ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

লিটলম্যাগ চত্বর উদ্যান অংশে রাখা উচিত : সুহিতা সুলতানা

অহ নওরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
লিটলম্যাগ চত্বর উদ্যান অংশে রাখা উচিত : সুহিতা সুলতানা

এবারের বইমেলায় (২০১৮) প্রকাশিত হয়েছে সুহিতা সুলতানার কাব্যগ্রন্থ ‘হারিকেনজাল’। কবিতা লেখার পাশাপাশি তিনি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত। শনিবার মেলা প্রাঙ্গণে এসেছিলেন তিনি। বইমেলার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন রাইজিংবিডির সঙ্গে। জানিয়েছেন মেলা সম্পর্কে তার বিভিন্ন ভাবনার কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অহ নওরোজ

রাইজিংবিডি : বইমেলায় এলেন, কেমন লাগছে?

সুহিতা সুলতানা : আজ দ্বিতীয়বারের মতো মেলায় এলাম। অফিসে কাজের চাপে সময় করে উঠতে পারি না।

রাইজিংবিডি : গতবারের তুলনায় এবারের বইমেলার কোনো পার্থক্য দেখলেন?

সুহিতা সুলতানা : এবারের বইমেলা যেরকম আমরা ভেবেছিলাম যে, গতবারের তুলনায় আরো বেশি আকর্ষণীয় হবে ততবেশি হয়নি। তবে জায়গা বাড়ায় হাঁটতে ভালোই লাগছে। কিন্তু আগে দুইপাশেই লেখকদের বসার জন্য জায়গা করা হতো, এবারে বাংলা একাডেমিতে মাত্র একটি করা হয়েছে। তাও দেরিতে। লেখকদের বসার জন্য তো জায়গা রাখা উচিত।

রাইজিংবিডি : কিন্তু বাংলা একাডেমি বলছে এবারের বিভিন্ন স্থানে বসার জায়গা দেওয়া হয়েছে বলে দুইপাশে লেখককুঞ্জ করেনি।

সুহিতা সুলতানা : কিন্তু এই বসার জায়গা পর্যাপ্ত নয়। দুই-তিনজন বসলেই জায়গা শেষ হয়ে যায়। এই জায়গা বাড়ানো উচিত। আর এই যে লিটল ম্যাগাজিনের যে অবস্থা তাতে যে লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে এসে একটু আড্ডা দেবো সেই উপায়ও নেই। পুরাপুরি আঁটসাঁট অবস্থা।

রাইজিংবিডি : এবার প্রথমে লিটল ম্যাগাজিন চত্বর উদ্যান অংশে নেওয়া হয়েছিল।

সুহিতা সুলতানা : সেটা তো জানিই। এমন কেন করা হলো বুঝলাম না। ঐপাশে মূল মেলার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছিল সেটাই ভালো ছিল। প্রাণের মেলা আমরা যে কারণে বলি সেই প্রাণের মিলনের ব্যাপারটা এভাবে হচ্ছে না। রাস্তা পার হয়ে বাংলা একাডেমিতে আসা উদ্যানে যাওয়া, সবার সাথে দেখা হওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। আশা করি লিটল ম্যাগাজিন কর্নার আগামীবার থেকে উদ্যান অংশে রাখা হবে। এর ফলে মেলা প্রাণ ফিরে পাবে।

রাইজিংবিডি : এবার কবি প্রকাশনী থেকে আপনার কাব্যগ্রন্থ ‘হারিকেনজাল’ প্রকাশিত হয়েছে। এমন নাম রাখার পেছনের কারণ জানতে চাই।

সুহিতা সুলতানা : হারিকেন হলো আলোর প্রতীক। যে আলো এবং অন্ধকার অর্থাৎ শুভ এবং অশুভের মধ্যখানে অবস্থান করে। আর জাল কে মায়াজাল অর্থে এখানে আনা হয়েছে। এই বইয়ের অধিকাংশ কবিতাই আমরা যে একটি শুভ অশুভ দোলাচলে দুলছি সেই ব্যাপারটিতে প্রতিফলিত করে। সে কারণেই এমন নামকরণ।

রাইজিংবিডি : নতুন লেখকদের অনেককেই দেখা যায় নিজের টাকা খরচ করে বই প্রকাশ করছেন। নিজের টাকা খরচ করে বই প্রকাশ করা কতটা সাহিত্যবান্ধব?

সুহিতা সুলতানা : এটি সাহিত্যবান্ধব নয় বরং সাহিত্যের জন্য ক্ষতিকর। এই সুযোগ থাকাই কিছু অলেখক আছেন যারা নিজের টাকায় বই প্রকাশ করে বড় লেখক বলে দাবি করেন। এতে পাঠকদের কাছে অন্য লেখকদেরও সম্মানের হানি হয়। প্রকাশক যে লেখককে খুঁজে বের করে বই করবেন সেই লেখকই তো প্রকৃত লেখক।

রাইজিংবিডি : আপনি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উপপরিচালক। গ্রন্থকেন্দ্র সারা বছরই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বইমেলার আয়োজন করে থাকে। কিন্তু সেই বইমেলাগুলোর প্রচারণা সেই অর্থে হয় না।

সুহিতা সুলতানা : আপনি কী বলতে চাচ্ছেন আমি বুঝতে পেরেছি। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র সারা বছরই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বইমেলার আয়োজন করে থাকে। একুশে বইমেলা যে পরিমাণ মিডিয়া কাভারেজ পায় সেই পরিমাণ কাভারেজ অন্য মেলাগুলো পায় না। অনেক সময় দেখা যায় জেলা শহরে বইমেলা হচ্ছে অথচ জেলা শহরের মানুষই জানে না। এর জন্য আমরা পোস্টারিং করি। কিন্তু সাংবাদিক ভাইদেরও একটি খেয়াল দিতে হবে। প্রচারেই তো প্রসার। একজন বইপড়া লোক বাড়লে সেটি তো জাতির জন্যই ভালো।

রাইজিংবিডি : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

সুহিতা সুলতানা : আপনাকেও ধন্যবাদ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/অহ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়