ঢাকা     বুধবার   ০৮ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

‘বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়ে গেল’

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩১, ১২ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়ে গেল’

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : ‘স্বাধীনতার এই মাসে আমাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হলো। বাংলাদেশের নৌবাহিনীতে যুক্ত হলো সাবমেরিন। একটি আধুনিক ও শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলার পথে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথে বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়ে গেল।’

রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে সাবমেরিন ‘বানৌজা নবযাত্রা’ ও ‘বানৌজা জয়যাত্রা’র কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনটি শুধু বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য নয়, সমগ্র বাংলাদেশের জন্য একটি বিশেষ দিন। পৃথিবীর মাত্র গুটি কয়েক দেশ সাবমেরিন পরিচালনা করে। সেই তালিকায় যুক্ত হলো বাংলাদেশের নাম। এটি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত মর্যাদার।’

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নৌবাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ সময় সাবমেরিন দুটির আধুনিকায়ন, ক্রুদের প্রশিক্ষণ ও হস্তান্তর পরবর্তী কারিগরি সহায়তার জন্য চীন সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ‍জানান প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবমেরিন দুটিকে নৌবাহিনীতে কমিশনিং করেন। নবযাত্রার অধিনায়ক কমান্ডার কে এম মামুনুর রশিদ ও জয়যাত্রার অধিনায়ক লে. কমান্ডার মাজহারুল ইসলামের হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী সাবমেরিন দুটির নামফলক উন্মোচন করেন তিনি।



এর আগে প্রধানমন্ত্রী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে পৌঁছান। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানেরা এবং বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নৌবাহিনী সূত্র জানায়, ১ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চীন থেকে দুটি সাবমেরিন কেনা হয়। ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর সাবমেরিন দুটি চীনের দালিয়ান প্রদেশের লিয়াওয়ান শিপইয়ার্ডে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।



এরপর ২২ ডিসেম্বর সাবমেরিন দুটি বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। প্রতিটি সাবমেরিনের দৈর্ঘ্য ৭৬ মিটার ও প্রস্থ ৭ দশমিক ৬ মিটার। সাবমেরিন দুটি টর্পেডো ও মাইন দ্বারা সুসজ্জিত, যা শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও ডুবোজাহাজে আক্রমণ চালাতে সক্ষম। এগুলোর গতিবেগ ঘণ্টায় সামনের দিকে ১২ এবং পেছনের দিকে ১১ নটিক্যাল মাইল।



রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১২ মার্চ ২০১৭/রেজাউল/উজ্জল/এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়