ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

চামড়া শিল্পে ট্যাক্স হলিডে নয় : মুহিত

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৪, ২০ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চামড়া শিল্পে ট্যাক্স হলিডে নয় : মুহিত

ছবি: কিসমত খন্দকার

বিশেষ প্রতিবেদক : চামড়া শিল্পনগরীতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে ৭ থেকে ১০ বছরের জন্য ট্যাক্স হলিডের একটি দাবি নাকচ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, এ মুহূর্তে আর ট্যাক্স হলিডে দেওয়ার সুযোগ নেই।

রোববার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সঙ্গে প্রাক-বাজেটে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

বিটিএর সভাপতি মো. শাহিন আহমদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে। এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভূক্তির জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

বিটিএর সভাপতি বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে চামড়া খাত একটি উদীয়মান রপ্তানিমুখী শ্রমঘন খাত। বর্তমানে এ খাত রপ্তানি বাণিজ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খাতে উন্নীত হয়েছে। পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্পনগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ট্যানারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান হাজারীবাগ থেকে চামড়া শিল্পনগরী সাভারে স্থানান্তরিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে চামড়া খাতে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করতে হবে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চামড়া শিল্প সহায়ক ভূমিকা পালনে বদ্ধপরিকর।

বিটিএর সভাপতি বলেন, আমরা আমাদের লিখিত বক্তব্য অর্থমন্ত্রীর কাছে পেশ করেছি। আমরা আশা করছি, দেশের অন্যতম একটি শিল্প খাতের স্বার্থ বিবেচনা করে আগামী বাজেটে আমাদের দাবিগুলো বিবেচনা করবেন।

সংগঠনের পক্ষ থেকে চামড়া শিল্প হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তরের পর এ খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য ৭ থেকে ১০ বছরের জন্য ট্যাক্স হলিডে সুবিধা ছাড়াও চামড়া শিল্পে অপরিহার্য রাসায়নিক দ্রব্যে ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করার দাবি জাননো হয়েছে। এছাড়া চামড়া রপ্তানিতে বিদ্যমান আর্থিক প্রণোদনা ৫ বছরের জন্য বহাল রাখারও দাবি জানানো হয়।

এর আগে বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর প্রাক-বাজেট আলোচনা হয়। সংগঠনের সভাপতি বিজয় কৃঞ্চ দে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশে যতদিন সিগারেট থাকবে ততদিন বিড়ি শিল্প টিকিয়ে রাখতে অর্থমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন তারা। এছাড়া ভারতের মতো বিড়ি শিল্পের ওপর শুল্ক নির্ধারণ, বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প ঘোষণা, প্রতি হাজার বিড়িতে শুল্ক ১৪ টাকা করা এবং যেসব বিড়ি কারখানা ২০ লাখ শলাকার কম উৎপাদন হয় তাদের কাছে থেকে শুল্ক না নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

তবে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির দাবিগুলো নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি। তবে বিড়ি শিল্প দেশের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যর জন্য অতিমাত্রায় ক্ষতিকারক বিধায় এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যদের তার অবস্থান অবহিত করে চিঠি দিয়েছেন। সমিতির পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীর ওই চিঠি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ মে ২০১৮/হাসনাত/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়