ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

রাজনীতিতে আটকে গেছে নদী

আশরাফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৯, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাজনীতিতে আটকে গেছে নদী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বলি হচ্ছে বাংলাদেশের নদী ও পানির অধিকার।

এ ছাড়া এই রাজনীতির শিকার হয়ে গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের নদীপথ ২৪ হাজার কিলোমিটার থেকে নেমে এসেছে ৪ হাজার কিলোমিটারে। হাজার নদীর বাংলাদেশ এখন ৪০০ নদীতে নেমে এসেছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নদী সুরক্ষা যাত্রা ২০১৭’ শীর্ষক আঞ্চলিক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশ, নেপাল ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতের মানুষও নদী ও পানির সংকট সমাধানের কথা বললেও, রাজনৈতির সদিচ্ছার অভাবে নদীর অবস্থা ভয়াবহ খারাপ হচ্ছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক শমসের আলী একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘১৯১৭ সালে জাতিসংঘ প্রণয়ন করে আন্তর্জাতিক পানিপ্রবাহে নৌ-চলাচল বহির্ভুত ব্যবহার সংক্রান্ত আইন। যেখানে বলা হয়, কোনো দেশ এককভাবে বা যৌথভাবে এমন কোনো প্রকল্প প্রণয়ন করতে পারে না, যাতে অন্যকোনো দেশ বা জাতি বা নদী প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশ রাজনৈতিক কারণে এই আইনে অনুস্বাক্ষর করেনি। ভারতও নিজের দেশের রাজনীতির বিবেচনায় আন্তর্জাতিক এই আইনে সই না করায় বাংলাদেশ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

এরপর ‘নদী ও নেপাল প্রেক্ষাপট’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ নেপালের প্রগ্রাম অফিসার শিবা পোখারেল। তিনি বলেন, ‘নদী রক্ষায় আঞ্চলিক সহযোগিতামূলক মনোভাব না থাকায় নদী ও পানির অধিকার রক্ষা করা যাচ্ছে না। প্রতিবেশী দেশের অসহযোগিতামূলক মনোভাবের কারণে নদী সুরক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণ সঠিকভাবে করা যাচ্ছে না। যার মূল ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ।’

আঞ্চলিক নদী নিয়ে অনেক দিন ধরে কাজ করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক এসআই খান। তিনি বলেন, ‘নদী নিয়ে ভারতের আচরণ খুবই দুঃখজনক। আমাদের সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাওয়া উচিত। সমস্যা সমাধানে আঞ্চলিক পানি কমিশন গঠন করা উচিত।’

বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘পানির কোনো সীমানা বা রাজনীতি নেই। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার কথা প্রাকৃতিকভাবে। কিন্তু আমাদের রাজনীতির কারণে পানি ও নদী তার নিজস্ব অধিকার হারিয়েছে।’

জাতিসংঘের নদীবিষয়ক আইনে সই করা এবং দ্বিপাক্ষিক নদী কমিশনকে দক্ষিণ এশিয়ার নদী কমিশনে রূপান্তর করাসহ বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয় তিন দেশের ওয়াটার কমনস্ ফোরামের পক্ষ থেকে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/আশরাফ/হাসান/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়