ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ন্যাশনাল হারবেরিয়াম, বাংলাদেশের উদ্ভিদ জাদুঘর

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৯, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ন্যাশনাল হারবেরিয়াম, বাংলাদেশের উদ্ভিদ জাদুঘর

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বনজ প্রজাতির শিম

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর : সারি সারি কাঠের তাকের মধ্যে থরে থরে সাজানো কাগজের ফাইল। সেই ফাইলের মধ্যে রয়েছে শক্ত সুইডিস বোর্ড পেপার। সেখানে আঠা দিয়ে লাগিয়ে রাখা হয়েছে বিশেষ চাপে শুকানো একটি সম্পূর্ণ উদ্ভিদ বা ফুল-ফলসহ উদ্ভিদের কিছু অংশ। উদ্ভিদ প্রজাতিটির যাবতীয় তথ্যাদিও একটি ছোট্ট লেবেল পেপারে লিপিবদ্ধ করে গ্লু দিয়ে এঁটে দেয়া হয়েছে একই শিটে। আর এভাবেই সংরক্ষণ করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রায় এক লাখ উদ্ভিদের নমুনা।

রাজধানীর মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডে অবস্থিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম হচ্ছে উদ্ভিদের জাদুঘর। দেশের কোন উদ্ভিদ নেই এখানে? ফলজ, বনজ, ঔষধিসহ রয়েছে বিভিন্ন ফুলের গাছের নমুনাও। সাধারণ লতাপাতা বা তুলসী গাছ থেকে শুরু করে এখানে স্থান পেয়েছে বিলুপ্তপ্রায় শতাধিক প্রজাতির উদ্ভিদ নমুনা। যা দীর্ঘ ৫০ বছরেরও অধিক সময় ধরে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাইমুর রহমান জানান, হারবেরিয়ামের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ নিয়মিত ফিল্ডট্রিপ কর্মসূচি বাস্তবায়নের আওতায় সমতলভূমি, জলাভূমি ও বণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঠ পর্যায়ে জরিপের মাধ্যমে উদ্ভিদ নমুনা ও তথ্য সংগ্রহ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। এসময় গাছপালার নমুনা ও বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে ছবিও তুলে রাখা হয়। সংগৃহীত নমুনা বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে প্রক্রিয়াকরণ করা হয় এবং প্রতিটি প্রজাতির নমুনার জন্য একটি আলাদা কালেকশন নম্বর ব্যবহার করা হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি ফিল্ড নোটবুকে রেকর্ডভুক্ত করে রাখা হয়। অপরদিকে মাঠ পর্যায়ে বিরল প্রজাতির উদ্ভিদসহ অনান্য গাছপালা জীবন্ত সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয় বাগানে অথবা প্ল্যান্ট পটে রোপণ করার।

মাঠ জরিপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা নমুনাগুলো হারবেরিয়ামে নিয়ে আসার পর চূড়ান্ত প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এসময় প্রতিটি প্রজাতির একটি করে নমুনা গ্লু অথবা টেপ দ্বারা সংযুক্ত করা হয় হারবেরিয়াম শিটে। সঙ্গে জরিপকালে রেকর্ডকৃত তথ্যাবলী যেমন- নমুনা সংগ্রহকারীর নাম, কালেকশন নম্বর, সংগ্রহ স্থান, বর্ণনা, তারিখ, প্রচলিত ব্যবহার, গুণাবলী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট তথ্যাবলী হারবেরিয়াম লেবেলে লিপিবদ্ধ করে হারবেরিয়াম শিটে লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হয়। অতঃপর শনাক্তকরণ, নামকরণ ও শ্রেণীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর বিশেষভাবে তৈরি হারবেরিয়াম কেবিনেটে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শ্রেণীবিন্যাস করে উদ্ভিদ নমুনাগুলো সংরক্ষণ করে রাখা হয় বলেও জানান এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।



এখানে সাধারণত তিনটি উপায়ে নমুনা সংরক্ষণ করা হয়। এদের মধ্যে অন্যতম হলো মাউন্টেড শিট সংগ্রহ। সম্পূর্ণ উদ্ভিদ বা ফুল-ফলসহ উদ্ভিদের অংশ বিশেষ চাপে শুকিয়ে গ্লু দিয়ে শক্ত বোর্ড পেপারের (৪৩/২৭ সেমি) সঙ্গে আটকে দেয়াকে মাউন্টেড বলা হয়। উক্ত উদ্ভিদ প্রজাতি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করা একটি লেবেল গ্লু দিয়ে এই শিটের সঙ্গে এঁটে দেয়া হয়। বিশ্বের প্রায় সকল হারবেরিয়ামে এই পদ্ধতিতে উদ্ভিদ নমুনা সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামে ৪০ হাজারের অধিক শুষ্ক উদ্ভিদ নমুনা এই প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা আছে। এই পদ্ধতিতে অধিক সংখ্যক উদ্ভিদ নমুনা অল্প জায়গায় এবং সুবিন্যাস্ত পদ্ধতিতে হাজার বছরেরও বেশি সময় পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।

এরপর রয়েছে স্পিরিটে সংরক্ষিত নমুনা। রসালো ফুল-ফল, মূল, টিউবার, কাণ্ড, পাতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যযুক্ত উদ্ভিদ নমুনা চাপে শুকিয়ে হারবেরিয়াম শিট তৈরি করলে ওই সকল অঙ্গের আকার/আকৃতি বিনষ্ট হয়। তাই ওইসকল উদ্ভিদ নমুনার সঠিক পরিমাপ এবং ত্রিমাত্রিক গঠন সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার লক্ষ্যে স্বচ্ছ কাচের জারে স্পিরিটের মধ্যেও কিছু নমুনা সংরক্ষণ করা হয়। ন্যাশনাল হারবেরিয়ামে এমন ৫০০-এর অধিক উদ্ভিদ প্রজাতির নমুনা সংরক্ষিত রয়েছে। অনুমতি সাপেক্ষে হারবেরিয়ামে আগত সকল শ্রেণিবিন্যাসবিদ, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং দর্শনার্থীদের জন্য এই স্পিরিট সংগ্রহশালা উন্মুক্ত। উদ্ভিদ নমুনার ইলাস্ট্রেশন আঁকার ক্ষেত্রে হারবেরিয়ামের আর্টিস্টগণও এগুলো ব্যবহার করেন।

আরো রয়েছে বোতলে সংরক্ষিত শুকনো নমুনা। কোনো কোনো উদ্ভিদের মূল বা কাণ্ডের বাঁকল, পাতা, ফুল, ফল, বীজ ইত্যাদি শুকিয়ে স্বচ্ছ কাঁচের বোতলে এবং রাসায়নিক পদার্থ যুক্ত করে সংরক্ষণ করা হয়। এসব নমুনাও মাউন্টেড হারবেরিয়াম শিটের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। ন্যাশনাল হারবেরিয়ামে এমন ২০০-এর অধিক উদ্ভিদ প্রজাতির নমুনা সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। এসকল নমুনা জিন ব্যাংক এবং গবেষণা কাজে ডিএনএ এক্সট্রাকশনের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

এছাড়াও নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানটি নতুন এবং বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ শনাক্তকরণ এবং এগুলো সংরক্ষণেও পালন করছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ২২৬টি বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদের নমুনা সংরক্ষণ করেছে। যা দেশের জীববৈচিত্র সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা পালন করে চলছে। অন্যদিকে ১৭৫টি উদ্ভিদ প্রজাতিকে বাংলাদেশের জন্য নতুনভাবে নথিভুক্তকরণসহ বাংলাদেশে প্রাপ্ত ২টি নতুন প্রজাতির উদ্ভিদের (Gomphostemma salarkhaniana এবং Cuscuta chittagongensis) আবিষ্কারও করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। যা ‘নিউ টু সায়েন্স’ নামে পরিচিত।



দেশের উদ্ভিদ প্রজাতি সম্বন্ধে সমীক্ষা, নমুনা সংগ্রহ, শনাক্তকরণ, ডকুমেন্টেশন ও সংরক্ষণমূলক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই ন্যাশনাল হারবেরিয়াম। এখানকার সংরক্ষিত উদ্ভিদ নমুনা জাতীয় সম্পদ হিসেবে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. হোসনে আরা জানান, ‘ন্যাশনাল হারবেরিয়াম একটি জাতীয় উদ্ভিদ সমীক্ষা ও সংরক্ষণমূলক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এটি একটি জাতীয় উদ্ভিদ নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণশালা। দেশের ঐতিহ্যবাহী গাছপালাসহ যাবতীয় বৃক্ষলতা শনাক্তকরণ ও নমুনা সংরক্ষণ করা ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের মূল উদ্দেশ্য। যা দেশের ভেষজ সম্পদ, উদ্ভিদবিদ্যার চর্চা এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য বৃক্ষসম্পদের গবেষণা ও উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।’

এছাড়া উদ্ভিদ সম্পদের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং বর্ণনামূলক তালিকা প্রস্তুত করার পাশাপশি উদ্ভিদ সংক্রান্ত মৌলিক তথ্য ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা এবং তা ছড়িয়ে দেওয়া এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কাজ বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সরদার নাসির উদ্দিন।

জীববৈচিত্র সংরক্ষণে তাগিদ প্রদান করা, বর্তমান ও ভবিষ্যতে দেশের উদ্ভিদ প্রজাতির টেকসই অস্তিত্ব রক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং উদ্ভিদ নমুনা সঠিকভাবে শনাক্তকরণ ও নামকরণে ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের গুরুত্ব অপরিহার্য। অপরিচিত বা গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ প্রজাতির বিষয়ে অনুসন্ধান কার্য পরিচালনা করতে হারবেরিয়াম হতে ফ্লোরা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করা হয় বলেও জানান এই কর্মকর্তা। মাত্রাতিরিক্ত শোষণ, বন বিনাশ, খরা, প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে যেসব স্থান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেতে পারে তা জানার প্রধান উৎস হচ্ছে জরিপের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য প্রমাণ। আর এই প্রকার তথ্যসমৃদ্ধ উৎসস্থল বিশ্লেষণপূর্বক ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের গবেষকগণ দ্রুত অবক্ষয়ের সম্মুখীন এলাকা চিহ্নিত করে উক্ত এলাকার জীববৈচিত্র সংরক্ষণের তাগিদ প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।



প্রতিষ্ঠানটির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা খন্দকার কামরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘হারবেরিয়ামের ওপর নির্ভর করে একটি দেশের ফ্লোরা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করা হয়। হারবেরিয়াম না থাকলে গাছপালার শনাক্তকরণ, নামকরণ ও পরিসংখ্যান নির্ণয় করা যায় না বলে দেশের উদ্ভিদ সম্পদের প্রকৃত কোনো চিত্রায়ন সম্ভব নয়। তাই একটি অপরিচিত অথবা গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ প্রজাতির বিস্তারিত তথ্য ন্যাশনাল হারবেরিয়াম ছাড়া কখনোই জানা সম্ভব নয়।’

প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ নমুনা ছাড়াও রয়েছে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। যেখানে রয়েছে উদ্ভিদ সম্পর্কিত প্রায় তিন হাজার বই। হারবেরিয়ামে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন আঙ্গিকে তাদের কাজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে হারবেরিয়াম ও লাইব্রেরিতে নিয়মিতভাবে গবেষণা কাজ করছেন। তারা তাদের কাজের ফলাফল প্রকাশ করে থাকেন সাধারণত প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত গবেষণাপত্র ‘Flora of Bangladesh’ গ্রন্থে। অনুমতিসাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানটির এই লাইব্রেরিতে বৃক্ষ সম্পর্কে পড়াশোনা এবং উদ্ভিদ নমুনা দেখতে আসতে পারেন যে কেউ।

এছাড়া মাঠ জরিপের মাধ্যমে সংগৃহীত উদ্ভিদ নমুনাসমূহের ফুল, ফল, পাতা, ট্রাইকোম ইত্যাদি বাহ্যিক বৈশিষ্টসমূহ ব্যবচ্ছেদ করে মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামে দেখতে পাবেন বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষসহ বিশ্বের সবচেয়ে বড় বনজ প্রজাতির শিম এবং আরো বিভিন্ন নমুনা। চাইলে এখান থেকে নিজের বাগানের জন্য সংগ্রহ করতে পারেন বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদের বিস্তারিত তথ্য এবং চারা অথবা বীজ।

হারবেরিয়াম রয়েছে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই। হারবেরিয়ামের কারণেই পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ সম্পর্কে জানা সম্ভব হচ্ছে। হারবেরিয়ামগুলোর মধ্যে চলে তথ্যের সহজ আদান-প্রদান। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর সিম্পোজিয়ামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের পক্ষ থেকে ঢাকায় একটি হারবেরিয়াম স্থাপনের প্রস্তাব আনা হয়। তারই প্রেক্ষিতে ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ ‘বোটানিক্যাল সোসাইটি অব ইস্ট পাকিস্তান’ নামে একটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এর নাম হয় ‘বোটানিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ’। এ প্রতিষ্ঠানটিই ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম’ নামধারণ করে ১৯৭৫ সালে। ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যের অর্থায়নে ঢাকার মিরপুরের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান প্রাঙ্গণে শুরু হয় এর স্থায়ী ভবন নির্মাণের কাজ। পাঁচ বছর পর আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এ হারবেরিয়ামের কাজ শেষ হয়। এরপর ২০০৪ সালের ১৬ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ ডিসেম্বর ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়