১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় পেলেন খালেদা জিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক : হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলায় আদালতে উপস্থিতির জন্য আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ঠিক করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা।
মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানার নাশকতার আটটি, যাত্রাবাড়ী থানার দুটি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা।
মঙ্গলবার ১১ মামলার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। অপর ১০ মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির দিন ছিল।
মঙ্গলবার সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় আবেদন করে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও খোরশেদ আলম জানান, তিনি (খালেদা জিয়া) আদালতে আসার জন্য সব সময়ই প্রস্তুত। কিন্তু হঠাৎ তিনি চোখের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ায় বাসা থেকে বের হতে পারছেন না। বাইরে বের হলে সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই সুস্থ হলেই তিনি আদালতে উপস্থিত হবেন। তাই তার সুস্থতার জন্য কমপক্ষে এক মাস সময় প্রয়োজন।
তারা আরো জানান, তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো বাতিল করতে হাইকোর্টে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১(এ) ধারায় গত ২৭ মার্চ আবেদন দাখিল করা হয়েছে। যা শুনানির অপেক্ষায় আছে। তাই অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্যও সময় আবেদন মঞ্জুর করা আবশ্যক।
ওই সময় বিচারক বলেন, ‘গত তারিখে আপনাদের কথা মতো সর্বশেষ বারের মতো সময় দিলাম। তাকে আদালতে হাজির করবেন। আপনারা একই কথা বলে বারবার সময় নিয়ে যাচ্ছেন।’
এ সময় ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, হাইকোর্টে আবেদন করেছেন এর জন্য তো তার (খালেদা জিয়া) হাজিরা বন্ধ থাকতে পারে না। আইন তো সবার জন্য সমান।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক বলেন, আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করেন।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে গত বছর ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর এক আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লক্ষ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রোলবোমা হামলার ঘটনায় নূর আলম (৬০) নামে এক যাত্রী নিহত হন এবং ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন।
এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক এসআই কে এম নুরুজ্জামান। ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ।
২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
গত বছরে বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া মামলাগুলোয় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ মার্চ ২০১৭/মামুন খান/এসএন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন