ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ওয়ালটন এসি কুইজ বিজয়ীদের নেপাল ভ্রমণ

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ওয়ালটন এসি কুইজ বিজয়ীদের নেপাল ভ্রমণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্রেতা ও ব্যবহারকারীদের বিক্রয়োত্তর সেবার পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রমও পরিচালনা করছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। এর অংশ হিসেবে এসি বিক্রির পাশাপাশি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। এ ধরনের ক্যাম্পেইনের কুইজ বিজয়ী ২০ জন ভাগ্যবান ঘুরে এলেন নৈসর্গিক সৌন্দর্যের দেশ নেপাল।

বিজয়ী দলের মধ্যে ছিলেন- ওয়ালটন প্লাজা ও ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটরের সেলস ম্যানেজার, সার্ভিস ভেন্ডর ও প্রশিক্ষক, ২০১৮ সালের সর্বোচ্চ এসি বিক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকারী ওয়ালটন প্লাজা, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটরের সেলস মনিটর ও এরিয়া ম্যানেজার, ওয়ালটনের এসি শাখার প্রোডাক্ট ম্যানজার এবং চিফ অপারেটিং অফিসার।

‘যত হবে জানা, তত বাড়বে বেচাকেনা’ এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয় ‘ওয়ালটন এয়ারকন্ডিশনারের আদ্যোপান্ত’ শীর্ষক টিউটোরিয়ালধর্মী বইয়ের মাধ্যমে। ওয়ালটন শোরুমে বইটি বিতরণ করা হয়। বইতে ৩০টি প্রশ্ন ছিল। এসব প্রশ্নের সর্বোচ্চ সঠিক উত্তরদাতার মধ্য থেকে ৩৩ জন বিজয়ী নির্বাচন করা হয়। এর মধ্য থেকে প্রথম দফায় ২০ জন গিয়েছিলেন নেপালে।

ক্যাম্পেইন বা প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয় গত বছরের ‌আগস্টে। গ্রাহকসেবা আরো উন্নত করার লক্ষ্যে ওয়ালটন এ‌সি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষামূলক প্রশ্নোত্তরভিত্তিক এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এ সংক্রান্ত কুইজে অংশ নেন সার্ভিস ভেন্ডর, প্লাজা/ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর ও মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর।



‘ওয়ালটন এয়ারকন্ডিশনারের আদ্যোপান্ত’ শীর্ষক টিউটোরিয়ালধর্মী বইটিতে মোট ১২টি পরিচ্ছেদে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা রয়েছে। বিষয়গুলো হচ্ছে- সাধারণ বৈশিষ্ট্য, সঠিক ক্যাপাসিটি-সমৃদ্ধ এসি নির্বাচনের ধাপসমূহ, গ্রাহককে যা জানানো প্রয়োজন, ইনস্টলেশন সংক্রান্ত তথ্য, রিমোটের কার্যপদ্ধতি, ব্যবহারিক নিরাপত্তা ও পরিষ্কারকরণ-সংক্রান্ত সাধারণ নির্দেশনা, এসির সাধারণ সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান, পরিষ্কারকরণের ধাপসমূহ, সার্ভিস এক্সপার্টদের করণীয়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা, বিদ্যুৎ বিলের হিসাব এবং সমস্যা নির্দেশনা।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা দেখি, এসি লাগানোর পরও কাঙ্ক্ষিত ঠান্ডা পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে রুমের মাপ জেনে এসি নির্বাচন করার কোনো বিকল্প নেই। যেমন: একটি রুমের দৈর্ঘ্য ১২ ফুট, প্রস্থ ১২ ফুট এবং উচ্চতা ১০ ফুট হলে রুমের সাইজ হবে (১২*১২*১০) ১৪৪০ ঘনফুট। এক্ষেত্রে ১৮০০০ বিটিইউ মডেলের এসি আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। না হলে আপনি কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবেন না। আবার, এসি লাইফটাইম বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অ্যা‌ম্পিয়ারের সকেট ব্যবহার করা উচিত। এসব গুরুত্বপূ্র্ণ বিষয় সম্পর্কে বিশদ বিবরণ রয়েছে বইটিতে।

ওয়ালটন এসির চিফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী ইসহাক রনি বলেন, এসি একটি হাই-টেক প্রোডাক্ট। শুধু এসি বানালে চলবে না। এর উপযুক্ত ব্যবহারবিধি জানানো এবং ব্যবহার নিশ্চিত করাও জরুরি। বিক্রেতাদের মাধ্যমে এসির সঠিক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জানতে পারবেন ক্রেতারা। তাই বিক্রেতা এবং সার্ভিস ভেন্ডরদেরও এসির প্রযুক্তি, ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। 



প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশের আবহাওয়া উপযোগী অসংখ্য মডেলের এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। স্থানীয় বাজারে যেকোনো ব্র্যান্ডের চেয়ে উচ্চ গুণগত মানের এসি উৎপাদন করছে প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘস্থায়িত্বের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে গোল্ডেন ফিন। ওয়ালটন এসিতে সংযোজন করা হয়েছে আয়োনাইজার প্রযুক্তিও। এটি ব্যবহারে রুমের বাতাস থাকে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত। সাধারণ এসির তুলনায় ওয়ালটনের ইনভার্টার এসি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎসাশ্রয়ী। ওয়ালটন এসিতে আরো ব্যবহার করা হচ্ছে গোল্ডেন কালার ফিন প্রযুক্তি, যা এসির স্থায়িত্ব বাড়ায়।

ওয়ালটন এসির কম্প্রেসরে রয়েছে সর্বোচ্চ ১০ বছরের গ্যারান্টি। এছাড়া, ছয় মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি থাকছে এসিতে। আরো রয়েছে ৩ বছর পর্যন্ত ফ্রি বিক্রয়োত্তর সুবিধা। দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরসহ বর্তমানে ৪৩টি জেলা শহরে রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কর্তৃক পরিচালিত সার্ভিস সেন্টার।

এদিকে, সম্প্রতি দেশেই আন্তর্জাতিক মানের বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ভিআরএফ (ভেরিয়েবল রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো) এসি উৎপাদন প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন।

প্রকৌশলীরা জানান, ভিআরএফ প্রযুক্তিকে বলা হয়, চতুর্থ প্রজন্মের সবচেয়ে আধুনিক শীতাতপনিয়ন্ত্রণ বা এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবস্থা। একই সময়ে পুরো ভবনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে এ প্রযুক্তি। একটি ভবনের ইনডোর এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটগুলোকে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। ওয়ালটনের ভিআরএফ এসিতে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে কমফোর্ট কুলিং এবং ডুয়েল সেন্সিং সিস্টেম। ফলে, প্রয়োজন অনুযায়ী ঠান্ডা ও গরম বাতাস পাওয়া যাবে। এটি সুবিধামতো ঘরের যেকোনো স্থানে স্বল্প পরিসরে স্থাপন করা যাবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/হাসান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়