ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

একটি বুক কাঁপানো চিঠি ও সদ্যমৃত মায়ের গল্প

রেহনুমা তারান্নুম খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৩০, ১৭ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
একটি বুক কাঁপানো চিঠি ও সদ্যমৃত মায়ের গল্প

রেহনুমা তারান্নুম খান : ওয়াশিংটনের এক নারীকে মর্মস্পর্শী চিঠি লিখেছিল কৈশোর উত্তীর্ণ জ্যাক। তার ভাঁজে পাঁচ ডলারের নোটও রেখেছিল সে। চিঠিটি হাতে পেয়েই জ্যাককে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াতে লাগলেন ওই নারী। আসলে কী ছিল ওই চিঠিতে? কীইবা ঘটেছিল জ্যাকের জীবনে?

ক্রিস্টিনা রিটজ, যিনি বাস করেন সিয়াটলে। ওয়াশিংটনের ট্যাকোমার দক্ষিণ-পশ্চিমের এই এলাকাতে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বাস।

৩ মার্চ ভোরে ঘরের দরজা খুলেই ক্ষমাপ্রার্থনা করে লেখা জ্যাকের ওই মর্মস্পর্শী চিঠিটি তিনি পান।

চিঠিতে ছেলেটি লিখেছে, ‘আপনার দরজার সুন্দর ওয়াইল্ড চাইমটি চুরি করেছিল আমারই ছোট বোন। ঘণ্টাটিতে দোল খাওয়া প্রজাপতিগুলো দারুণ। সেগুলো আমাদের সদ্যমৃত মায়ের কথা মনে করিয়ে দিত। তার প্রতি ভালোবাসা জাগাত।’

জ্যাক আরো লিখেছে, ‘মাকে ছোট বোনটি ভীষণ ভালোবাসে। এ জন্য হয়তো সে এ কাজ করেছে। আমি ভীষণ দুঃখিত। লজ্জিতও। আমার কাছে এই পাঁচ ডলারই আছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে চিঠির সঙ্গে রেখে দিলাম। দয়া করে আমাদের ওপর রাগ করবেন না।’

রিটজ দ্রুত তার ফেসবুক অ্যাকউন্টে প্রবেশ করেন। স্থানীয় একটি পাবলিক গ্রুপে জ্যাকের খোঁজে পোস্ট দেন। অনুসন্ধানে ভালো সাড়াও পান। সেখানে রিটজ উল্লেখ করেন, তিনি ছেলেটির ডলার ফেরত দিতে চান। তাকে একইরকম আরেকটি চাইমও উপহার দিতে চান।

রিটজ চিঠির প্রতিউত্তরে বলেন, ‘আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। পাঁচ ডলারেরও কম মূল্যের একটি উইন্ড চাইমের জন্য রাগ করতে চাই না। আমিও শৈশবে মাকে হারিয়েছিলাম। বাবাকে হারিয়েছি ৬ বছর আগে। বাবা- মা হারানোর বেদনা আমি বুঝি। আমি চাই না, তাদের মনে এই বেদনা আরো বাড়ুক।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ মার্চ ২০১৭/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়