন গ্রুপের মোবাইল, প্রশিক্ষণ ও ‍উন্নয়ন বিভাগ, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং প্রজেক্ট ম্যানেজেমেন্ট বিভাগের মোট ৩৪ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/হাসান/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়