নায়ক-প্রযোজকের বন্ধুত্বের গল্প

বিনোদন প্রতিবেদক : ঢাকাই চলচ্চিত্রে মন্দার বাজারে অধিকাংশ প্রযোজক লগ্নিকৃত টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। ঝুঁকি নিয়েই এ অবস্থায় চলচ্চিত্রে অর্থ লগ্নি করছেন চলচ্চিত্রবান্ধব কিছু প্রযোজক। এই তালিকায় রয়েছেন প্রযোজক শরীফ চৌধুরী।

এরই মধ্যে ‘পুড়ে যায় মন’ ও ‘ক্রাইম রোড’ নামে দুটি সিনেমা প্রযোজনা করেছেন শরীফ চৌধুরী। ‘পুড়ে যায় মন’ সিনেমায় নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন সাইমন সাদিক। এরপর সাইমনকে নিয়ে ‘মাতাল’ সিনেমা নির্মাণ করেন এই প্রযোজক। ভবিষ্যতে সাইমনকে নিয়ে আরো কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান শরীফ। কিন্তু তার সিনেমায় সাইমনকে বার বার কেন নেয়া হচ্ছে? এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায়-চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক ও প্রযোজক শরীফ চৌধুরীর বন্ধুত্বের কথা। সাইমনের কারণেই চলচ্চিত্র প্রযোজনায় এসেছেন বলেও জানান শরীফ।

শরীফের কথায় সায় দিয়ে চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক বলেন, ‘শরীফের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। ওর সঙ্গে আমার যেমন তুই তোকারির সর্ম্পক আবার মাঝে মাঝে আপনিও হয়ে যায়। দুজনের বোঝাপড়ার অমিল হলে এমনটা ঘটে। বর্তমান অবস্থায় চলচ্চিত্রে শরীফ চৌধুরীর মতো প্রযোজক প্রয়োজন।’

সাইমন সাদিক আরো বলেন, ‘একটা সময় চলচ্চিত্র থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ভেবেছিলাম। তখন শরীফ আমাকে ভরসা দেয়। এরপর আমাকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করে। এভাবেই মূলত আমাদের বন্ধুত্ব আরো গাঢ় হয়।’

সিনেমা প্রযোজনা প্রসঙ্গে শরীফ চৌধুরী বলেন, ‘‘চলচ্চিত্রে মূলত সাইমনের সঙ্গে বন্ধুত্বের জন্যই আসা। আমি নিয়মিত সিনেমা প্রযোজনা করতে চাই। চলচ্চিত্রে নায়ক হতে আসিনি। ভালো লাগা থেকে মাঝেমধ্যে অভিনয় করি। ‘মাতাল’ সিনেমার মুক্তির পর নতুন সিনেমার কাজ শুরু করব। দর্শকদের বলতে চাই, সবাই হলে গিয়ে ‘মাতাল’ সিনেমাটি দেখবেন। ভালো মন্দের সমালোচনা করবেন।’’

শাহীন সুমন পরিচালিত ‘মাতাল’ সিনেমায় সাইমনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন অধরা খান। এছাড়াও অভিনয় করেছেন শিপন মিত্র, অরিন, মিশা সওদাগর, জয় রাজসহ অনেকে। নৃত্য পরিচালনা করেছেন মাসুম বাবুল, সাইফ খান কালু ও হাবিব। এ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে নবাগতা চিত্রনায়িকা অধরা খানের।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ অক্টোবর ২০১৮/রাহাত/শান্ত