ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

জেলা চেয়ারম্যান, মেয়রসহ ৮ জনের কারাদণ্ড

বিএম ফারুক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জেলা চেয়ারম্যান, মেয়রসহ ৮ জনের কারাদণ্ড

জেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ও পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর বিশ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর : পশুর হাটের ইজারার টাকা আত্মসাৎ মামলায় নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রসহ আটজনকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

যশোর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ আদেশ দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৫ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নড়াইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, নড়াইল পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু, সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, আহমেদ আলী খান, রফিকুল ইসলাম, তেলায়েত হোসেন, পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব মতিউর রহমান। দণ্ডিতদের মধ্যে সোহরাব হোসেন বিশ্বাস পলাতক।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যশোরের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে আসামি সোহরাব হোসেন নড়াইল পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ওই সময় রূপগঞ্জ পশুর হাটের ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়। এইচ এম সোহেল রানা পলাশ নামে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার ৫৫৫ টাকায় হাটের ইজারা পান এবং তিনি দরপত্রের নিয়ম অনুযায়ী ৩৩ হাজার টাকা জমা দেন। পরবর্তীতে তিনি দরপত্র মূল্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে ইজারা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।

ওই আবেদনে অপর আসামি তৎকালীন পৌর কমিশনার জাহাঙ্গীর বিশ্বাসসহ ছয়জন কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত সচিব সুপারিশ করেন এবং মেয়র হিসেবে সোহবার হোসেন তা মঞ্জুর করেন। এরপর ইজারাদারকে তার জমাকৃত টাকা ফেরত দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নতুন করে ইজারার আহ্বান না করে সকলে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ওই হাট তিন বছর ধরে খাস দেখিয়ে ১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা আদায় করেন এবং সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট নড়াইল থানায় মামলা হয়।

পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, মামলার আট আসামির মধ্যে সোহরাব হোসেন পলাতক রয়েছেন। বাকি সাত আসামি কারাগারে।



রাইজিংবিডি/যশোর/২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭/বি এম ফারুক/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়