ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

এসএসসিতে বসছে সাড়ে ২১ লাখ শিক্ষার্থী

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:২১, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এসএসসিতে বসছে সাড়ে ২১ লাখ শিক্ষার্থী

সচিবালয় প্রতিবেদক : দেশের তিন হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে আজ একযোগে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এতে অংশ নেবে ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ শিক্ষার্থী।

শনিবার প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্রের পরীক্ষা হচ্ছে। আর দাখিলে হচ্ছে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং এসএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৯২১) (সৃজনশীল) (নতুন সিলেবাস বা পুরাতন সিলেবাস) ও দাখিল ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৭২১) (নতুন সিলেবাস বা পুরাতন সিলেবাস) বিষয়ের পরীক্ষা।

চলতি বছর মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন ছাত্রী; ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন ছাত্র। এ বছর ২৮ হাজার ৬৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। বিদেশের আট কেন্দ্রে এসএসি পরীক্ষায় বসবে ৪৩৪ জন।

আট বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৭ লাখ ১০২ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে দাখিলে তিন লাখ ১০ হাজার ১৭২ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে এক লাখ ২৫ হাজার ৫৯ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসছে।

দেরি হলেও কেন্দ্রে ঢোকা যাবে, তবে
এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে গত ২৮ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। পরিপত্রে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী এর পর (পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে) কেন্দ্রে এলে রেজিস্ট্রারে নাম, ক্রমিক নম্বর ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে। বিলম্বে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে অবহিত করবে।’

পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড নির্ধারণ করা হবে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। তাকে ব্যবহার করতে হবে এমন একটি ফোন, যা দিয়ে ছবি তোলা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না।

এবারও বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হবে।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এ ধরনের প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। এ ছাড়া অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম প্রতিবন্ধীরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়ের পাশাপাশি শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দিতে পারবে।

দুই বছরে ঝরল সাড়ে লাখ শিক্ষার্থী : দুই বছর আগে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে শিক্ষা বোর্ডগুলোতে নিবন্ধন করেছিল ২২ লাখ ৮৭ হাজার ৩২৩ শিক্ষার্থী। কিন্তু এবার তাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৭ লাখ ৪০ হাজার ৯৩৭ জন।  সে হিসেবে নিয়মিত ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮৬ জন ছাত্রছাত্রী এই দুই বছরের ব্যবধানে শিক্ষার ধারাবাহিকতা থেকে ছিটকে পড়েছে। নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলে এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষা দেবে ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন।

যদিও বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঝরে পড়ার এই বিপুল হার নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, 'প্রকৃত হিসেবে পরীক্ষার্থী কমেনি। গত দুই বছর আগে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করে থাকে। তাদের মধ্যে অনেকে টেস্ট পরীক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ে ফেল করায় বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয় না। এ কারণে অনেকে এবারের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।'

তিনি বলেন, 'শিক্ষার্থীরা যেন টেস্ট পরীক্ষায় আরও মনোযোগী হয় ও ভালোভাবে পড়ালেখা করে- এ কারণে টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করলে পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয় না। দুর্নীতি দমন কমিশনেরও (দুদক) এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে।'

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/হাসান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়