ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘ক্যামেরাম্যান ক্যামেরা ছেড়ে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছিল’

আমিনুল ইসলাম শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩৭, ১৪ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ক্যামেরাম্যান ক্যামেরা ছেড়ে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছিল’

‘আদর্শবান চোর’ নাটকের দৃশ্যে রিক্তা, আ খ ম হাসান

বিনোদন ডেস্ক : ‘একটি দৃশ্যে হাসান ভাই (আ খ ম হাসান) আমাদের বাড়ি থেকে বিদায় নিচ্ছেন। এ সময় মা-বাবাকে সালাম দেয়, সঙ্গে আমাকেও। এরপর বাড়ির পেছন দিক দিয়ে বের হতে যায়। তখন বাবা বলেন, ‘এই, বাড়ির পেছন দিক দিয়ে বের হচ্ছো কেন?’ তখন হাসান ভাই বলেন, ‘অভ্রাস, অভ্রাস’ (বিকৃত উচ্চারণ)। মানে চোরের অভ্যাস তো চিপাচাপা দিয়ে যাওয়া সেই অভ্যাস বদলাতে পারেননি। যাইহোক, সালাম দিয়ে যখন বের হয়ে যান। তখন হাসান ভাই এমন এক্সপ্রেশন দেন যে, ক্যামেরাম্যান ক্যামেরা ছেড়ে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছিল। অন্যদিকে তাকিয়ে দেখি পরিচালক মনিটরের সামনে নাই। আমরাও না থাকতে পেরে ফ্রেম থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হই।’ রাইজিংবিডির সঙ্গে আলাপকালে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন মডেল-অভিনেত্রী ফারজানা রিক্তা।

পরিচালক জুয়েল হাসান নির্মাণ করেছেন একক নাটক ‘আদর্শবান চোর’। এটি রচনা করেছেন রুহুল আমিন পথিক। এতে দম্পতির চরিত্রে অভিনয় করেছের আ খ ম হাসান ও ফারজানা রিক্তা। এই নাটকের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন এই অভিনেত্রী।

হাস্যরসাত্মক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটকটি। গল্প প্রসঙ্গে ফারজানা রিক্তা বলেন, ‘হাসান ভাই ছ্যাঁচড়া মুরগী চোর। মুরগী ছাড়া সে অন্যকিছু চুরি করে না। তবে ডিমওয়ালা মুরগী চুরি করে না। কারণ এই মুরগি ডিম দিলে তা থেকে যে বাচ্চা হবে সেটা আবার সে চুরি করতে পারবে। হাসান ভাইয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। যখন বিয়ে হয় তখন আমার বাবা জানত না যে, হাসান ভাই চোর। পরে আমি বুঝতে পারি এর সঙ্গে সংসার করা যাবে না, এজন্য রাগ করে বাবার বাড়ি চলে আসি। তারপর হাসান আমাদের বাড়ি আসেন। এসে সে জানায়, বউকে ছাড়া সে থাকতে পারবে না। চুরি করা তার যেমন পছন্দের কাজ, বউকে তারচেয়ে আরো বেশি ভালোবাসেন। মজার ব্যাপার হলো আমাদের বাড়িতে যখন হাসান ভাই আসেন তখন তিনি বাড়ির পেছন দিয়ে বাড়িতে ঢোকেন। মানে চোরের যে অভ্যাস আর কি। এমন হাস্যরসাত্মক নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে গল্প।’



আ খ ম হাসানের সঙ্গে অনেক নাটক-টেলিফিল্মে কাজ করেছেন রিক্তা। সহশিল্পী হিসেবে হাসানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘দর্শকের কাছে হাসান ভাই একজন কমেডিয়ান, বাস্তব জীবনেও তিনি একই রকম। একটি দৃশ্য কতভাবে ভেঙে নিজের মতো করা যায় সেটা হাসান ভাইয়ের কাছ থেকে শেখার আছে। খুব খুব মজার মানুষ হাসান ভাই। ব্যক্তিগতভাবে আমাকেও তিনি খুব ভালোবাসেন, খুব স্নেহ করেন।’

কয়েক দিন আগে পুবাইলের একটি শুটিং হাউসে নাটকটির দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে। পরিচালকের সঙ্গে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে ফারজানা রিক্তা বলেন, ‘জুয়েল ভাইয়ের সঙ্গে আমার বোঝাপড়া খুবই ভালো। ২০১৩ সাল থেকে একসঙ্গে কাজ করছি। চিত্রগ্রাহক সোহাগ শরীফ। আমাদের ছোট ভাই। ওর সঙ্গেও খুব ভালো বোঝাপড়া। সব মিলিয়ে পুরো শুটিং টিমের সঙ্গে বোঝাপড়াটা ভালো। যার কারণে শুটিংয়ের সময় খুব মজা করে কাজ করি। এ নাটকের কাজ করতে গিয়েও অনেক মজা করেছি।’



নাটকটিতে আরো অভিনয় করেছেন- শফিক খান দিলু, হাসি মুন প্রমুখ। খুব শিগগির একটি ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি প্রকাশিত হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ নভেম্বর ২০১৮/শান্ত/মারুফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়