ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘প্রথম বই প্রকাশের অনুভূতি অন্যরকম’

সাইফ বরকতুল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:১৩, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘প্রথম বই প্রকাশের অনুভূতি অন্যরকম’

রাইজিংবিডির স্টলে নাহিদা নাহিদ (ছবি : ছাইফুল ইসলাম মাছুম)

গল্পকার নাহিদা নাহিদ। গল্প নিয়েই কাজ করছেন তিনি। পাশাপাশি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। প্রতিশ্রুতিশীল এই তরুণ কথাশিল্পী পিএইচডি গবেষণার পাশাপাশি সৃজনশীল সাহিত্য রচনায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭-তে মঙ্গলবার (বইমেলার ১৪তম দিন) বিকেলে আসেন বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রাইজিংবিডি ডটকমের স্টলে। এ সময় গল্প ও বইমেলা নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাইফ বরকতুল্লাহ

রাইজিংবিডি : বইমেলায় এসেছেন কেমন লাগছে?

নাহিদা নাহিদ : ভালো লাগছে। আমি তো কুমিল্লায় থাকি। সেখান থেকেই প্রতিবার বইমেলায় আসি। তবে এবার একটু বেশি ভালো লাগছে, কারণ এবার আমার বই প্রকাশিত হয়েছে। এ জন্য অনুভূতিটা অন্যরকম।

রাইজিংবিডি : এটাই কী আপনার প্রথম বই?

নাহিদা নাহিদ : হ্যাঁ, আমি অনেকদিন ধরেই গল্প লিখছি। ‘অলকার ফুল’- এটি আমার প্রথম গল্পগ্রন্থ।

রাইজিংবিডি : আপনি তো মফস্বলে থেকে সাহিত্যচর্চা করছেন। কিন্তু একটা অভিযোগ আমরা প্রায়ই শুনি মফস্বলে সাহিত্যচর্চা করতে অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরোতে হয়?

নাহিদা নাহিদ : মনের ভেতর যদি সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ থাকে, সেটা যেখানেই হোক করা যায়। তবে এটা সত্যি যে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে সাহিত্য নিয়ে কাজ করা কঠিন। তারপরও করা যায়, আমার মনে হয় একটা প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে ‍নতুন কিছু সৃষ্টি করার অনুভূতি অন্যরকম। এই যে আমি এতদূর থেকে ঢাকায় এসে এসে কাজ করছি, যার ফলে এবার আমার প্রথম বই বের হলো। এ কাজের তৃপ্তিটাই আলাদা।

রাইজিংবিডি : ‘অলকার ফুল’ গ্রন্থের গল্পের বিষয়বস্তু কী?

নাহিদা নাহিদ : আমি চেষ্টা করেছি এক একটা গল্পের বিষয়বস্তু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে। আমার প্রথম যে গল্পটা আছে ‘যে জীবন ফডিংয়ের’। এ গল্পে ক্ল্যাসিক্যাল সংগীতের প্রতি যারা অনুরক্ত, তাদের জীবনচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আরেকটি গল্প আছে ‘চিত্রনাট্য’। এখানে চেষ্টা করেছি নিম্নবর্গ মানুষের যে টিকে থাকার সংগ্রাম, সুখ পেয়েও যে পাওয়া হয় না তাদের, সংগ্রাম করতে করতে গিয়ে দেখা যায় একটা সময় কাছাকাছি গিয়েও পৌঁছাতে পারে না। সারা জীবনই তাদের সংগ্রাম। বিধাতা এমন চিত্রনাট্য লিখে রেখেছে, যে সে চিত্রনাট্য আমরা যতই সুন্দর করি না কেন পৃথিবীতে, আমাদের সে চিত্রনাট্যেই অভিনয় করতে হবে। আমাদের নিজেদের করার কিছুই নাই। বাকি গল্পগুলোতে মানুষের জীবনের নানা গল্প চিত্রায়িত করার চেষ্টা করেছি।

রাইজিংবিডি : নতুন যারা লেখালেখি করেন, প্রথমদিকে তাদের সাহিত্যে জায়গা করার জন্য অনেক কাঠখড়ি পোহাতে হয়, আপনার ভাবনা কী?

নাহিদা নাহিদ : আমাদের মতো নতুন, উঠতি যারা, তাদের কষ্ট করতে হবে, কষ্ট করবো সেই প্রত্যয় নিয়েই কাজ করছি। তারপরও বলব, আমাদেরকে যদি সহযোগিতা করা হয় তাহলে এই সাহিত্যের বাজারে টিকে থাকার সংগ্রামটা আরো সহজ হবে।

রাইজিংবিডি : বইমেলা নিয়ে আপনার প্রত্যাশা..

নাহিদা নাহিদ : বইমেলা নিয়ে প্রত্যাশা অনেক। পাঠক বাড়বে। পাঠক আসবে বই কিনবে। এভাবে প্রতি বছর পাঠক বাড়তেই থাকবে। একটা সময় দেখা যাবে শপিংমলে যত ভিড় হয়, কসমেটিক কেনার জন্য কাড়াকাড়ি হয়, তারচেয়ে বেশি কাড়াকাড়ি হবে বই কেনার জন্য মেলায় উপস্থিতি- এটাই প্রত্যাশা।

রাইজিংবিডি : গল্পের বাইরে আর কী লিখেন?

নাহিদা নাহিদ : হরর লিখতে পছন্দ করি। ছোট ছোট কিছু কবিতা লিখেছি। অনুগল্প লিখি।

রাইজিংবিডি : আপনি কী হতে চান কথাসাহিত্যিক, গল্পকার না কবি?

নাহিদা নাহিদ : আমি অবশ্যই গল্পকার হতে চাই।

রাইজিংবিডি : লেখালেখি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা?

নাহিদা নাহিদ : একদিন আমার বই সবাই পড়বে।

রাইজিংবিডি : আপনাকে ধন্যবাদ

নাহিদা নাহিদ : আপনাকেও। রাইজিংবিডির পাঠকদের শুভেচ্ছা।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/সাইফ/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়