'আওয়ামী লীগ ১৬ কোটি মানুষের আস্থার প্রতীক'
সংসদ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ১৬ কোটি মানুষের আস্থা ও সমর্থনের প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৪২ বছর আগে বঙ্গবন্ধু যে মশাল জ্বালিয়ে রেখে গিয়েছিলেন তার সুযোগ্য উত্তরসুরিরা আজও নিষ্ঠার সঙ্গে তা বহন করে চলেছেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ১৬ কোটি মানুষের আস্থা ও সমর্থনের প্রতীকে পরিণত হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, রূপকল্প-২০২১ এর অধীনে ঘোষিত সময়ের আগেই একটি সুখী, সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য আওয়ামী লীগ নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের আগেই সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। আত্ম-সম্মানবোধ নিয়ে আমাদের বায়ান্ন ও একাত্তরে অর্জিত গৌরবের পথ ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আর এটি সম্ভব হচ্ছে আওয়ামী লীগের দূরদর্শী রাষ্ট্র পরিচালনার কারণে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর মানুষ যখন একটু শান্তি পেতে শুরু করে এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের যখন সম্ভাবনার স্বর্ণদোয়ার খুলে যায়, তখনই ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপিরবারে হত্যা করা হয়। আমি এবং আমার বোন রেহানা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। মানুষ একটা শোক সইতে পারে না। আর আমরা একদিনে নিঃস্ব রিক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। এদেশের মানুষের ভালবাসায় মা-বাবা হারানোর বেদনা ভুলে গেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি গ্রামের পর গ্রাম হেঁটেছি। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। কখনও দুর্ভিক্ষ হয়েছে, দুর্ভিক্ষ পীড়িত এলাকায় গিয়েছি। কখনও ঝড় হয়েছে, সেখানে রিলিফ দিতে গিয়েছি। পেয়েছি সাধারণ মানুষের ভালবাসা। কত মা-বোন ছুটে এসেছে, কাছে টেনে নিয়েছে, বুকে টেনে নিয়েছে। মাটির ঘরে বসিয়েছে। ডাব কেটে দিয়ে বলেছেন, ‘মা এটা খাও।’ মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে শুধু বলেছে, ‘বাবা জীবনটা দিয়ে গেছে, তুমিও পথে নেমেছো মা? তুমি পথে নামছো আমাদের জন্য?’
তিনি বলেন, দেশের মানুষগুলোর জন্যইতো আমার বাবা জীবন দিয়েছেন। তাই এদের জন্য জীবনের যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। কোনো ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা নয়, আজকে ক্ষমতা আমার জন্য ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য নয়। আমি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে ছিলাম। আমি নিজে প্রধানমন্ত্রী ছিলাম এবার নিয়ে তিনবার। নিজের জন্য কী করব সে কথা জীবনেও চিন্তা করিনি। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়েছি, আল্লাহর রহমতে তারাও আমাকে সাহায্য করে। আজকে মানুষের জন্য যে কিছু করতে পারছি এটাই আনন্দ। ক্ষমতাটা হচ্ছে মানুষের সেবা করার সুযোগ। সে সুযোগটা যে পাচ্ছি এবং জনগণ যে ভোট দিয়ে আমাকে বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছে বলে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ জুলাই ২০১৭/এম এ রহমান/মুশফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন