ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের ফেরানোর মধ্যেই সমাধান দেখছেন কূটনীতিকরা

সুজাউদ্দিন রুবেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রোহিঙ্গাদের ফেরানোর মধ্যেই সমাধান দেখছেন কূটনীতিকরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি : নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ৪৭টি দেশের প্রতিনিধিরা। এই পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরানোই রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান বলে মন্তব্য করেছেন বিদেশি কূটনীতিকরা। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করে সব ধরনের সহয়তার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের মুখে ২০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে মিয়নামারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল নেমেছে। জাতিসংঘের হিসাবে- সাড়ে তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। সংকট সমাধানে কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে বিদেশি কূটনীতিকদের শরণার্থীশিবির পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে পৌঁছান ৪৭টি দেশের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনারের পাশাপাশি জাতিসংঘের কয়েকটি সংস্থার কর্মকর্তারা ছিলেন এ প্রতিনিধি দলে। এ সময় সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম, মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদুল হক। পরে এ বিষয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম বলেন, ৪৭টি দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখাতে সীমান্ত এবং শরণার্থীশিবিরে আনা হয়েছে। তারা নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। মিয়ানমারের আচরণে যে মানবতার ক্ষতি হচ্ছে,  তা কূটনৈতিকরা দেখেছেন। তারা ভালোভাবে উপলদ্ধি করবেন এবং তারা তাদের সদর দপ্তরে বার্তা পাঠাবেন।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইন্দোনোশিয়া, ইতালি, চীনসহ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা। তারা রোহিঙ্গাদের প্রতি অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরানোর সব ধরনের পদক্ষেপে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও বলেন, ‘আজকে এখানে আসার পর মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, তা স্বচক্ষে দেখতে পেলাম। এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারপরও রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এখন মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করা হবে যাতে মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিয়ে যায়।’

এরপর বিকেলে প্রতিনিধিরা কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প থেকে উখিয়ার বালুখালী এবং বান্দরবানের ঘুমধুমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানে সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার দৃশ্যও দেখেন তারা।   



রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭/রুবেল/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়