ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ছিল, এখন নেই

রাশিদা নূর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:০৪, ১০ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ছিল, এখন নেই

রাশিদা নূর: চিলির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর চৈতেন। এই শহরের নামে সেখানে রয়েছে একটি আগ্নেয়গিরি, যা শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। প্রায় ১০ হাজার বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পর ২০০৮ সালের ২ মে আবারো ফুঁসে ওঠে এই আগ্নেয়গিরি। এর অগ্ন্যুৎপাত এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, প্রায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছাই উপরে উঠেছিল। এর প্রভাবে চারদিকে ১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। এতে ঢাকা পড়ে যায় প্রায় গোটা শহর। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্র আর্জেন্টিনা সীমান্তও অতিক্রম করে এই ছাই। বেশ কয়েকদিন টানা এভাবে অগ্ন্যুৎপাত করতে থাকে এই চৈতেন আগ্নেয়গিরি।

আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে বেরিয়ে আসা কাদা মাটির স্রোতে ভেসে যায় প্রায় গোটা শহর। কাদার স্রোত নদীতে গিয়ে পড়তে থাকে। এক সময় নদীর তলাও ভরে যায়। ফলে ঘরের মেঝে, রাস্তাঘাট, ফসলের জমি সব ঢাকা পড়ে কাদা মাটির নিচে। এর ফলে শহরের প্রায় অর্ধেকটা একেবারে অচল হয়ে যায়, দেখে মনে হবে যেন কোনো ধ্বংসস্তূপ এটি।

ভয়াবহ এই অগ্ন্যুৎপাতের সময় শহরে প্রায় চার হাজার মানুষের বসবাস ছিল। দেশটির সরকার তাৎক্ষণিকভাবে তাদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। ফলে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ব্যাপক। পাকা ঘরবাড়ির ধ্বসে পড়েছে। কাদার স্রোতে ভেসে নদীতে গিয়ে পড়েছে বহু গাড়ি।

এখনো পর্যন্ত এই চৈতেন শহরের অর্ধেক অংশ কাদা মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে। বাকি অর্ধেক অংশের মানুষ ভয়াবহ এই ‌দুর্যোগ কেটে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে। অবশ্য দেশটির সরকার এখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র বসবাসের ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, কিন্তু তারা এই সিদ্ধান্তে রাজি হয়নি। বরং তারা এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। তাদের আশা, জন্মভূমিতেই বাকি জীবন কাটিয়ে দেবেন তারা।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ মার্চ ২০১৭/মারুফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়