ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া কোনো ব্যবসা নয়

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ১০ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া কোনো ব্যবসা নয়

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : আসছে ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) নিবন্ধন ছাড়া কোনো ব্যবসা করা যাবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া।

বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ পেপারস মিল এসোসিয়েশন, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, হাইজিন পণ্য প্রস্তুতকারক সমিতি, বায়রা, কুরিয়ার সার্ভিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, মানি চেঞ্জার এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ইলেকট্রনিক বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর (ই-বিআইএন) নিবন্ধন হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের জন্য খাতভিত্তিক ভ্যাট হার নির্ধারণ করা হবে। যারা রেয়াত পাবেন তাদের হার ১৫ শতাংশ হবে। অন্যদের জন্য আদায়যোগ্য সহনীয় মাত্রায় ভ্যাটের হার নির্ধারণ করা হবে।’

রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব রেজাউল করিমের বাজেট প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে মোশাররফ হোসেন বলেন, একেবারে ক্ষুদ্র পর্যায়ের রেস্তোরাঁ বাদে সব ধরনের রেস্তোরাঁয় ভ্যাট বাধ্যতামূলক হবে। তবে আন্তর্জাতিক মানের যেসব রেস্তোরাঁ রয়েছে, সেগুলোর ভ্যাট ১৫ শতাংশই থাকবে। এছাড়া দেশীয় মাঝারি আকারের রেস্তোরাঁর ভ্যাটের হার যৌক্তিভাবে নির্ধারণ করা হবে। রেস্তোরাঁর শ্রেণিকরণের উদ্দেশ্য এনবিআর একটি কমিটি গঠন করবে।

রেজাউল করিম জানান, সব রেস্তোরাঁ এক বিবেচনায় নেওয়ার কারণে দেশীয় ছোট আকারের রেস্তোরাঁর জন্য ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বাজেটে করারোপ প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামী বাজেটে আয়কর সুষম করার চেষ্টা করব। শিল্পায়নকে গুরুত্ব দিয়ে আমদানি শুল্ক ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছি। তবে কিছু কিছু খাতে দীর্ঘদিন প্রণোদনা দিলেও তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে না। প্রণোদনা দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকলে বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরি হবে না। এজন্য দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় দেওয়া প্রণোদনার মেয়াদ ও সুবিধা সুনির্দিষ্ট করা হবে।’

বাংলাদেশ পেপারস মিল এসোসিয়েশনের সহসভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, দেশীয় ১০৫টি পেপার মিল থেকে উৎপাদিত কাগজ দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি হচ্ছে। তবে কাঁচামাল আমদানিতে আমরা কোন সুবিধা পাচ্ছি না। অন্যদিকে বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাগজ খোলা বাজারে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানির ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসের কারণে তাদের সঙ্গে দেশে উৎপাদিত কাগজ প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। তাই দেশীয় কাগজের ভ্যাট হার কমানো ও ট্যারিভ ভ্যালু উঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেন।

মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বন্ডের অপব্যবহার কঠোর হাতে দমন করছি। অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা বন্ড সুবিধায় আমদানি করা কাগজ বন্দর থেকে সরাসরি খোলা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি।’

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ এপ্রিল ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়