ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা করায় ৬ শিক্ষার্থী আটক

জে.খান স্বপন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫১, ২৫ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা করায় ৬ শিক্ষার্থী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ও একজন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

শনিবার সকাল ৭টায় নগরীর বাংলাবাজার আরশেদ আলী কনস্ট্রাক্টর গলির নাহার ম্যানশনের নিচতলার ভাড়াটিয়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মুয়ীদুর রহমান বাকীর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় পাঁচটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস, পাঁচটি বিশেষ ইয়ারফোন, প্রশ্ন ফাঁসের কাজে ব্যবহৃত ১১টি মোবাইল সেট (সিমসহ) এবং তিনটি পেন ড্রাইভ উদ্ধার করা হয়েছে। 

বিকেল ৩ টায় সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিন।

আটককৃতরা হলেন- যশোরের বাঘারপাড়া থানার বলরামপুর গ্রামের মো. মুরাদ মোল্লার ছেলে ও  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের ছাত্র মারুফ হোসাইন মারুফ (২২), পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার কার্তিকপাশা গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের ছাত্র আলমগীর হোসেন শাহিন (২৪), পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার মো. জাহিদুল ইসলামের ছেলে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ছাত্র মাহমুদুল হাসান আবিদ (২৩), পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর চালিতাবুনিয়া গ্রামের গাজী হাফিজুর রহমানের ছেলে ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মুয়ীদুর রহমান বাকী (২২), পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার লেবুখালী গ্রামের আবুয়াল হোসেনের ছেলে ও ঢাকার মোহাম্মদপুর ডিগ্রি কলেজের ছাত্র রাকিব আকন (২১) এবং পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টির জাফর আহম্মেদের ছেলে ও গলাচিপা ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগের ছাত্র সাব্বির আহম্মেদ প্রিতম (২৩)।

এদের মধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন শাহিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের অন্যতম হোতা এবং তিনি ঢাকার সিআইডি পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

বরিশাল নগরীর সিএন্ডবি রোড পুলিশ কমিশনারের অস্থায়ী কার্যালয়ের হলরুমে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিন বলেন, আটককৃতদের সঙ্গে তিনজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী যোগাযোগ করেন। তাদের কাছে এক লাখ করে চাওয়া হয়। 

তাদের সঙ্গে চুক্তি করলে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা এই চক্রের দেওয়া এন্টি জ্যামার ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস শরীরের সঙ্গে বেঁধে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ব্লুটুথ ইনডাকশন (বিশেষ ধরনের এয়ারফোন) দিয়ে মোবাইল কলের মতো কল করে প্রশ্ন ফাঁস করতে পারতেন এবং বাইরে থেকে এই চক্রের সদস্যরা উত্তর সরবরাহ করতেন। তার আগেই তাদের আটক করা হয়। এ কারণে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পারেনি তারা।

আটক ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। তাদের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না- তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।




রাইজিংবিডি/বরিশাল/২৫ নভেম্বর ২০১৭/জে.খান স্বপন/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়