ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

পাকিস্তানি নাটকে ‘আম্মাজান’ খ্যাত শবনম

রাহাত সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০২, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পাকিস্তানি নাটকে ‘আম্মাজান’ খ্যাত শবনম

বিনোদন প্রতিবেদক : ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় সিনেমা ‘আম্মাজান’। সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী শবনম। কাজী হায়াৎ পরিচালিত এই সিনেমায় তার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন অসংখ্য দর্শক। তারপর প্রায় দুই দশক তার কোনো দেখা মিলেনি। এবার পাকিস্তানে নির্মিত একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করলেন এই অভিনেত্রী। পাকিস্তানে কয়েক পর্বের শুটিং শেষ করে গত মাসের মাঝামাঝি সময় ঢাকায় ফিরেছেন তিনি।

‘মোহিনী ম্যানসন কী সিনড্রেলা’ নামে ধারাবাহিক নাটকটি পরিচালনা করছেন আলী তাহের। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন শবনম। গত ৩ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে নাটকটির প্রচার শুরু হয়েছে। এছাড়া ইউটিউবেও এটি দেখা যাবে বলে জানা গেছে। 

ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী শবনম অত্যন্ত আবেগপ্রবণ ও রোমান্টিক নায়িকা হিসেবে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে সমানভাবে জনপ্রিয় ছিলেন। শবনমের দীর্ঘ দিনের কর্মস্থল পাকিস্তান। সেখানে অসংখ্য চলচ্চিত্রে কাজ করে অর্জন করেছেন খ্যাতি ও সম্মান। ১৯৬১ সালে বাংলা চলচ্চিত্র ‘হারানো দিন’র মাধ্যমে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন শবনম। ১৯৬২ সালে উর্দু চলচ্চিত্র ‘চান্দা’ সিনেমার মাধ্যমে তৎকালীন সমগ্র পাকিস্তানে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান। এ দুটি সিনেমাই তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ঢাকা থেকে মুক্তি পেয়েছিল।

চার দশকেরও বেশি সময় আগে পাকিস্তানের নন্দিত নায়ক নাদিমের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে ‘আয়না’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন শবনম। নজরুল ইসলাম নির্দেশিত এটি পাকিস্তানের সেরা ব্যবসাসফল সিনেমা। এই সিনেমায় অভিনয় করে শবনম পাকিস্তানি চলচ্চিত্রের ‘নিগার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিলেন। শবনম সেরা অভিনেত্রী হিসেবে পাকিস্তান চলচ্চিত্রের সম্মানসূচক এই পুরস্কার পেয়েছিলেন এগারোবার। আর সহ অভিনেত্রী হিসেবে পেয়েছিলেন একবার। আর তিনবার পাকিস্তানের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

ষাট-সত্তর দশকে শবনম-ওয়াহিদ মুরাদ, শবনম-নাদিম জুটি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। পরবর্তীকালে পাকিস্তানে বসবাস করে পাঞ্জাবি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। আর ঢাকাতে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন রহমান ও নায়করাজ রাজ্জাকের বিপরীতে অভিনয় করে। শবনম ছিলেন তার সময়কার নারীদের কাছে স্টাইল আইকন। তিনি লাক্স সুন্দরী হিসেবে পাকিস্তানে লাক্সের শুভেচ্ছা দূতের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ দিন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ডিসেম্বর ২০১৮/রাহাত/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়