ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘মেলায় শরবতের দোকান দিয়ে ভালো লাভ হয়েছিল’

সাইমন সাদিক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:২১, ১৪ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘মেলায় শরবতের দোকান দিয়ে ভালো লাভ হয়েছিল’

সাইমন সাদিক : পয়লা বৈশাখ বাঙালির সার্বজনীন উৎসব। এদিন আমি পাঞ্জাবি-পায়জামা পরি। ইলিশ থাকলে বৈশাখের পরিপূর্ণতা পায়। যদিও এটাকে পরিহার করার মানসিকতা আমাদের আছে। এবারের পয়লা বৈশাখের সকাল রমনার বটমূলে কাটাবো। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেব।  

বৈশাখের আচার-অনুষ্ঠান, হালখাতা, বৈশাখী মেলা, বাঙালিয়ানা পোশাক, খাবার বাঙালির বর্ষবরণ উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ। ছোটবেলায় দেখতাম আমাদের বাড়িতে হালখাতা হতো। আব্বু অনেক লোকজনকে দাওয়াত দিতো। ব্যবসায়ীক পরিবারে বেড়ে ওঠায় এগুলো ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। বাড়িতে মানুষ আসলে আমার ভালো লাগতো। ধীরে ধীরে আমরা আরো জাঁকজমকপূর্ণ করে বৈশাখ উদযাপন করছি।

ছোটবেলায় আমরা রং খেলতাম। আমরা লুকিয়ে থাকতাম। দেখা গেল অপরিচিত লোক যাচ্ছে তার গায়ে রং দিয়ে দিয়েছি। ওই সময়টাতে কেউ কিছু বলতো না। না বুঝে কাজটা করতাম। বৈশাখী মেলায় গিয়ে নাগরদোলায় ঘুরেছি অনেক। আমাদের বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি ছিল। সেখানে সাধারণত কেউ যেত না। বৈশাখ এলে সেখানে মেলা বসতো। সেসময় মাইকিং করা হতো ‘মেলা, মেলা, মেলা।’ আশেপাশের গ্রাম থেকে লোকজন আসতো। সেখানে একবার শরবতের দোকান দিয়েছিলাম। শরবতে চিনির চেয়ে স্যাকারিন বেশি দিয়েছিলাম। ইসবগুলের ভুষি, তোকমা, আর উপরে আপেল টুকরো করে অল্প দিতাম। আসলে আপেল শুধু দেখাতাম। মেলায় শরবতের দোকান দিয়ে ভালো লাভ হয়েছিল। সে সময় খরচ হয়েছিল ১৩০ টাকা। আর বিক্রি করেছিলাম ৯০০ টাকা। এটা বিশ বছর আগের ঘটনা।

ছোটবেলার বৈশাখ খুব মিস করি। বাঙালি জাতিসত্তার পরিচয় বহন করে পয়লা বৈশাখ। সুতরাং দিনটি সব সময় আনন্দে পালিত হোক এটাই চাই।

অনুলিখন : রাহাত সাইফুল




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ এপ্রিল ২০১৯/রাহাত/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়