ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বাংলা চলচ্চিত্রে প্রেম || ছটকু আহমেদ

ছটকু আহমেদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:২৪, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাংলা চলচ্চিত্রে প্রেম || ছটকু আহমেদ

চলচ্চিত্র যেহেতু জীবন ঘনিষ্ট হয়ে থাকে সুতরাং মানুষের জীবনের সুখ দুঃখ প্রেম সবই চলচ্চিত্রে মহিমান্বিত হবে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমাদের বিশাল মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের ভাণ্ডারে প্রেম নিয়ে খুবই কম চলচ্চিত্র নির্মীত হয়েছে যাকে নিখুঁত প্রেমের ছবি বলা যেতে পারে।

এই আলোচনায় যেতে হলে প্রেমের সংজ্ঞা নিয়ে একটু আলাপ করে নেয়া যাক। আসলে প্রেম কী?  প্রেমের বিশেষ কোনো সংজ্ঞা নেই। অনেকে অনেক রকমভাবে প্রেমকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। কেউ বলেছেন, প্রেম দুটো বোকা প্রাণীর বোকামির খেলা। আবার কেউ বলেছেন, প্রেম সিগারেটের মতন নেশা করার জন্যে শুরু হয়, শেষে ক্যানসারে মারা যায়। প্রেমের মাঠে ব্যর্থ অদক্ষ খেলোয়াড় কেউ কেউ বলেছেন, প্রেম এক যন্ত্রণার নাম। আবার জ্ঞানীজনেরা বলেন, বিধাতার সব চেয়ে মহান ও জটিল সৃষ্টির নাম প্রেম। প্রেম বিধাতার এক মহান দান। ইটস কাম ফ্রম হেভেন এন্ড ইট গোস টু হেভেন। এটা আসে স্বর্গ থেকে এবং স্বর্গে চলে যায়। আর এখন এই ডিজিটাল ফেসবুকের যুগে কেউ কেউ বলেন, প্রেম একটা টাইম পাস খেলা, যে খেলায় মানুষের মরণও হতে পারে। কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক এ প্রশ্নে না গিয়ে আমি মনে করি প্রেম মানেই জীবন আর জীবন মানেই প্রেম। মানব জীবনে দুটো মনের মিলনকেই সত্যিকার অর্থে প্রেম বলা হয়। আপনি ইচ্ছে করলেই প্রেম করতে পারবেন না, জোর করেও পারবেন না, আবার ইচ্ছে না করেও, জোর না করেও আপনার মনে প্রেমের বসতী স্থাপিত হতে পারে। যাক এসব কথা। বাংলা চলচ্চিত্রে প্রেম সম্পর্কে আসি। বাংলা বলতে আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করেই এই আলোচনা সীমাবদ্ধ থাকবে। ওপার বাংলা নয়। আমাদের বাংলা চলচ্চিত্র শুরু হয়েছে সেই পূর্ব পাকিস্তান আমলে এক সাহসী যোদ্ধা আব্দুল জব্বার খানের হাত ধরে। তিনি পশ্চিমাদের দেখিয়ে দিতে সাহস করে শুরু করেন এই দেশে চলচ্চিত্র নির্মাণ। আর সেই প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ থেকে সবশেষ যে ছবিটা রিলিজ পেয়েছে ‘ভালো থেকো’ পর্যন্ত সব ছবিতেই অল্প বিস্তর প্রেম আছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে প্রেমের ছবি বলা যেতে পারে তার সংখ্যা খুবই কম।
 


নায়করাজ রাজ্জাক বলেছিলেন, প্রেমের ছবির সফলতা নির্ভর করছে জুটির উপর। জুটি প্রথা প্রেমকে ঐশ্বরিক করে তোলে। ভারতে দীলিপ কুমার-মধুবালা, নার্গিস-রাজকাপুর, সুচিত্রা-উত্তম থেকে শুরু করে আমাদের দেশে রহমান-শবনম, নাদিম-শাবানা, আজিম-সুজাতা, ওয়াসিম-অঞ্জু. ফারুক-ববিতা, রাজ্জাক-কবরী, নইম-শাবনাজ, সালমান- শাবনুর জুটির ছবি হলে দর্শককে টেনেছে। কারণ দর্শক জানতো এই জুটি মানেই প্রেমের ছবি। জুটি প্রথার প্রেম দর্শককে বেশী আলোড়িত করেছে। চলচ্চিত্রে তাদের সুখে রোমাঞ্চিত হয়েছে, তাদের বিচ্ছেদে কান্না করেছে, আবার তাদের মিলনে হাসির ফল্গুধারা বইয়ে করতালিতে মুখরিত করেছে প্রেক্ষাগৃহ। মুখে তৃপ্তির হাসি নিয়ে হল থেকে বেরিয়েছে। এই জুটির রসায়ন দর্শককে প্রেমের রসে আবেগায়িত করতো। আর এই জুটির অভাবনীয় সাফল্য দেখে নির্মাতারা জুটি কেন্দ্র করেই প্রেমের ছবি বানাতে উদ্বুদ্ধ হতো। জুটি ছাড়াও প্রেমের অনেক ছবি সুপার হিট হয়েছে যেমন শাবানা-রাজ্জাক, সোহেল রানা-ববিতা,  জাফর ইকবার-ববিতা, ইলিয়াস কাঞ্চন-চম্পা, শাবানা- আলমগীর, জসীম-সুচরিতা, শাবনুর-রিয়াজ, ফেরদৌস-মৌসুমি, সালমান-মৌসুমি। কিন্তু এইসব জুটি নানা কারণে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তাই দর্শকের মনে স্থায়ী আসন গেড়ে বসতে পারেনি।
 


১৯৫৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম এদেশীয় ছবি ‘মুখ ও মুখোশ’ থেকে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্ত মোট ২১৩টি ছবির মধ্যে সত্যিকার প্রেমের ছবি বলে আখ্যায়িত করা যায় এমন ছবির সংখ্যা হাতে গোনার মতো। ১৯৬০ সালে এহতেশাম পরিচালিত ‘রাজধানীর বুকে’, ৬১তে মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’, ৬২তে এহতেশাম পরিচালিত উর্দু ছবি ‘চান্দা’, আব্দুল জব্বার খান পরিচালিত ‘জোয়ার এলো’, ৬৩তে জহির রায়হান পরিচালিত ‘কাঁচের দেয়াল’, ১৯৬৪তে সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘সুতরাং’, রহমান পরিচালিত ‘মিলন’, ৬৫তে মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘গোধূলীর প্রেম’, সালাউদ্দিন পরিচালিত ‘রূপবান’, ৬৬তে জহীর রায়হান পরিচালিত ‘বেহুলা’, ৬৭তে এহতেশাম পরিচালিত উর্দু ছবি ‘চকোরী’,  আমজাদ হোসেন ও নুরুল হক বাচ্চু পরিচালিত ‘আগুন নিয়ে খেলা’, রহমান পরিচালিত ‘দরশন’, কাজি জহীরের ‘নয়নতারা’, ৬৮তে আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘মধুমালা’, নারায়ন ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘এতটুকু আশা’, ৬৯তে কাজি জহীর পরিচালিত ‘ময়নামতি’, খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘জোয়ার ভাটা’, নারায়ন ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘নীল আকাশের নীচে’, লোকমান হোসেন ফকির পরিচালিত ‘বেদের ছবি মলুয়া’, ১৯৭০ সালে দীলিপ সোম পরিচালিত ‘মণিমালা’, ইবনে মিজান পরিচালিত ‘আমীর সওদাগর ও ভেলুয়া সুন্দরী’, কাজি জহীর পরিচালিত ‘মধুমিলন’- এসব ছবিতে অল্পবিস্তর প্রেম আছে। কিন্তু উল্লেখ করার মত প্রেমের ছবি বলা যায় ‘ময়নামতি’, ‘মধুমিলন’, ‘দরশন’, ‘নীল আকাশের নীচে’ এই চারটি ছবিকে। রাজ্জাক কবরী জুটি কাজি জহীরের ‘ময়নামতি’ ছিলো এই সময়ের প্রেমের মেগা হিট ছবি।
 


স্বাধীনতার পর ১৯৭২ থেকে একবিংশ শতাব্দীর আগে ১৯৯৯  সাল পর্যন্ত অনেক হিট মেগা হিট প্রেমের ছবি নির্মীত হয়েছে। যদিও তা সংখ্যা হিসেবে নগন্য। এ সময়ের মধ্যে মোট ছবি মুক্তি পেয়েছে ১,৬১৩টি। তার মধ্যে প্রেমের ছবি আছে মাত্র ৯২টি। শতকরা ৬ ভাগেরও নিচে। এ সময়ে নির্মিত প্রেমের ছবির ব্যবসা এখন পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেনি। বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবিগুলো এ সময়ে নির্মিত হয়েছিলো। তার মধ্যে প্রথমেই বলতে হয় সর্বকালে সবচেয়ে মেগাহিট ছবি তোজাম্মেল হক বকুলের ‘বেদের মেয়ে জোছনা’, তারপরই আছে কাজি জহীরের ‘অবুঝ মন’, প্রমোদ করের ‘সুজনসখী’, এহতেশামের ‘চকোরী’, কাজি জহীরের ‘বধূ বিদায়’, এহতেশামের ‘চান্দা’, সুভাষ দত্তর ‘সবুজ সাথি’, সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, শফি বিক্রমপুরীর ‘দেন মোহড়’, আব্দুল খালেকের ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, বাসু চ্যটার্জির ‘হঠাৎ বৃষ্টি’। সুপার হিট ছবিগুলো হলো কামাল আহমেদের ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’, জহিরুল হকের ‘রংবাজ’, মাসুদ পারভেজের ‘এপার ওপার’, আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’, রাজ্জাকের ‘অনন্ত প্রেম’, আজিজুর রহমানের ‘মাটির ঘর’। আর হিট ছবিগুলো হলো আব্দুস সামাদ খোকনের ‘ঝিনুক মালা’, দেলওয়ার জাহান ঝন্টুর ‘প্রেমগীত’, জহিরুল হকের ‘তুমি আমার’, মতিন রহমানের ‘তোমাকে চাই’, বাদল খন্দকারের ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, শিবলী সাদিকের ‘আনন্দ অশ্রু’, ছটকু আহমেদের ‘বুকের ভিতর আগুন’, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, শফি বিক্রমপুরীর ‘অবুঝ মনের ভালোবাসা’ ও ছটকু আহমেদের ‘বুক ভরা ভালোবাসা’।

একবিংশ শতাব্দীর শুরু ২০০০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে ১,২৮২টি। তার মধ্যে প্রেম নিয়ে চলচ্চিত্র হিসেবে উল্লেখ করার মতো ছবি হচ্ছে মাত্র ২৩৫টি। শতকরা উনিশ ভাগ মাত্র। এই ২৩৫টি ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যবসা করেছে মাত্র ৬টি। সেগুলি হচ্ছে মতিউর রহমান পানুর ‘মনের মাঝে তুমি’, এফ আই মানিকের ‘কোটি টাকার কাবিন’, সোহানুর রহমান সোহানের ‘কথা দাও সাথী হবে’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘মনপুরা’, জাকির হোসেন রাজুর ‘পোড়া মন’, শিহাব শাহীনের ‘ছুঁয়ে দিলো মন’। তার মধ্যে ‘মনপুরা’ ও ‘মনের মাঝে তুমি’ মেগা হিট ছবি।

২০১৮সালে ফেব্রুয়ারির ভেলেনটাইনস ডে পর্যন্ত সাতটি ছবির মধ্যে মাত্র ১টি প্রেমের ছবি মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি হচ্ছে জাকির হোসেন রাজুর ‘ভালো থেকো’।
 


প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মাণ করা ছবির নামগুলি খুব কাছাকাছি। এক ভালোবাসা নিয়েই অনেক ছবির নাম দেয়া হয়েছে। যেমন আলমগীর কুমকুমের ‘ভালোবাসা’, মনতাজুর রহমান আকবরের ‘অন্ধ ভালোবাসা’, শফি বিক্রমপুরীর ‘অবুঝ মনের ভালোবাসা’, ছটকু আহমেদের ‘বুক ভরা ভালোবাসা’, অঞ্জন সরকারের ‘তুমি আমার ভালোবাসা’, শেখ সুলতান আহমেদের ‘তোমার জন্যে ভালোবাসা’, জাকির হোসের রাজুর ‘ভালোবাসা কারে কয়’, মাসুদ পারভেজের ‘ভালোবাসার মূল্য কত’, জিল্লুর রহমানের ‘স্বপ্নের ভালোবাসা’, সিদ্দিক জামাল নান্টুর ‘ভালোবাসার যুদ্ধ’, সোহানুর রহমান সোহানের ‘বলো না ভালোবাসি’, জি সরকারের ‘ছোট্ট একটু ভালোবাসা’, মোহাম্মাদ হান্নানের ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’, এস এ হক অলিকের ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, দেলওয়ার জাহান ঝন্টুর ‘সবাইতো ভালোবাসা চায়’, জেমীর ‘ভালোবাসার লাল গোলাপ’, রেজা লতিফের ‘ভালোবাসার শেষ নেই’, উত্তম আকাশের ‘ভালোবাসা দিবি কিনা বল’, জাকির হোসেন রাজুর ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’, বদিউল আলম খোকনের ‘ভালোবেসে মরতে পারি’ ও ‘একবার বলো ভালোবাসি’, নজরুল ইসলাম খানের ‘হায় প্রেম হায় ভালোবাসা’, মনতাজুর রহমান আকবরের ‘এভাবেই ভালোবাসা হয়’, শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘ভালোবাসার সেন্ট মার্টিন’, শাহীন সুমনের ‘ভালোবাসার অনেক রঙ’, এম বি রেজার ‘ভালোবাসার বন্ধন’, শাহাদাৎ হোসেন লিটনের ‘জোর করে ভালোবাসা হয় না’, শাহীন সুমনের ‘অন্যরকম ভালোবাসা’, অনন্ত জলিলের ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’, পি এ কাজলের ‘ভালোবাসা আজকাল’, জাকির হোসেন রাজুর ‘এর বেশী ভালোবাসা যায় না’, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’, মনতাজুর রহমান আকবরের ‘তবুও ভালোবাসি’, দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’, মুক্তিযোদ্ধা আহসানউল্লাহ মণির ‘ভালোবাসার তাজমহল’, খোকন রিজভীর ‘ভালোবাসলে দোষ কি তাতে’, মোঃ আবুল কাশেম মন্ডলের ‘ক্ষণিকের ভালোবাসা’, শাহ আলম মন্ডলের ‘ভালোবাসা সীমাহীন’, আব্দুল মান্নানের ‘ভালোবাসার চ্যালেঞ্জ’, আলী আজাদের ‘ভালো আমাকে বাসতেই হবে’, এস এ হক অলিক ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’, অনন্য মামুনের ‘ভালোবাসার গল্প’, বেলাল আহমেদের ‘ভালোবাসবোইতো’, এ জে রানার ‘অজান্তে ভালোবাসা’,  এখলাস আবেদীনের ‘ভালোবাসাপুর’, রয়েল খানের ‘যে গল্পে ভালোবাসা নেই’, তানিয়া আহমেদের ‘ভালোবাসা এমনই হয়’, মনির হোসেন মিঠুর ‘ভালোবাসা ১৬ আনা’ ও শাহীন কবির টুটুলের ‘এইতো ভালোবাসা’।
 


আর প্রেম নিয়ে দেয়া ছবির নামগুলি হচ্ছে নাজমুল হুদা মিন্টুর ‘অনেক প্রেম অনেক জ্বালা’, আজিজুর রহমানের ‘অমর প্রেম’, রাজ্জাকের ‘অনন্ত প্রেম’, শফি হায়দারের ‘অশান্ত প্রেম’, দারাশিকোর ‘প্রেম কাহিনী’, নুর হোসেন বলাইয়ের ‘বিষকন্যার প্রেম’, মইনুল হোসেনের ‘প্রেম বিরহ’, দেলওয়ার জাহান ঝন্টুর ‘প্রেমগীত’ ও ‘প্রেম’, এ জে মিন্টুর ‘প্রথম প্রেম’, জুলহাস চৌধুরী ‘পলাশের প্রেমের স্মৃতি’, রেজা হাশমতের ‘প্রেম পিয়াসী’, সিরাজুল মিজানের ‘কাল নাগিনীর প্রেম’, সৈয়দ শামসুল আলমের ‘শত জনমের প্রেম’, জামশেদুর রহমানের ‘প্রেম আমার অহংকার’, রাজ্জাকের ‘প্রেমের নাম বেদনা’, গাজী মাহবুবের ‘প্রেমের তাজমহল’, বাদশা ভাইয়ের ‘গুন্ডার প্রেম’, আজাদী হাসনাত ফিরোজের ‘সবার উপরে প্রেম’, মনোয়ার খোকনের ‘প্রেম সংঘাত’, শাহাদাৎ হোসেন লিটনের ‘প্রেম কেন কাঁদায়’, মিজানুর রহমান খান দীপুর ‘যত প্রেম তত জ্বালা’, বাদল খন্দকারের ‘প্রেম করেছি বেশ করেছি’, শেখ নজরুল ইসলামের ‘ জোস্নার প্রেম’, কাওসার আলমের ‘সুজন মাঝির প্রেম’, রকিবুল আলম রাকিবের ‘রিক্সাওয়ালার প্রেম’ ও ‘চাকরের প্রেম’, আবিদ হাসান বাদলের ‘ধনী গরিবের প্রেম’, এম বি মানিকের ‘কঠিন প্রেম’, জাফর আল মামুনের ‘প্রেমের বাধা’, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘পাষাণের প্রেম’, শাহীন সুমনের ‘তুমি আমার প্রেম’, এম বি মানিকের ‘প্রেম কয়েদী’, শাহাদাৎ হোসেন লিটনের ‘টাকার চেয়ে প্রেম বড়’ ও ‘প্রেমে পড়েছি’, শাহীন সুমনের ‘৫ টাকার প্রেম’ ও ‘জনম জনমের প্রেম’, সাফি ইকবালের ‘প্রেম মানে না বাধা’, নজরুল ইসলাম খানের ‘হায় প্রেম হায় ভালোবাসা’, এম ফিরোজ বাবুর ‘প্রেম বিষাদ’, সোহানুর রহমান সোহানের ‘কোটি টাকার প্রেম’, মুশফিবুর রহমান গুলজার ‘কুসুম কুসুম প্রেম’, বদিউল আলম খোকনের ‘এক জনমের কস্টের প্রেম’, মনতাজুল রহমান আকবরের ‘অন্তরের প্রেমের জ্বালা’, আবুল খয়ের বুলবুলের ‘অবুঝ প্রেম’, শাহীন সুমন ‘জটিল প্রেম’ সাফি উদ্দিন সাফির ‘প্রেম প্রেম পাগলামি’, সাফিউদ্দিন সাফির ‘পূর্ণ দৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’, মোঃ সংগ্রামের ‘এ কি প্রেম দেখাইলা’, রাজু চৌধুরীর ‘ইঞ্চি ইঞ্চি প্রেম’, সরদার সানিয়াত হোসেনের ‘অল্প অল্প প্রেমের গল্প’, রকিবুল আলম রাকিবের ‘প্রেম করবো তোমার সাথে’, যাদু আজাদের ‘প্রেম কি অপরাধ’, সোহেল আরমানের ‘এইতো প্রেম’, আবুল কালাম আজাদের ‘হৃদয় দোলানো প্রেম’, ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘আজব প্রেম’, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘চুপি চুপি প্রেম’, শাফি উদ্দিন শাফির ‘পূর্ণ্যদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী-২’, এস এ হক অলিকের ‘এক পৃথিবী প্রেম’, জাকির হোসেন রাজুর ‘প্রেমী ও প্রেমী’ এবং আলী আজাদের ‘১৬ আনা প্রেম’।

বাংলা চলচ্চিত্রে প্রথম দিকে বিভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে ছবি নির্মাণের প্রবণতা ছিলো, যার জন্যে নির্ভেজাল প্রেমের ছবি নাই বললেই চলে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে প্রেমের ছবি নির্মিত হতে থাকে। বিশেষ করে এক এক সময় এক একটা ছবি সুপার হিট হয়ে গেলে তখন তার জোয়ার এসে দোলা দেয়। তবু সংখ্যার দিক থেকে নেহায়েতই কম। তবে এটা লক্ষণীয় যে, মেগা হিট ছবি বেশির ভাগই প্রেমের ছবি। বাংলা চলচ্চিত্রে প্রেমকে এসব ছবিই মহিমান্বিত করে তুলেছে। (চলবে)




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়