ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অনুবাদে দরকার সরকারি উদ্যোগ ও আন্তর্জাতিক বাজার: মাসুদুজ্জামান

সাইফ বরকতুল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০০, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অনুবাদে দরকার সরকারি উদ্যোগ ও আন্তর্জাতিক বাজার: মাসুদুজ্জামান

রাইজিংবিডির স্টলে মাসুদুজ্জামান (ছবি : ছাইফুল ইসলাম মাছুম)

মাসুদুজ্জামান। কবি, সাহিত্য-সমালোচক, অনুবাদক, শিক্ষাবিদ। অধ্যাপনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে। শিল্পসাহিত্যবিষয়ক অন্তর্জাল ‘তীরন্দাজ’-এর সম্পাদক (যৌথ) তিনি। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭-তে আসেন বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রাইজিংবিডি ডটকমের স্টলে। এ সময় সাহিত্যের নানা প্রসঙ্গ, বইমেলা, অনুবাদ ইত্যাদি নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭-তে আসেন বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রাইজিংবিডি ডটকমের স্টলে। এ সময় কবিতা, বইমেলা নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাইফ বরকতুল্লাহ।

সাইফ বরকতুল্লাহ : দেখতে দেখতে বইমেলা শেষের দিকে চলে এসেছে- কেমন দেখছেন?

মাসুদুজ্জামান : জমছে। প্রথমদিকে যেটা হয়, পাঠক সংখ্যা কম থাকে, এখন বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবে আরো বাড়বে। যতদিন এগোবে পাঠক বই কেনার জন্য ততই ব্যস্ত হবে।

সাইফ বরকতুল্লাহ : আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন বইমেলার সঙ্গে যুক্ত হল এবার। এ নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

মাসুদুজ্জামান : এটি খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। আমাদের বইমেলা আগে একেবারেই বাংলাদেশের লেখক-পাঠককেন্দ্রিক ছিল। গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, বইমেলা আন্তর্জাতিক হয়ে উঠছে। বইমেলা মানেই হচ্ছে লেখকদের বই প্রকাশিত হবে, লেখক-পাঠকদের সম্মিলন ঘটবে। এতে এক ধরনের আনন্দমেলার মতো পরিবেশ তৈরি হয়। এর সঙ্গে বই এবং লেখকদের কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসব হওয়ায়- বইমেলাটি আরো বেশি অর্থবহ হয়ে উঠেছে। আমি মনে করি, এই উদ্যোগের কারণে আমাদের বইমেলা কিছুটা হলেও একটি আন্তর্জাতিক চরিত্র দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। আপনি দেখবেন, কলকাতা বইমেলা, ফ্রাঙ্কফুট বইমেলা, টরেন্টো বইমেলা- সব গ্রন্থমেলাতেই আন্তর্জাতিক আবহ থাকে। আমাদের বইমেলা বাংলাদেশের বই আর বাংলা ভাষাকেন্দ্রিক বলে এতদিন এরকম কোনো আবহ ছিল না। কিন্তু যখনই চারদিন ধরে সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হলো, বইমেলা আন্তর্জাতিক রূপ নিল। এখন আমাদের লেখা, লেখকদের সম্পর্কে বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন দেশের লেখকরা জানতে পারছেন, আমরাও সমকালীন বিভিন্ন দেশের লেখক এবং তাদের লেখালেখির কথা জানতে পারছি। আমরা পরিচিত হয়ে উঠছি তাদের সঙ্গে। বিভিন্ন দেশের লেখকদের মধ্যে একটা আন্তসম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। বাইরে বাংলাদেশের সাহিত্য পরিচিতি পাচ্ছে। এটাই গুরুত্বপূর্ণ।

সাইফ বরকতুল্লাহ : বই সম্পাদনা নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয় যে আমাদের অধিকাংশ বই সম্পাদনা ছাড়াই বের হচ্ছে। এই বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখেন?

মাসুদুজ্জামান : এটা পৃথিবীর কোনো দেশেই হয় না। সব দেশেই সম্পাদিত হয়ে বই বের হয়। সম্পাদিত না হয়ে বই প্রকাশ হওয়ার ফলে হয় কী, যিনি লেখক, তারও তো একটা ভাবনা থাকে, তিনি কেমন লিখেছেন তা যদি অন্য কেউ দেখে দিত বা পুরো পাণ্ডুলিপিটা যদি পরিমার্জন করা হতো, তাহলে তিনি তাঁর লেখার ভুল-ত্রুটিগুলি ধরতে পারতেন। এতে তাঁর পাণ্ডুলিপির মানটা বাড়ত। বইয়ের মানটা বাড়ত। পৃথিবীর সব দেশেই প্রকাশকদের নিজস্ব সম্পাদনা পরিষদ থাকে, সম্পাদক থাকে। তারা প্রতিটি বই সম্পাদিত হওয়ার পরই প্রকাশ করে থাকেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন বিষয়ের আলাদা আলাদা সম্পাদক থাকে (কবিতার বই হলে কবিতার পাণ্ডুলিপি দেখার সম্পাদক, গদ্যের বই হলে এই বিষয়ে, প্রবন্ধ কিংবা গবেষণা গ্রন্থের জন্যও আলাদা আলাদা সম্পাদক থাকে)। এরা পাণ্ডুলিপির ধরণ, বিন্যাস, বাক্য গঠন, বানান, ভাষারীতি- সবকিছুর দেখাভাল করেন। আমাদের দেশে সম্পাদনা ছাড়া বই বের হয় এটা আসলেই লজ্জাজনক ব্যাপার। যারা প্রতিষ্ঠিত লেখক তাদের বইও সম্পাদিত হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে যারা সম্পাদনা করবেন তারা যেন সম্পাদনার যোগ্য মানুষ হন।

সাইফ বরকতুল্লাহ : বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক বিপ্লব ঘটে গেছে। দেখা যাচ্ছে যে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে সাহিত্যচর্চা করছেন। সেখানে কিন্তু বাংলা সাহিত্যের একটা উন্মেষ হচ্ছে। এ বিষয়টা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

মাসুদুজ্জামান : হ্যাঁ, সেখানে বাংলা ভাষা বা সাহিত্যের একটা বিকাশ ঘটছে। আগে আমরা শুধু বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলাম। কিংবা সংবাদপত্রে যেটা ছাপা হতো, তার মধ্যেই সীমবদ্ধ থাকতাম। কিন্তু এখন অনলাইন পোর্টালগুলো হওয়ার ফলে, সাহিত্য সংস্কৃতির ব্যাপক বিকাশ ঘটছে। দেশে এখন বিভিন্ন ধরনের পোর্টাল আছে। আমি নিজেই একটা সাহিত্য পোর্টাল (সাহিত্য সংষ্কৃতিবিষয়ক পত্রিকা ‘তীরন্দাজ’) সম্পাদনা করি। এই কাজগুলো আমি কখনোই ছেপে প্রকাশ করতে পারতাম না, যদি না অনলাইন পোর্টাল করার সুযোগ পেতাম। কারণ ছাপার খরচ অনেক বেশি এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু অনলাইন হওয়ার ফলে প্রতিদিনই একটা-দুটো লেখা আপলোড করতে পারছি। লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর-পরই সেটা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু আমি যদি একটা পত্রিকা প্রকাশ করতাম, সেই পত্রিকা যতদিন না পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পারতাম, ততদিন তারা পড়তে বা দেখতে পারতেন না। কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমে সেই সুবিধা পাচ্ছি আমরা। এর ফলে আমাদের সাহিত্য সংস্কৃতির ব্যাপক প্রসার ঘটছে। তবে মানটাও খেয়াল রাখতে হবে। মানসম্পন্ন পত্রিকা না হলে পাঠক বিভ্রান্ত হবে। এ প্রসঙ্গে রাইজিংবিডির কথা বলব। এটিও মানসম্পন্ন একটা নিউজ পোর্টাল হিসেবে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, সাহিত্য-সংস্কৃতিও যেখানে গুরুত্ব পায়।

সাইফ বরকতুল্লাহ : সমালোচনা আছে যে অনলাইনে যা ইচ্ছে তাই লেখা হচ্ছে। এই বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন?

মাসুদুজ্জামান :  অনলাইনের সুবিধা হচ্ছে পাঠকের কাছে সহজেই লেখা পৌঁছে দেওয়া যায়। কিন্তু অসুবিধা হলো মানসম্পন্ন লেখা আরো বেশি হওয়া দরকার। অনলাইনের লেখাগুলো যোগ্য সম্পাদকদের হাতে সম্পাদিত হওয়া দরকার। কেউ যদি মনে করেন আমি একটা লিখেছি- এটা নেটে দেওয়ার যোগ্য হয়ে গেল, তা কিন্তু হয় না। পাঠকের কাছে লেখাটা ভালো নাও লাগতে পারে। মানটা ভাল না হওয়ার কারণেই এটা ঘটতে পারে। তাই সম্পাদিত হয়েই লেখা প্রকাশিত হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। অনলাইন পোর্টালগুলোরও তাই মান নিয়ন্ত্রণ করা উচিত এবং মানসম্পন্ন লেখা প্রকাশ করা উচিত।

সাইফ বরকতুল্লাহ : বইমেলা এলেই বই উৎসব, প্রচুর বই প্রকাশিত হয়, সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক কাভারেজ পায়। কিন্তু বছরের অন্য মাসগুলোতে তা হয় না। আপনার ভাবনা কী?

মাসুদুজ্জামান : কারণটা হলো বইমেলায় একসঙ্গে অনেক পাঠককে পাওয়া যাবে, এই সময়ে একটা বড় মেলা হচ্ছে- একমাস ধরে, পৃথিবীর কোনো দেশে এতদিন ধরে কোনো বইমেলা হয় না। পৃথিবীর কোনো বইমেলা দশদিন/বারো দিনের বেশি স্থায়ী হয় না। কিন্তু আমাদের অমর একুশে বইমেলা একমাত্র বইমেলা যা একমাস ধরে চলে। এ কারণেই প্রায় একমাস ধরে পাঠকদের পাওয়া যায় এখানে, লেখক ও প্রকাশকেরা তাই এইসময়ে এত বেশি বই প্রকাশে উৎসাহিত হন। ফলে, যেটা হয়েছে এই সময়েই বইকেন্দ্রিক যা কিছু তার সবই ঘটে। কিন্তু বছরের বাকি দিনগুলোতে বইয়ের প্রতি লেখক-পাঠকের আগ্রহ ততটা তীব্র থাকে না। এর একটা ভাল দিক আছে। খারাপ দিকও আছে। ভালো দিক হলো- এই সময়ে অনেক বই প্রকাশিত হয়, পাঠকের কাছে বই পৌঁছে দেওয়া যায়। এক মেলাতে ঢুকেই প্রকাশিত সব ধরনের বই পাওয়া যায়। খারাপ দিকটা হলো, অন্য সময়ে এই সুযোগটা ততটা অবারিত থাকে না। আমি মনে করি বইয়ের কাজ সারা বছর ধরে হওয়া দরকার।

সাইফ বরকতুল্লাহ : আপনি বিশ্বসাহিত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। বিশ্বসাহিত্যের অনেক জনপ্রিয় ও শীর্স্থানীয় লেখকের সঙ্গে মিশেছেন। আমরা এখন বাংলাদেশে বিদেশি লেখকের অনেক বই বাংলায় অনুবাদ পাচ্ছি। কিন্তু বাংলা ভাষার অনেক ভালো ভালো বই আছে যেগুলো ইংরেজিতে অনুবাদ হওয়া দরকার- এ নিয়ে কোনো কাজ করছেন কি না?

মাসুদুজ্জামান : আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে, তীরন্দাজেরও কিংবা আমার ব্যক্তিগত একটা পরিকল্পনা আছে। বিশেষ করে ইংরেজি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ তো হচ্ছেই। এটার একটা ভালো ধারা তৈরি হয়ে গেছে। নতুন অনুবাদকও পাচ্ছি। আপনি ঠিকই বলেছেন, এই অনুবাদ সমকালীন লেখকদের লেখার হতে পারে কিংবা আগের, ক্ল্যাসিক যে সাহিত্য আছে, যেগুলোর চিরায়ত মূ্ল্য আছে, বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ বইগুলো সেইভাবে অনূদিত হচ্ছে না। এটা হওয়া উচিত। এটা হওয়ার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ দরকার। অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে লেখক অনুবাদকদেরও একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাংলা একাডেমি কাজ করতে পারে, শুনেছি তারা করছে। কিন্তু সেটার ফলাফল আমরা ইতিবাচক দেখছি না। একটা কথা বলি, আমাদের শুধু অনুবাদ করলেই হবে না। সেটা বহিঃবিশ্বে পৌঁছাতে হবে। অনূদিত বইয়ের আন্তর্জাতিক বাজার দরকার। আর আন্তর্জাতিক  বাজার পেতে হলে আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। এটা শুধু বাংলা একাডেমি করল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করল, তা কিন্তু হবে না। মার্কেটিং করতে হবে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর তো আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক নেই। এজন্য যেটা করা দরকার তা হলো বিশ্বের বড় বড় প্রকাশনা সংস্থা- যেমন পেঙ্গুইন, হারপার কলিংস বা অন্য যারা আছে তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। যৌথভাবে অনূদিত বই প্রকাশ করে সেইসব বইয়ের আন্তর্জাতিক মার্কেটিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্যে ব্যাপক বিনিয়োগের প্রয়োজন আছে। আরেকটা কথা বলি, আমি তাইওয়ানে চার বছর শিক্ষকতা করেছি। ওখানে দেখেছি, তাইওয়ানের সাহিত্য (চীনা ভাষায় লেখে ওরা) আমেরিকাতে অনূদিত হচ্ছে। বই হচ্ছে। অ্যানথলজি হচ্ছে। আমি ওদেরকে জিজ্ঞেস করেছি, এটা কীভাবে সম্ভব হলো, ওরা জানিয়েছে, আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি করি। চুক্তিটা এরকম- আমরা ফান্ড দিই আর ওরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে অনুবাদ করে মার্কেটিং করে। শিকাগো ইউনিভার্সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি, কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সঙ্গে ওদের এই ধরনের চুক্তি আছে। তাইওয়ান সরকার ওদের ফান্ড দেয়। আমাদেরও তাই করতে হবে। সরকারকে ফান্ড দিতে হবে। বিদেশি বিশ্বিবিদ্যালয় ও প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই কাজটা করতে হবে। তাহলে আমরা মানসম্পন্ন অনুবাদ আর তার একটা আন্তর্জাতিক বাজার পাব। কিন্তু এই কাজটা আমরা কোনদিন করিনি। স্বাধীনতার এত বছর পরও তা ঘটেনি।

সাইফ বরকতুল্লাহ : আপনি বিভিন্ন দেশের সাহিত্যের সমালোচনা লিখছেন, খোঁজখবর রাখছেন। আমাদের বাংলাদেশের সাহিত্য কিন্তু একটা পর্যায়ে চলে গেছে। বিদেশি সাহিত্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সাহিত্যের কোনো পার্থক্য খুঁজে পান?

মাসুদুজ্জামান : আমাদের সাহিত্য অনেক উন্নত। আন্তর্জাতিক  মানসম্পন্ন অনেক সাহিত্য হচ্ছে বাংলাদেশে। প্রবন্ধ-সাহিত্য কিন্তু অনেক উঁচুমানের লেখা দেখেছি। কিংবা উপন্যাস, অনেক উঁচুমানের উপন্যাসও লেখা হয়েছে। আমাদের লেখকরা তাদের লেখাতেও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। যে ধরনের লেখা আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে, আমাদের লেখকরা সেই ধরনের লেখাও কিন্তু লিখছেন। আমি মনে করি বাংলাদেশের সাহিত্য এখন বিশ্বমানের সাহিত্য। আমাদের একটাই সমস্যা, আমাদের প্রকাশনা আরো বিস্তৃত হওয়া দরকার। এতে প্রফেশনালিজম থাকা দরকার, বিকাশ হওয়া দরকার। এ উদ্যোগগুলো এখনই নেওয়া উচিত।

সাইফ বরকতুল্লাহ : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

মাসুদুজ্জামান : আপনাকেও ধন্যবাদ। রাইজিংবিডিকে শুভেচ্ছা।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/সাইফ/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়