ঢাকায় শনিবার শুরু এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল
ক্রীড়া প্রতিবেদক : সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ হতে না হতেই আরো একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল আসর বসছে বাংলাদেশে। এটার পরিধি আরো বড়। সাফ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে হলেও, এএফসি হতে যাচ্ছে এশিয়ান দেশগুলো নিয়ে। অবশ্য এখানে বাছাইপর্বের একটি গ্রুপের খেলা হবে।
২০১৯ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের ‘এফ’ গ্রুপের খেলা হবে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। যেখানে লড়বে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, লেবানন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। ১৭ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে এই প্রতিযোগিতা।
লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এই গ্রুপ থেকে শীর্ষ দল সুযোগ পাবে বাছাইপর্ব খেলার। ছয় গ্রুপের শীর্ষ ছয় দল ও সেরা দুই রানার্স-আপ দল নিয়ে হবে আরেক বাছাই। সেখান থেকে চারটি দল সুযোগ পাবে চূড়ান্তপর্বে খেলার। আগেই চূড়ান্তপর্ব নিশ্চিত করে রেখেছে আয়োজক থাইল্যান্ড, ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার্স-আপ দক্ষিণ কোরিয়া ও তৃতীয় হওয়া জাপান।
২০১৬ সালে বাংলাদেশে হয়েছিল এএফসির বাছাইপর্ব। সেবার বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে চূড়ান্তপর্বে জায়গা করে নিয়েছিল। অবশ্য থাইল্যান্ডে চূড়ান্তপর্বে আট দলের মধ্যে সপ্তম হয়েছিল। সেবারও বাংলাদেশ দলের স্পন্সর ছিল ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপ। এবারও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের স্পন্সর হিসেবে আছে ওয়ালটন। বাছাইপর্বে মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষ থেকে সবাইকে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর দিয়ে উৎসাহিত করা হবে।
এএফসির র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দল এখনো সপ্তম স্থানে রয়েছে। সে কারণে ‘এফ’ গ্রুপের সেরা দল বাংলাদেশ (র্যাঙ্কিংয়ে)। বাংলাদেশের পর রয়েছে ভিয়েতনাম । তাদের র্যাঙ্কিং ১১। বাকি তিনটি দেশ এখনো এএফসির র্যাঙ্কিংয়ে প্রবেশ করতে পারেনি। লেবানন এসেছে প্রথমবারের মতো খেলতে। তবে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের পর এই গ্রুপে অন্যতম শক্তিশালী দল লেবানন। অবশ্য আয়োজক হওয়ায় সবগুলো দলই বাংলাদেশকে ফেভারিট মানছে। পাশাপাশি তারা নিজেদের সেরা খেলাটা উপহার দেওয়ার কথাও বলেছে। এই গ্রুপে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ ভিয়েতনাম। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে তাদের বিপক্ষে লড়াই করতে হবে মারিয়া মান্ডা-আঁখি খাতুনদের। অবশ্য এই বাছাইপর্বকে সামনে রেখে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ভালো করতে প্রস্তুত তারা।
ময়দানি লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে আজ শুক্রবার পাঁচ দলের কোচ ও অধিনায়করা হাজির হয়েছিলেন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভিয়েতনাম মহিলা ফুটবল দলের প্রধান প্রশিক্ষক এনগুইয়েন থি মাই লান ও অধিনায়ক ভু থি হোয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত মহিলা ফুটবল দলের প্রধান প্রশিক্ষক হউরিয়া আল তাহেরি, লেবানন মহিলা ফুটবল দলের প্রধান প্রশিক্ষক হাগোপ দেমিরজিয়াস ও অধিনায়ক রিদা ওয়াহাব, বাহরাইন মহিলা ফুটবল দলের প্রধান প্রশিক্ষক খালেদ হাসান, বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দলের প্রধান প্রশিক্ষক গোলাম রব্বানী ছোটন ও অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা।
সবাই নিজেদের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতার দিকগুলো তুলে ধরেন। প্রত্যেক দেশের মেয়েদের ফুটবল এগিয়ে যাবার গল্প শোনান। শোনান স্বপ্ন ও বাস্তবতার কথা। এই টুর্নামেন্টে নিজেদের সামর্থের জানান দেওয়া কথা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগের কথা।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮/আমিনুল/
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন