ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

চারুকলার ২ শিক্ষককে ১০ বছর অব্যাহতি, ১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

মেহেদী হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৭, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চারুকলার ২ শিক্ষককে ১০ বছর অব্যাহতি, ১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

রাবি সংবাদদাতা : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় উস্কানিমূলক দুটি প্রশ্ন রাখার দায়ে অনুষদের ডিনসহ দুই শিক্ষককে ১০ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আইনগত বাধা না থাকলে ডিনকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়। একই সভায় রাবি শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় এক ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা হলেন চারুকলা অনুষদের ডিন এবং গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান। এর মধ্যে প্রশ্ন প্রণয়নকারী হিসেবে অভিযুক্ত হওয়ায় মো. জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে আরো একটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তা হলো, নিয়ম অনুযায়ী সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে উন্নীত হতে আবেদনের যে সময়, তার থেকে আরো পাঁচ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রাবির সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আখতার ফারুক ও কেবিএম মাহবুবুর রহমান জানান, গত ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘আই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নে ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থের নাম কী?’ এবং ‘মুসলমান রোহিঙ্গাদের ওপর মায়ানমারের (মিয়ানমার) সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সশস্ত্র হামলা চালায় কত তারিখে?’ -এমন দুটি প্রশ্ন রাখা হয়। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। বিষয়টি তদন্তের জন্য রাবি উপউপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহাকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শেষে ওই কমিটি সুপারিশসহ সিন্ডিকেটে বিষয়টি উত্থাপন করে। তার ওপর ভিত্তি করে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়। আর চারুকলার প্রশ্ন প্রণয়ন কমিটির অন্য সদস্যদের সতর্কমূলক চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ইন্টার্নশিপ পেপারে স্বাক্ষর করানো নিয়ে ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) অধ্যাপক মোহা. হাছানাত আলীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত আবু নাহিদ মোহাম্মদ হায়দার নামের এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আবু নাহিদ আইবিএ’র এমবিএ (দিবা) নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সঙ্গে অধ্যাপক হাছানাত আলীকেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার ও দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।



রাইজিংবিডি/রাজশাহী/৭ ডিসেম্বর ২০১৭/মেহেদী হাসান/এসএন/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়