ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মেলায় অলাত এহ্‌সানের গল্পগ্রন্থ ‘অনভ্যাসের দিনে’

রাহাত সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০০, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মেলায় অলাত এহ্‌সানের গল্পগ্রন্থ ‘অনভ্যাসের দিনে’

সাহিত্য ডেস্ক: মূলত তিনি গল্পকার। প্রবন্ধ ও সমালোচনা লেখেন। তিনি যা লিখতে চান, যেভাবে লিখতে চান তা কবিতায় লেখা যাচ্ছিল না বলেই গল্পের আশ্রয় নেন। সাহিত্যতত্ত্বের উপনিবেশ মুক্ত তার গল্প। বিচিত্র বিষয়, দেখার সূক্ষ্মতা, কৌতুক, চিন্তার স্বচ্ছতা, ভাষা ও উপস্থাপনের প্রতি অভিনিবেশ আর আবেগের প্রতি সৎ থাকা তার প্রকাশকে করেছে স্বতন্ত্র।

এই তরুণ গল্পকার অলাত এহ্সানের গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হলো বইমেলায়। বইটি প্রকাশ করেছে প্রকৃতি (মেলায় স্টল নং-২৪৭)। প্রচ্ছদ এঁকেছেন বিপুল শাহ। ভূমিকা লিখেছেন ওপার বাংলার অনুবাদক ও অধ্যাপক অভিজিৎ মুখার্জি। বইটিতে মোট ১২টি গল্প রয়েছে। মূল্য ২২০ টাকা।

বইটি সম্পর্কে লেখক বলেন: একটা ভালো লেখার জন্য লেখকের অনেক প্রস্তুতি, অনেক অপেক্ষা দরকার হয়, আবার অনেক গাদ (ট্রাশ) ফেলে দেয়ার পরই একটা ভালো লেখা বেরিয়ে আসে। যে কারণে আমার প্রকাশিত-অপ্রকাশিত অনেক লেখাই বইয়ের বিবেচনায় আনিনি। এটা সুখকর যে, শেষ পর্যন্ত সেই গল্পগুলোই নির্বাচিত হয়েছে, বইটাকে সব পাঠকের কাছে সমান গ্রহণযোগ্য করে তুলবে বলে আমার প্রত্যাশা। চূড়ান্ত বিচারে আমি কেবল গল্পই লিখতে চেয়েছি, এটাই আমার নিজস্ব এলাকা, একটা শিল্পিত গল্পের জন্যই আমার সব আয়োজন, সব অপেক্ষা। ছোটগল্প এখন আর বিষয় ও আঙ্গিকের মধ্যে আটকে নেই। সিনেমার মতো এতেও যুক্ত হয়েছে আরো অনেক শিল্পের ধারা। তা বিবেচনায় রেখেই আমি কেবল গল্পই লিখতে পারি, পাঠককে তা যেভাবে স্পর্শ করবে সেটাই সেই পাঠকের ক্ষেত্রে লেখাটার প্রকৃত মান, এটা তার নিজস্ব অধিকারের মধ্যে পরে। তবে আমি আমার সমালোচকদের বন্ধু মনে করি।

দেখুন ছোট্ট একটা প্রসঙ্গ তুলি এখানে, ‘সাহিত্যের জন্য সাহিত্য’ কিংবা ‘বদলের জন্য সাহিত্য’ নিয়ে বিতর্ক, তত্ত্বে আমার উৎসাহ নেই। আমার কাছে মনে হয় একটি শিল্পিত গল্পই প্রকৃত জীবন তুলে ধরতে পারে। যেমন ঢাকার ফুটপাথ বা ওভার ব্রিজে কেউ যখন তার হাত পায়ের ক্ষত দেখিয়ে সাহায্য আশা করে, আমরা বলি দারিদ্র্য প্রদর্শন। আবার যখন মুখে দাগ-টাগ ঢাকতে কেউ অতিরিক্ত প্রসাধন মেখে রাস্তায় বের হয়, আমরা বলি যাত্রাপালার অভিনেতা। মানে এই দুইটা কোনোটাই আমাদের কাছে স্বাভাবিক নয়। স্বাভাবিক নয়, আবার শিল্পিতও নয়। কিন্তু এদুটোই আমাদের সমাজে আছে। এর বাইরে একটা জনজীবন আছে, যাকে মোটা দাগে স্বাভাবিক বা প্রচালিত মনে করি। সেই জীবনের ভেতরে স্বপ্ন, বিচ্ছিন্নতা, অনাপ্রাপ্তি, অনাকাঙ্ক্ষা, যাদু, সচেতন-অবচেতন, ভালোবাসা-ঘৃণা, হাসি-কান্না ইত্যাদি আছে। কিন্তু কোনো কিছুর প্রতি পক্ষপাত না করে, এই সমস্ত কিছুই ধারণ করে লিখতে পারাটাই শিল্পিত লেখা। কোনো অঞ্চলে ঘটলেও গল্পটা সার্বজনীন হয় এবং কোনোভাবেই যেন ক্লিশে হয়ে না যায় সেই ব্যাপারে সচেতন থাকা জরুরি। আমি সেটাই চেষ্টা করেছি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়