ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

শেষ শিশু প্রহরের দিনে ১৮২টি নতুন বই

অহ নওরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৭, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শেষ শিশু প্রহরের দিনে ১৮২টি নতুন বই

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক : ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার ছিল অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২৪তম দিন। আজ সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত গ্রন্থমেলায় ছিল শেষ শিশুপ্রহর।

শনিবার বইমেলায় নতুন বই এসেছে ১৮২টি। এর মধ্যে গল্পগ্রন্থ ৩৬টি, উপন্যাস ১৮টি, প্রবন্ধগ্রন্থ ১৩টি, কাব্যগ্রন্থ ৫৪টি, গবেষণা গ্রন্থ ১১টি, ছড়া গ্রন্থ ৪টি, শিশুসাহিত্যের বই ৫টি, জীবনী গ্রন্থ ২টি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গ্রন্থ ২টি, নাট্যগ্রন্থ ২টি, বিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থ ৩টি, ভ্রমণ কাহিনী ৩টি, ইতিহাস গ্রন্থ ৫টি, স্বাস্থ্যবিষয়ক বই ১টি, অনুবাদ গ্রন্থ ৩২টি,  সায়েন্স ফিকশন ২টি এবং অন্যান্য গ্রন্থ ১৮টি।

শিশুপ্রহর শুরু হওয়ার আগে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, সংগীত প্রতিযোগিতা, সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু-কিশোরদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে ছিল ‘দেশ বিভাগের সত্তর বছর’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইমানুল হক। আলোচনায় অংশ নেন সৈয়দ হাসান ইমাম। সভাপতিত্ব করেন কামাল লোহানী।

প্রাবন্ধিক বলেন,  ‘দেশভাগের নানা মাত্রার মধ্যে উদ্বাস্তু সমস্যা যেমন একটি, মানুষের মনস্তত্ত্বে বিভাজনও আর একটি দিক। দেশভাগের যেকোনো অংশে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সংখ্যালঘু মানুষ। আবার নতুন রাষ্ট্রে বিকাশের পথও খুঁজে নেন অনেকে। দেশভাগের সত্তর বছর পেরিয়ে আমাদের প্রত্যাশা-যতই ভৌগলিক বিভাজন থাকুক,  হৃদয়ে হৃদয়ে যেন কাঁটাতারের বেড়া না গড়ে ওঠে।’

আলোচক সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, দেশভাগ সীমান্তের দুই পাড়ের মানুষের জন্যই এক বিশেষ অভিজ্ঞতা। আপন ভিটেমাটি থেকে মানুষের উচ্ছেদ হওয়ার ক্ষত কখনোই কোনো ক্ষতিপূরণে মুছে যাবার নয়।

সভাপতির বক্তব্যে কামাল লোহানী বলেন, আমাদের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিতে দেশভাগ রেখে গেছে গভীর অভিঘাত। চলচ্চিত্র ও চিত্রকলাতেও দেশভাগের ছায়া পড়েছে। দেশভাগে সবসময় সুবিধা নেয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। তাই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধেই পরিচালিত হোক আমাদের সকল মানবিক লড়াই।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল ইমন চৌধুরীর পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘ফাল্গুনী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সংস্থা’র পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন তাপসী ঘোষ, মুন্নী কাদের, ফারহানা শিরিন, মোক্তার হোসেন এবং এম এম উম্মে রুমা ট্রকি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/অহ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়