ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সিলেটে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থী

আব্দুল্লাহ আল নোমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিলেটে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট: সিলেটের চার জেলার ১৩১ কেন্দ্রে আজ শনিবার শুরু হয়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা।

এতে সিলেট বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ১৩ হাজার ১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩ হাজার ৮শ’৩৫ জন বেশি। গত বছর সিলেটে অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৯ হাজার ১শ’৮০ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষার্থীর পাশাপাশি অংশ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান বেড়েছে। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা আগের বারের মতোই রয়েছে।

শনিবার বাংলা প্রথম পত্রের মধ্য দিয়ে সারাদেশে একযোগে শুরু হওয়া এ পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এছাড়া ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস জানান, পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সেজন্য বোর্ডের নিজস্ব ৩১টি ভিজিল্যান্স টিম ছাড়াও প্রতিটি জেলার পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো তদারকি করার জন্য টিম গঠন করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে রয়েছেন।

চলতি বছরেও সিলেট জেলা থেকে সবচেয়ে বেশি ৪১ হাজার ৭৪২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ১৮ হাজার ৩২৫ এবং মেয়ে ২৩ হাজার ৪১৭ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ২১ হাজার ৮২৫ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৫৬৯ জন ছেলে এবং ১২ হাজার ২৫৬ জন মেয়ে, মৌলভীবাজারে ২৪ হাজার ৬৮৫ জনের মধ্যে ছেলে  ৯ হাজার ৯৭২ জন এবং মেয়ে ১৪ হাজার ৭১৩ জন এবং হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ জেলায় ২৪ হাজার ৭৬৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ১১ হাজার ৬২ জন এবং মেয়ে ১৩ হাজার ৭০১ জন।

অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ বছরও মেয়েদের সংখ্যা বেশি। মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলে ৪৮ হাজার ৯২৮ জন এবং মেয়ে ৬৪ হাজার ৮৭ জন। সেই হিসেবে পরীক্ষায় ছেলেদের থেকে ১৫ হাজার ১৫৯ জন মেয়ে শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।

অন্যদিকে এবার পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি বেড়েছে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ও পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাও। এ বছর সিলেট অঞ্চলের চার জেলায় ৮৯৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৮৯২টি।

সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস জানান, অনিয়মের ব্যাপারে তারা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের আধ ঘন্টা পূর্বে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোন পরীক্ষার্থী যথাসময়ে কেন্দ্রে প্রবেশে ব্যর্থ হলে কেন্দ্র সচিব তাকে প্রবেশের সময় অবশ্যই তার নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করে বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন। দেরীতে প্রবেশের ক্ষেত্রে তার কোন দুরভিসন্ধি ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।’

এদিকে, সিলেটে পরীক্ষা নির্বিঘ্ন ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এসএমপি’র পক্ষ থেকে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এর আওতাধীন ৪১ টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্রের ২’শ গজের মধ্যে জনসমাবেশ, মিছিল, ঢাকঢোল বাজানো, লাউন্ড স্পীকার ব্যবহার, অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, ইট পাথর ইত্যাদি বহন, ব্যবহারসহ শান্তিশৃংখলা ও জননিরাপত্তার জন্য হুমকী স্বরূপ সকল কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এসএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. জেদান আল মুসা গণবিজ্ঞপ্তি জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

এসএমপি’র আওতাভুক্ত এসব কেন্দ্র হচ্ছে- সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা, রাজা জিসি হাই স্কুল, সরকারী অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়র কলেজ কম্যাম্পাস, আব্দুল গফুর ইসলামিয়া আদর্শ বিদ্যালয় ও কলেজ, পুলিশ লাইন্স উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, এইডেড হাই স্কুল, কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কাজী জালাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়, টুকেরবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজী আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়, রাজারগাঁও  উচ্চ বিদ্যালয়, রাজারগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আম্বরখানা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, মইনুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মোহাম্মদ মকন উচ্চ বিদ্যালয়, জামেয়া রহমানিয়া তায়িদুল ইসলাম ফতেহপুর,  লালাবাজার দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়,  এয়ারপোর্ট উচ্চ বিদ্যালয়, কুচাই সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়, মোগলাবাজার, দক্ষিণ সুরমা নছিবা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রেবতি রমন দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়, লালাবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জালালপুর ডিগ্রি কলেজ, লালাবাজার কলেজ ভবন, জালালপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রেবতি রমন  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কারিগরি মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইছরাব আলী দ্বি পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়, জালালিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা, কারিগরি  প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, জালালাবাদ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল,               সৈয়দ হাতিম আলী সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়, সৈয়দ হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়, শাহ্জালাল উপশহর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শাহ পরাণ উচ্চ বিদ্যালয়, শাহ্জালাল উপশহর হাইস্কুল ও কৃষ্ণ গোবিন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ সিলেট/২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/ আব্দুল্লাহ আল নোমান/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়