মিথ্যা ঘোষণা ও চোরাচালানে ৩০০ টেক্সটাইল বন্ধ হয়েছে
ফাইল ফটো
নিজস্ব প্রতিবেদক : শুল্কমুক্ত সুবিধা, মিসডিকলারেশন ও চোরাচালানের মাধ্যমে অবাধে পণ্য বিক্রয়ের কারণে গত এক বছরে টেক্সটাইল খাতের প্রায় ৩০০ বা তার বেশি কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
বুধবার দুপুরে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন এ কথা বলেন। এ সময় টেক্সটাইলের বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, কতিপয় ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা বন্ড বিক্রি করেই খায়। তারা এ কাজের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এরা বিজিএমইএ কিংবা বিটিএমইএ এর সদস্য হতে পারে। তবে যে সংগঠনেরই সদস্য হোক না কেন আমাদের দাবি থাকবে সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
তিনি বলেন, আমাদের স্থানীয় বাজারটি ৭৫ হাজার কোটি টাকার মতো। এখাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ লাখ ২০ কোটি টাকার মতো। অথচ শুল্কমুক্ত, মিসডিকলারেশন ও চোরাচালানের মাধ্যমে আনিত সুতা ও কাপড়সহ অন্যান্য ড্রেস জাতীয় পণ্য স্থানীয় বাজারে অবাধ বিক্রয়ের কারণে বাজার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হয় এবং টেক্সটাইলকে ভ্যাটের আওতায় আনা হয় এ পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে। আমাদের জানা মতে গত ১ বছরে টেক্সটাইল খাতের প্রায় ৩০০ বা তার বেশি কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
খোকন বলেন, কাস্টমস ডিউটি ফ্রি সুবিধার অধীনে মিস-ডিকলারেশনে স্থানীয় বাজারে সুতা ও কাপড় বিক্রয়ের কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের এক লাখ পাওয়ার লুম কারখানার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ লুম বন্ধ হয়ে গেছে। যা নরসিংদী, মাধবদী, বাবুর-হাট, রূপগঞ্জ, আড়াইবাজার, পাবনা ও সিরাজগঞ্জে স্থাপিত ছিল।
ঋণ খেলাপিদের পুন:তফসিলিকরণ সুযোগের তথ্য দিয়ে খোকন বলেন, সরকার ঋণ প্রকৃত ঋণ ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টসহ ঋণ পুন:তফসিলিকরণ এবং তা ৭ শতাংশ সুদে ১২ বছরে পরিশোধের সুযোগ দিয়েছেন। এটা ভালো ঋণ গ্রহণকারীদের সাথে এক ধরনের বৈষম্য। অথচ ভালো ঋণ পরিশোধকারীদের ক্ষেত্রে সুদের হার ১২ থেকে ১৩ শতাংশ।
তিনি বলেন, যারা নিয়মিত ঋণের কিস্তি প্রদান করে তাদেরও ৭ শতাংশ সুদের হারের সুবিধা দেওয়া উচিত। নিয়মিত ঋণ পরিশোধকারীদের পুরস্কৃত করা উচিত।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ এপ্রিল ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন