ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘চালের দাম ৪০ টাকা, কমছে পেঁয়াজের দাম’

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৩, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘চালের দাম ৪০ টাকা, কমছে পেঁয়াজের দাম’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বর্তমান বাজারে চালের দাম প্রায় ৪০ টাকাই থাকবে, এর নিচে নামবে না। একইসঙ্গে পেঁয়াজের দাম কমছে।

ঢাকায় বাংলাদেশ চা প্রদর্শনী ২০১৮ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২৪ জানুয়ারি মোটা চালের পাইকারি দাম ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, খুচরা মূল্য ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা। আমরা সরকারি দাম নির্ধারণ করেছি ৩৯ টাকা। সেজন্য আমার ব্যক্তিগত মতামত ৪০ টাকার নিচে কখনো চালের দাম আসবে না। এটা (দাম ৪০ টাকার নিচে হওয়া) বাস্তবসম্মতও না। কৃষকের কথা তো চিন্তা করতে হবে। তাদের লাভের কথা চিন্তা করে চালের দাম প্রায় ৪০ টাকাই থাকবে এবং সেটাই বর্তমানে আছে।

পেঁয়াজের দাম কমছে জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, পেঁয়াজের দাম আস্তে আস্তে কমে গেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫০ মার্কিন ডলার। আর ভারত এবার দাম ঠিক করেছিল ৮৫২ ডলার। আমি পেঁয়াজ আমদানি করবো ইন্ডিয়া থেকে, আমি এখানে লোকসান দিয়ে তো বিক্রি করব না। যে দামে কিনি তার থেকে দুই-চার-পাঁচ টাকা লাভে বিক্রি করি।

সামনে তেলের দাম বাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তেলের দাম বাড়ছে। এটারও একটা প্রভাব পড়বে। তেলের দাম নিয়ে আমরা লোকসানের দিকে যাচ্ছি। তেলের দাম যখন কমে তখন আমরাও কমিয়েছি। এখন যদি আবার বাড়ে দামও বাড়বে।

বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরও বাংলাদেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত থাকবে জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের মত প্রতিবেশি দেশ ভারতেও গত বছর বন্যায় পেঁয়াজ এবং ধানের ক্ষতি হয়েছে। আমাদেরও হয়েছে। কিন্তু তারপরও আমরা এখন খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ হিসেবে থাকব। বন্যার পর যে ফসল আসছে তাতে শুধু আমার জন্মস্থান ভোলায় চাহিদার বিপরীত চার লাখ মেট্রিকটন বেশি উৎপন্ন হয়েছে। সুতরাং আমরা উদ্বৃত্ত দেশ হিসেবেই থাকব।

বর্তমানে চালের বাজার দর স্বাভাবিক মনে করছেন কি না-জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। চালের দাম যখন কম ছিল, সাংবাদিকেরা তখন লিখেছেন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, উৎপাদন খরচ এই, বাজারে পাচ্ছে এই। এজন্য কৃষককে গুরুত্ব দিতে হবে। কৃষক যদি চাল উৎপাদন থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে তাহলে আমরা সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।

এ সময় আমদানির বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি খাতে ১০ লাখ ১০ হাজার মেট্রিকটন খাদ্য আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে চাল ৬ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিকটন এবং গম ৩ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিকটন। আর বেসরকারি খাতে ৫৬ লাখ ৬৪ হাজার মেট্রিকটন খাদ্যশষ্য। চাল ১৯ দশমিক ৩২ লাখ মেট্রিকটন এবং গম ৩৭.৩২ লাখ মেট্রিকটন। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি খাতে মোট চাল আমদানির পরিমাণ ২৫ লাখ মেট্রিকটন।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম এনডিসিসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী পার্টনাররা উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/নঈমুদ্দীন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়