ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘আত্মহত্যা ছাড়া মুক্তির পথ নেই’

শাহেদ হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘আত্মহত্যা ছাড়া মুক্তির পথ নেই’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘আমাদের কোথাও যাওয়ার, পালানোর জায়গা নেই। আমরা বেশ ভালোভাবেই জানি, মুক্তির একমাত্র উপায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া।’ চিঠিতে এই কথাগুলো লিখে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের কাছে পাঁচ বছর আগে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলেন তার সৎ ভাই কিম জং ন্যাম। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

কিম জং ন্যাম কখনেই উত্তর কোরিয়ার রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করেননি। দেশ শাসন করার কোনও ইচ্ছা নেই বলে তিনি একাধিক বার জানিয়েছিলেন। তবে ভাই কিম জং উন উত্তর কোরিয়া শাসন করুন, তাও ন্যাম চাইতেন না। তিনি একটি জাপানি মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২০১০ সালে বলেছিলেন, ‘ব্যক্তিগত ভাবে আমি তৃতীয় প্রজন্মের হাতে বংশানুক্রমিক ভাবে ক্ষমতা যাওয়ার বিপক্ষে।’ ন্যাম স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ম্যাকাওতে বাস করতেন। গত সোমবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে তাকে বিষাক্ত সূঁচের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সন্দেহ, কিম জং উনের নির্দেশেই উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দারা এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।

২০১১ সালে কিম জং ইলের মৃত্যুর পরেই কিম জং উন কমিউনিস্ট দেশটির শাসক হন। এর পরের বছরই ন্যামকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টের গোয়েন্দা বিষয়ক কমিটির সদস্য কিম বায়ুং-কি জানিয়েছেন। তিনি জানান, ২০১২ সালের এপ্রিলে উনের কাছে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য ক্ষমা প্রার্থণা করে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলেন ন্যাম।

ওই চিঠিতে ন্যাম লিখেছিলেন, তাদের কোথাও পালানোর জায়গা নেই। তারা বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন একমাত্র আত্মহত্যা ছাড়া মুক্তির কোনো পথ নেই।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, চিঠিটি পাওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট উন বলেছিলেন, ‘ আমি ওকে ঘৃণা করি। তাই ওকে সরিয়ে দাও।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়