ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

জামা কেনার আগে ভ্যানিটি ব্যাগ কিনতাম: মাহি

রাহাত সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:৪১, ৫ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জামা কেনার আগে ভ্যানিটি ব্যাগ কিনতাম: মাহি

সিলেটে গেলে সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা হয়। ঈদের দিন সকালবেলা আমার শাশুরী আমাকে একটা শাড়ি গিফট করেন। ওই শাড়ি পরে নাস্তা তৈরি করি। এই দিনটি অন্তত সবাই একসঙ্গে খাই। বাসায় অনেক মেহমান আসেন। তাদের জন্য আয়োজন করতে হয়। ঈদের দিন সকাল এভাবেই কাজ আর দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে কেটে যায়। বিকালবেলা আমরা সবাই একসঙ্গে ঘুরতে বের হই। এই সময়টা অনেক মজার! 

চলচ্চিত্রে আসার আগে ঈদের সময়টা আমার কাছে খুব আনন্দদায়ক ছিল। সে সময় খুব ছোটাছুটি করতাম। তখন আমার কাছে একটা ভ্যানিটি ব্যাগ থাকতো। জামা কেনার আগে সুন্দর একটা ব্যাগ কিনতাম। ঈদের অনেক আগে জামা কেনা আমি পছন্দ করি না। ঈদের আগের দিন জামা কিনতে আমার ভালো লাগে। তখন জামা নতুন নতুন লাগে। সকালবেলা ভ্যানিটি ব্যাগটা নিয়ে কোনো রকম সেজেগুজে বের হয়ে যেতাম। আব্বুর বন্ধুদের বাসায়, আমার বন্ধুদের বাসায় গিয়ে ভ্যানিটি ব্যাগটা সামনে তুলে ধরতাম। এর মানে হচ্ছে সালামি লাগবে। ওই দিনগুলো অনেক মজার ছিলো!

একবার আমি আব্বুর এক বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলাম। যাওয়ার আগেই বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরেছি যে, ওই বাসায় গেলে এতো টাকা সালামি দেবে। বন্ধুরা টাকার অঙ্ক শুনে বিশ্বাস করল না। আমি বাজি ধরলাম। কারণ আমি জানি, ওই বাসা থেকেই সবচেয়ে বেশি সালামি পাওয়ার কথা। আমরা সেই বাসায় গিয়ে সালাম করলাম। ভ্যানিটি ব্যাগটা কিন্তু ঠিক সামনে রেখে দিলাম। কিন্তু সালামি কেউ দেয় না। সেমাই খেতে দেয়, পিঠা খেতে দেয় কিন্তু সালামি দেয় না। আমরা যেখানে অন্য বাসায় গিয়ে দশ মিনিট বসি, সেই বাসায় বসে রইলাম প্রায় দেড় ঘণ্টা। তারপরও তারা সালামি দিলোই না। সালামি না পেয়ে নয়, বাজিতে হেরে গিয়ে খুব রাগ হয়েছিল।

নায়িকা হওয়ার পর বিষয়টা পুরো উল্টে গেছে। এখন মানুষ আমার কাছে ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে আসে। এখন আমাকে দিতে হয়। আমিও পাই। আগে সালামির ধরন ছিলো ২০-৩০ টাকা। আর এখন পেলে ২০ হাজার ৫০ হাজার।

অনুলিখন : রাহাত সাইফুল




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ মে ২০১৯/রাহাত/তারা 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়