ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়ায় চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৩, ১১ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অস্ট্রেলিয়ায় চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। ২০০৪ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে বেড়ে ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশি চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির বিশাল সুযোগ রয়েছে, যা বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব।

সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওবায়দুর রহমান, সহসভাপতি নেসার মাকসুদ খান, মহাসচিব শাকিল আহমেদ খান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মহীউদ্দিন আহমেদ মাহিন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, শিল্প খাতে বিনিয়োগ এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সফর বিনিময়ের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

এ সময় চেম্বারের নেতারা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক ইত্যাদি রপ্তানি করছে। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হচ্ছে। নির্ধারিত কমপ্লায়েন্স অনুসরণ করলে অস্ট্রেলিয়ায় চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানিও বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।

তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে সরকারের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশের অন্যতম ব্যবসায়িক ও উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ খাতে ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তিনি বাংলাদেশের চিনি শিল্পে বিনিয়োগে অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে চেম্বার নেতাদের আহ্বান জানান।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে রাসায়নিক সার, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, তথ্য প্রযুক্তি, ওষুধ ও চামড়া খাতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। উদীয়মান শিল্প খাতেও অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চাইলে তাদের জন্য পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দ দেওয়া হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ মার্চ ২০১৯/নাসির/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়