ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

শুক্রবার ‘দ্য জুবলী হোটেল’

আমিনুল ইসলাম শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শুক্রবার ‘দ্য জুবলী হোটেল’

বিনোদন ডেস্ক : ঢাকার মঞ্চের প্রথম সারির নাটকের দল আরণ্যক মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে ‘দ্য জুবলী হোটেল’। ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হবে নাটকটির ১২তম প্রদর্শনী। আরণ্যকের ৫৭তম এ প্রযোজনার রচনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন মান্নান হীরা।

মফস্বল শহরের বিখ্যাত এক চায়ের দোকানকে কেন্দ্র করে ‘দ্য জুবলী হোটেল’ নাটকের কাহিনি গড়ে উঠেছে।

নাটকের গল্পে দেখা যাবে, জুবলী হোটেলে শহরের সর্বস্তরের মানুষের নিয়মিত আড্ডা চলে। হারু মন্ডল নামের এক প্রবীণ নাট্য নির্দেশক তার দলবল নিয়ে এখানে নিয়মিত আড্ডা দেয় আর ‘সুলতানা রাজিয়া’ নামে একটি নাটক করার জন্য নিয়মিত মিটিং করে। ২০ বছর ধরে এই প্রক্রিয়া চললেও অদ্যবধি সুলতানা রাজিয়া মঞ্চে আসেনি। কারণ সুলতানা রাজিয়া চরিত্রে অভিনয় করার জন্য কোনো অভিনেত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।

 


শহরে আসে জাদুর দল ‘দি ঘোষ ম্যাজিক পার্টি’। সেই ম্যাজিক পার্টির নৃত্যশিল্পী হেমামালিনীকে দেখে হারু মন্ডলের মনে হয় সেই হতে পারে সুলতান রাজিয়া। হারু মণ্ডল তাকে প্রস্তাব দেয় অভিনয় করার জন্য কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় ম্যাজিক পার্টির সঙ্গে পাকা স্ট্যাম্পে চুক্তি। 

জুবলী হোটেলের কর্মী মমতা। যে কিনা নানা প্রতিকূলতার মাঝেও সারাক্ষণ একটি সুন্দর সংসারের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নির্মম ষড়যন্ত্রে তা ভেঙে হয় খানখান। জুবলী হোটেলের আরেকজন নিয়মিত আগন্তুক হলেন বাউল। জুবলী হোটেলে বাউল এলে যেন প্রাণের স্পন্দনে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে হোটেলটি। বাউলের কণ্ঠে মানব ধর্মের গান শুনে সকলের মনে বোধদয় হলেও ধর্মীয় উগ্রবাদের সঙ্গে যুক্ত কিছু মানুষের তা ভালো লাগে না। তাইতো তাদের রোষানলে পড়ে বাউল।

 


এ রকম নানা দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে নাটকটির কাহিনি এগুতে থাকে।  হঠাৎ এক মারাত্মক সংকট এসে আবির্ভূত হয়। শহরের মেথরকন্যা মনলোভা, যে কিনা নিয়মিত জুবলী হোটেলের সামনের রাস্তা ঝাড়ু দিত, সে ধর্ষিত হয়। এ নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় শহরে। ম্যাজিক পার্টি শহর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। বাউলকে গুম করে ফেলা হয়। আত্মহত্যা করে মনলোভা। যে জুবলী হোটেলে শিল্প-সংস্কৃতি-বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট মানুষসহ সমাজের প্রগতিশীলদের নিয়মিত আনাগোনা ছিল, প্রগতির বিপক্ষ এক অপশক্তি বন্ধ করে দেয় তাদের আনাগোনা; জ্বলতে থাকে জুবলী হোটেল।

এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্র রূপায়ন করছেন- মান্নান হীরা, তমালিকা কর্মকার, শাজ্জাদ সাজু, আরিফ হোসেন, কামরুল হাসান, রুবলী চৌধুরী, আমিনুল হক, ফিরোজ মামুন, জাহিদ, সুজাত শিমুল, এম. এস. রানা, মনির জামান, সাইদ সুমন, কৌশিক, পারভেজ, কাজী আল-আমিন, নিকিতা প্রমুখ।

 


নাটকটির নেপথ্যশিল্পীরা হলেন- সহকারী নির্দেশক কামরুল হাসান, মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা ফয়েজ জহির, সংগীত পরিকল্পনা সুজেয় শ্যাম, পোশাক পরিকল্পনায় সুরাইয়া শান্তা, কোরিওগ্রাফি র্যা চেল প্রিয়াংকা পেরিস, পোস্টার ও প্রকাশনা মোস্তাফিজ কারিগর, অপু মেহেদী।
 
২০১৬ সালের ২৭-২৮ নভেম্বর জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে নাটকটির কারিগরি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ২৯ নভেম্বর, সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির একই হলে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ নভেম্বর ২০১৬/শান্ত/মারুফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়