ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

হাতকড়া: হাইকোর্টে আশুলিয়ার ওসির নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৪, ৫ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হাতকড়া:  হাইকোর্টে আশুলিয়ার ওসির নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাসচাপায় দুই সহপাঠীর নিহত হওয়ার ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত  ছাত্র নাজমুল হোসাইনকে হাতকড়া পরা অবস্থায় এনাম মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ  (ওসি) মোহসিন কবিরসহ চার পুলিশ সদস্যকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।

অন্য তিন পুলিশ সদস্য হলেন- নাহিদ, সেন্টু ও হালিম।

এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৯ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে পুলিশের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু ও অনাবিল আনন্দ রায়।

এর আগে গত ২৯ মে অসুস্থ নাজমুল হোসাইনকে হাতকড়া পরা অবস্থায় এনাম মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনায় আশুলিয়া থানার ওসিসহ দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের স্বপ্রণোদিত হয়ে তলব করেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে অসুস্থ নাজমুলকে হাতকড়া পরা অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া কেন বেআইনি হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।

সংবাদপত্রে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত এ রুল জারি করেন।

আদালতে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার ও আশুলিয়া থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২৬ মে ভোর ৫টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনী হলের মার্কেটিং বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান রানা ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরাফাত নিহত হন।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার হয় ৪২ শিক্ষার্থী। আহত হয় অনেকে। পরে অবশ্য ৪২ শিক্ষার্থীর জামিনও হয়।

এদিকে আহত এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে সোমবার একটি ইংরেজি দৈনিকে “হ্যান্ডক্যাপড টু হসপিটাল বেড” এ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন আহত হওয়ার পর তার বন্ধুরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করে। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে এনাম মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করায়। যেখানে হাসপাতালের বেডের সাথে তার এক হাতে হ্যান্ডকাপ পরানো হয়েছে। খাওয়ার সময় হ্যান্ডকাপ খুলে দিতে অনুরোধ করলেও পুলিশ তা খুলে দেয়নি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ জুন  ২০১৭/মেহেদী/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়