ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

২০তম দিনে বইমেলায় ১২৪টি নতুন বই

অহ নওরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:২১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২০তম দিনে বইমেলায় ১২৪টি নতুন বই

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক : অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২০তম দিনে (২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮) নতুন বই এসেছে ১২৪টি। এর মধ্যে গল্পগ্রন্থ ১৯টি, উপন্যাস ১৪টি, প্রবন্ধগ্রন্থ ২টি, কাব্যগ্রন্থ ৪৮টি, গবেষণাগ্রন্থ ১টি, ছড়াগ্রন্থ ১টি, শিশুসাহিত্য  ৬টি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ ৩টি, বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ ১টি, ভ্রমণ বিষয়ক গ্রন্থ ৪টি, ইতিহাস গ্রন্থ ১টি, অনুবাদগ্রন্থ ৬টি, সায়েন্স ফিকশন ২টি, অন্যান্য গ্রন্থ ১৬টি।

বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাস : বহুত্ববাদ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের চার রাষ্ট্রনীতি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আকসাদুল আলম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ও মাহবুবুল হক। সভাপতিত্ব করেন শামসুজ্জামান খান।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের চার রাষ্ট্রনীতি নানা সময়ে রাজনৈতিক দুর্বিপাকের শিকার হয়েছে কিন্তু নানান সংশোধনীর পর এখনও তার জনমুখী বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছে। অন্যতম রাষ্ট্রনীতি সমাজতন্ত্রের অন্তর্নিহিত প্রাণশক্তি যদি ধরা হয় উদার সাম্য-ভাবনা, তাহলে সে লক্ষ্য পূরণে কিছু ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দৃঢ়তা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বৈষম-বঞ্চনার সঙ্গেও আপোষের প্রবণতা। স্বাধীন বাংলাদেশ বাঙালি জাতীয়তাবাদের আসন আগের মতো অটুট থাকার যৌক্তিকতা এখন আর রয়েছে বলে বলা চলে না। বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সমান মর্যাদা ও অধিকার স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। জনসংখ্যার যে-অংশ বাঙালি নয় তাদের মর্যাদা এবং অধিকারও এখন সংরক্ষিত।

আলোচকরা বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে ভাষাভিত্তিক-অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা এক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। স্বাধীন বাংলাদেশের চার রাষ্ট্রনীতি-জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিনিধিত্ব করে।

তারা বলেন, আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির চেতনায় বহুত্ববোধের যে মানবিক ধারণা প্রবাহিত তা সামরিক শাসক ও ছদ্মগণতন্ত্রীরা সংবিধান সংশোধনীর নামে নষ্ট করার চেষ্টা করেছে।

সভাপতির বক্তব্যে শামসুজ্জামান খান বলেন, সমাজে যুক্তিবাদের অনুপস্থিতি এবং ধর্মান্ধ-প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর অপতৎপরতার ফলে অসাম্প্রদায়িক-গণমুখী বাংলাদেশের রক্ষাকবচ হিসেবে স্বাধীনতার অব্যবহিত পর সংবিধানের চার মৌলনীতি সংযোজন ছিল অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ সে চারনীতির মর্মবাণীকে ধারণ করেই সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া সবশেষে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সিদ্দিকুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় ছিল ‘মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র’ এর পরিবেশনা। এছাড়া আবৃত্তি পরিবেশন করেন ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, সায়েরা হাবীব, কাজী বুশরা আহমেদ এবং এ এস এম সামিউল ইসলাম।

বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার বাংলা একাডেমি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।  

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/অহ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়