ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

লাঠিখেলা উৎসবে মুগ্ধ কুষ্টিয়ার দর্শক

কাঞ্চন কুমার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৯, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
লাঠিখেলা উৎসবে মুগ্ধ কুষ্টিয়ার দর্শক

কাঞ্চন কুমার, কুষ্টিয়া : আবহমানকাল ধরে গ্রাম-বাংলার নানা উৎসব-পার্বণে চিত্ত বিনোদনের খোরাক জোগাতো লাঠি খেলা। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী এ খেলাটি টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী কেন্দ্রীয় দপ্তরের উদ্যোগে কুষ্টিয়ায় শুরু হয়েছে দুইদিন ব্যাপী লাঠি খেলা উৎসব।

শরীরে বিশেষ পোশাক আর হাতে লাঠি। ঘুরছে শাঁই-শাঁই। ঢোলক, ঝুমঝুমি, কাড়া এসব বাদ্যযন্ত্রের তালে চলছে নাচ। লাঠি দিয়ে চলছে সড়কি, ফড়ে, ডাকাত ডাকাত, বানুটি, বাওই জাক, নড়ি-বাড়িসহ নানা নামীয় কৌশলের খেলা। খেলোয়াড়রা নিজ নিজ লাঠি দিয়ে রণকৌশল প্রদর্শন করে।

কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ মাঠে ছিল এর মূল আয়োজন। শনিবার বেলা ৩টায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান আনুষ্ঠানিকভাবে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নুল আবদিন, প্রবীণ সাংবাদিক ওয়ালিউল বারী চৌধুরীসহ সরকারী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনীর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

খেলোয়াড় মিন্টু সর্দার বলেন, এই খেলাটি ক্ষমতা ও শৌর্যের প্রতীক। নিয়মিত চর্চার পাশাপাশি এক সময় খেলাটি বর্ষবরণ, পূজা-পার্বণসহ নানা উৎসবে বড় পরিসরে আয়োজন করা হতো। অথচ কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এই লাঠি খেলা।  

খেলা দেখতে এসেছিলেন এডভোকেট শামস তানিন মুক্তি। তিনি মুগ্ধ এই লাঠি খেলায়। বলেন, ‘নানা প্রতিকুলতার কারণে লাঠি খেলা বিলুপ্তির পথে, অন্যদিকে নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে না। সে কারণে খেলাটিকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়া অত্যাবশ্যক। বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনীর এই আয়োজনকে স্বাগত জানান তিনি।

শনিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া দুইদিনের এই লাঠি উৎসব শেষ হচ্ছে আজ বিকালেই। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগই ঐতিহ্যবাহী খেলাটি টিকিয়ে রাখতে পারে, জানালেন লাঠিয়াল বাহিনী কেন্দ্রীয় দপ্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল¬াহ আল মামুন তাজু।

এই লাঠি খেলা উৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৫টি দলের প্রায় ৫০০ খেলোয়াড় অংশ নেয়। এবং তাদের ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনে মুগ্ধ করে দর্শক হৃদয় ।

 

 

রাইজিংবিডি/কুষ্টিয়া/১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/কাঞ্চন কুমার/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়