ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শিক্ষার্থী না হয়েও ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ, অতঃপর ধরা

তহিদুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৫, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিক্ষার্থী না হয়েও ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ, অতঃপর ধরা

জাবি সংবাদদাতা : মোফসেনা ত্বাকিয়া নামে এক ছাত্রী নিজেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী পরিচয়ে এক বছর ধরে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আসছিলেন। অবশেষে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে আটক করে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করা হয় আল-আমিন হোসেন শাহেদ নামে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ ৪২ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে।

প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মোফসেনা ত্বাকিয়ার গ্রামের বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী পরিচয়ে ওই বিভাগে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছিলেন। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে ওই শিক্ষার্থী জাবিতে ভর্তি হননি।

ত্বাকিয়া দাবি করেন, আমি ২০১৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। তবে মেধা তালিকায় স্থান পায়নি। তবে অপেক্ষামাণ তালিকায় ছিলাম। আমার নানা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় আল-আমিন হোসেন শাহেদ চার লাখ টাকার বিনিময়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। পরে আমি ২০ হাজার টাকা দেই। শাহেদ একটি ফর্ম দেয়। সেটি পূরণ করি। এরপর থেকে নিজেকে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে জেনে আসছিলাম। এছাড়া নিয়মিত বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করি। তবে জানতে পারিনি যে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ না। এখন জানলাম।

আল-আমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো দোষ করিনি। ওই মেয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। তবে আমি কোনো প্রলোভন দেখায়নি।

সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান উজ্জল কুমার মন্ডল বলেন, ‘মেয়েটি আমাদের বিভাগে ক্লাস করেছে। তবে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি সে আমাদের বিভাগের ছাত্রী না। তার ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। তার কোনো কাগজপত্র প্রশাসনের কাছে নেই।’

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ থেকে ডিন অফিস হয়ে আমাদের কাছে অভিযোগটি এসেছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তা ওই মেয়েকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা অভিযুক্ত ছেলে ও মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এখন প্রশাসনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেব। তারা যা ব্যবস্থা নেন।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযুক্তরা প্রক্টর অফিসে ছিল।



রাইজিংবিডি/জাবি/১৬ জানুয়ারি ২০১৮/তহিদুল ইসলাম/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়