সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি : আটকে আছে ত্রাণের গাড়িবহর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি মধ্যেই শুক্রবার সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধ হওয়ায় আলেপ্পোগামী ত্রাণের গাড়িবহর আটকে আছে।
দামেস্কোর কাছে শুক্রবার দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ হয়। ফলে আলেপ্পোগামী ত্রাণের গাড়িবহর দ্বিতীয় দিনের মতো পথেই আটকে আছে।
সোমবার থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে যুদ্ধ শুরু করার জন্য একে অপরকে দায়ী করছে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী যোদ্ধারা।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে ১০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এ সময়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সিরিয়ার অবরুদ্ধ মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে চেষ্টা করছে। কিন্তু যুদ্ধবিরতি ভেঙে হঠাৎ হঠাৎ যুদ্ধ হওয়ায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।
শুক্রবার ওয়াশিংটন মস্কোর উদ্দেশে বলে, রাশিয়া যদি সিরিয়া সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ না করে, তাহলে সামরিক সহায়তার মাধ্যমে অবরুদ্ধে এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে না। বিষয়টিকে উত্তেজনার নতুন মাত্রা হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া এক যৌথ কমিটি গঠনের বিষয়ে সম্মত হয়। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও জাবহা ফাতেহ আল-শামের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে এ কমিটি। তবে শর্ত রাখা হয়, এর জন্য যুদ্ধবিরতি অন্তত সাতদিন কার্যকর থাকতে হবে এবং কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করতে দিতে হবে।
আলেপ্পোর জন্য জাতিসংঘের ত্রাণের গাড়িবহর তুরস্ক সীমান্তে পাঁচ দিন ধরে আটকে আছে। সিরিয়া সরকারের প্রতি জাতিসংঘ আহ্বান জানিয়েছে, আলেপ্পোর বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে অবরুদ্ধ মানুষের জন্য জীবন রক্ষাকারী ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে দেওয়া হোক। প্রায় ৩ লাখ মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে আছে, যাদের জন্য জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ প্রয়োজন।
সিরিয়া গৃহযুদ্ধের পাঁচ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায় বড় ধরনের যুদ্ধবিরত হয় গত সপ্তাহে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় ছিল, যার প্রমাণ মিলছে এখন। তিন দিন পার হতে না হতেই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে দুই পক্ষ। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে সিরিয়ায় সন্ত্রাসী অবস্থানে অভিযান চালিয়েছে, যাকে ভালোভাবে নেয়নি রাশিয়া।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬/রাসেল পারভেজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন